ব্লগ প্রতিযোগিতা: আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বর্তমান বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সাররা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তাদের সরাসরি অবদান অন্য সকল কাজকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের চোঁখ পড়েছে বাংলাদেশের উপর। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোতে এই বিশাল কর্মীবাহিনী থেকেই উঠে আসবে নতুন দিনের উদ্যোক্তা। তারা নিয়ে আসবে নতুন নতুন ধারনার, তৈরী করবে নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং সিস্টেমস। দূর হতে পারে আমাদের ক্ষুদ্র এই দেশের অজস্র সমস্যার।
বাংলাদেশ তার ১৬ কোটির বেশি জনগোষ্ঠি নিয়ে হিমশীম খাওয়া একটি জাতি। যদিও আমরা স্বপ্ন দেখি, এই বিশাল জনগোষ্ঠিকে জন-সম্পদে রূপান্তিরত করার, কিন্তু কার্যত তেমন কোনও উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ছে না। আবার এটাও সত্যি যে, এক সরকারের পক্ষে এই বিশাল তরুন জনসংখ্যাকে চাকুরি দেওয়াও সম্ভব নয়। তাই প্রয়োজন ব্যক্তিগত খাতে ব্যাপক উদ্যোক্তাদের। তারাই তৈরী করতে পারেন আমাদের কর্মসংস্থানের। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে, তেমন কারো উপর নির্ভর না করেই অনেক সীমাবদ্ধতার ভেতর দিয়েই আমাদের ছেলেমেয়েরা যোগাঢ় করে নিয়েছেন নিজেদের কাজের। দেশে নয়, বিদেশের কাজ দেশের মাটিতে করার উপায় তারা বের করে নিয়েছেন। এবং সেখানে বিপুল সাফল্য বয়ে এনেছেন। ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং ট্রেনিং-এর মাধ্যমেই তাঁরা এগিয়ে চলেছেন অদম্য গতিতে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এখন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের ভালো কোনও সামাজিক কমিউনিটি গড়ে উঠেনি। এদের কাজের ধরন যেমন তাদের মা-বাবা বুঝতে পারেন না, তেমনি সমাজও তাদেরকে নিয়ে নানান দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগছে। পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের ফ্রিল্যান্সারও এটাকে পেশা হিসেবে নিতে ভয় পেয়ে থাকেন। সামাজিকভাবে তাদেরকে উৎসাহিত না করলে, এই কাজটিকে অনেকটা স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়েই করতে হচ্ছে। আমরা এই ধারনার পরিবর্তন চাই।
আর তাই ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালি কমিউনিটি। তবে, একটি সুন্দর কমিউটনিটি তৈরীর পূর্বশর্ত হচ্ছে নিজেদের একে অন্যকে চেনা, জানা এবং নিজেদের মধ্যে একটি যোগাযোগের মাধ্যম তৈরী করা। সেই কমিউটনিটি তৈরীর লক্ষ্যে প্রিয়.কম আয়োজন করেছে ‘আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবন’ ব্লগ প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে তরুন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের বেড়ে ওঠার গল্পগুলো লিখে জানাবেন। এর ভেতর দিয়ে তারা একে অপরকে জানার সুযোগ পাবেন। এবং তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরবেন। এই কার্য্যক্রমের মাধ্যমে দুটি কাজ হবে - (১). নিজেদের জীবন সম্পর্কে জানা এবং (২). নতুন ফ্রিল্যান্সারদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
ফ্রিল্যান্সিং-কে ঘিরে ফ্রিল্যান্সারদের যেমন অনেক কথা রয়েছে, তেমনি চিন্তা এবং আশংকা রয়েছে অনেক পিতামাতার। আমরা চাই, আমাদের সেই চিন্তার জায়গাগুলোও উঠে আসুক আপনাদের লেখায়। আপনার যে কোনও অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতির কথা লিখে আমাদের এখানে পোষ্ট করে দিন।
সময়সীমা:
এই প্রতিযোগিতা চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি/২০১৩ ধরে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩-এর ভেতর সকল ব্লগ পোষ্ট করতে হবে।
পুরষ্কার:
মোট ১০ জন বিজয়ীকে প্রত্যেককে স্মার্ট টেকনোলজিস-এর পক্ষ থেকে পুরষ্কার দেয়া হবে। মোট ১০০ জনকে "আমি একজন গর্বিত ফ্রিল্যান্সার" - এই ডিজাইনের একটি টি-শার্ট দেয়া হবে। পাশাপাশি ভালো লেখাগুলো নিয়ে একটি ই-বুক প্রকাশ করা হবে।
নিয়মাবলী:
১. যে কোনও বয়সের যে কেউ লিখতে পারেন, তার ফ্রিল্যান্সিং জীবনের কথা। যার ফ্রিল্যান্সিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আর যাদের অভিজ্ঞতা নেই - সবাই লিখতে পারেন।
২. লেখাগুলো ব্লগ আকারে প্রকাশ করতে হবে। লেখা পোষ্ট করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তালিকা থেকে ব্লগ নির্বাচন করুন।
৩. যাদের এখনও অ্যাকাউন্ট নেই, তারা দয়া করে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। অ্যাকাউন্ট খোলার পর নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ছবি আপলোড করুন। তাতে আপনার লেখার সাথে ছবিটিও প্রকাশ পাবে।
৪. প্রতিটি লেখা ফেসবুকে শেয়ার দিতে হবে। এবং পাঠকদের "লাইক"-এর ভিত্তিতে এবং বিচারকমন্ডলীর নম্বরের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে। লাইক-এর জন্য ৫০ নম্বর; এবং বিচারকদের হাতে ৫০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
৫. লেখাগুলো ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত যে কোনও অভিজ্ঞতা, মতামত এবং জীবন সংক্রান্ত হতে পারে। এগুলো কোনও টেকনিক্যাল লেখা হতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। একই লেখক একাধিক লেখা পোষ্ট করতে পারবেন।
৬. লেখা পোষ্ট করার সময় Topic-এ অবশ্যই MyFreeLife ইংরেজিতে টাইপ করুন। এটা দিয়েই আমরা বুঝতে পারবো আপনার লেখাটি প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
৭. আপনার পোষ্ট তক্ষুনি প্রকাশিত হবে না। জাঙ্ক পোষ্ট প্রতিহত করা এবং মান ঠিক রাখার জন্য প্রতিটি লেখা আমরা পড়ে তারপর প্রকাশ করে থাকি। আপনার পোষ্ট করার ২৪-৩৬ ঘণ্টার ভেতর প্রকাশিত হবে বলে আশা করতে পারেন।
৮. অন্যের লেখা কপি/পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া যাবে না। তবে নিজের পুরনো লেখা পরিবর্ধন করে এখানে পোষ্ট করা যাবে।
৯. কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করে, কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনও লেখা পোষ্ট করা যাবে না।
১০. প্রিয়.কমের রায় চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। এর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা বা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। প্রিয়.কম এই শর্তাবলী কোনও রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করার ক্ষমতা রাখে।
১১. প্রিয়.কম পরিবারের কেউ এবং স্মার্ট টেকনোলজিজের কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না
আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।
১ম ধাপঃ
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি
গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
জানা আপুর আপডেট
জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।
বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন
বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।
এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন
অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!
দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন