গতকাল অফিস থেকে বের হয়েছি পৌনে পাচটায়। অবরোধের কল্যানে যথারীতি রিঙ্্রায় করে বাসায় যাচ্ছি। চারিদিকে রিঙ্্রার সমুদ্র। ভাড়াও যথারীতি অনেক বেশি। কাওরান বাজার পার হয়ে ফার্মগেট প্রথম ওভারব্রীজের কাছে অনেক জ্যামের কারনে আমার রিঙ্্রা দাড়াতে বাধ্য হলো। চারিদিকে শুধু রিঙ্া আর রিঙ্া। এরই মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দে কানে তালা লেগে গেল। ঘটনা কি? পাশে তাকাতেই আতংকে আমার শরীর হীম হয়ে এল। আমার রিঙ্্রার সাথে ঘেষে দাড়ানো পাশের রিঙ্ায় বসা ভদ্রলোকের পায়ের কাছে একটা ককটলে ফেলা হয়েছিল। ফলে তার প্যান্টের নিচের দিকটা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। পুর্ব সতর্কতা হিসেবে আমার শার্টের পকেটেই রিঙ্াভাড়া রেখে দিয়েছিলাম। টাকাটা রিঙ্াওয়ালাকে দিয়েই আমি চম্পট। বেশ কিছুন মাথা ভো ভো করছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না। ইচ্ছা আছে এবার ভোট দিতেও যাব না। যারা কাল সন্ধ্যায় সেখানে ছিলেন তারা সবাই অফিস ফেরত খেটে খাওয়া মানুষ। যাদের অনেকেই অবরোধের কয়দিন রিঙ্া ভাড়া দিতে গিয়ে দুপুরের খাবার শুধু চা আর বিস্কুট দিয়ে সেরেছেন। তাদের মাথায় যারা ঠান্ডা মাথায় বোমা মারে তাদেরকে কি বলা যাবে?
দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধিতে সবাই যখন অতিষ্ট তখন সাইফুর রহমান বললেন দেশের মানুষের আয় বেড়েছে, আমরা ভাবলাম তাহলে বোধহয় আমাদের আয় সত্যিই বেড়েছে। বেশি টাকা দিয়ে জিনিস কিনতে আর কষ্ট লাগেনা। কিন্তু মাসের মাঝে গিয়েই দেখি টাকা শেষ। তাহলে সাইফুর রহমান যে বললেন আমাদের আয় বেড়েছে?
লাগাতার অবরোধে মানুষের অবর্ননীয় কষ্ট নেতাদের চোখে পড়েন, জিনিসের দাম বৃদ্ধি চোখে পড়ে না। তারা আমাদের অবরোধ সফল করার জন্য ধন্যবাদ দেন। আমরা তাদের মহানুভবতায় আপ্লুত হই।
অন্যের কি মনে হচ্ছে আমি জানিনা, কিন্তু আমি এটুকু বলতে পারি এই সব অসুস্থ রাজণীতিবিদরা যদি রাস্তার নেড়ি কুত্তা দিয়ে ধর্ষিত হয় তাহলে আমি ওই কুত্তাকে গিয়ে বাতাস করবো যেন তার কাজে কষ্ট না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ২:১১