চার দিনে কোটি কোটি টাকা তি
অবরোধে সব বন্দরে আমদানি-রফতানি বল্পব্দ
সমকাল ডেস্ট্ক
14 দলের লাগাতার অবরোধের কারণে সব ধরনের বন্দরে চারদিন আমদানি-রফতানি বল্পব্দ থাকায় দেশের কোটি কোটি টাকা তি হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে সৃষদ্বি হয়েছে অচলাবস্ট্থা। খুলনা বন্দর দিয়ে অনস্নত 200 কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি রফতানি করা যায়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্ট্থলবন্দরে সহস্রাধিক টন পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এছাড়াও কাজ করতে না পেরে বন্দরের 32 হাজার শ্রমিককে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্ট্থলবন্দর অচল থাকায় অনস্নত 5 কোটি টাকার পণ্য নষদ্ব হয়ে গেছে। দিনাজপুরের হিলি স্ট্থলবন্দরেও পণ্য নষদ্ব হয়ে তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। দেশের অন্যান্য স্ট্থল, নৌ ও সমুদ্র বন্দরগুলোতেও কাজ না হওয়ায় এ ধরনের য়তির খবর পাওয়া গেছে। এর বাইরে রাজস্ট্ব তি তো আছেই। সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্টস্ন হয়েছেন পেঁয়াজ, ফলমহৃলসহ অন্যান্য পচনশীল পণ্যের আমদানিকারকরা। তবে অবরোধ কর্মসহৃচি স্ট্থগিতের ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্ট্বস্টিস্ন ফিরে এসেছে। বুধবার রাত থেকেই বন্দরগুলো চালু হওয়ার কথা।
চট্টগ্রাম বু্যরো জানায়, গতকাল রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের টানা অচলাবস্ট্থার অবসান হয়েছে। অবরোধের কারণে গত 48 ঘণ্টা বন্দরে উল্ক্নেখযোগ্য কোনাে কাজ হয়নি। পোর্ট কন্ট্রোল সহৃত্র জানিয়েছে, গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরে 26টি জাহাজে মোট 18 হাজার 574টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। এ কাজে গতকাল গ্যান্ট্রি ত্রেক্রনও ব্যবহার করা হয়।
খুলনা বু্যরো জানায়, অবরোধের কারণে খুলনাঞ্চল থেকে রফতানি করা যাচ্ছে না প্রায় 200 কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি। এসব চিংড়ি 40টি গোডাউনে আটকে পড়ে আছে।
বাংলাদেশ ফেদ্ধাজেন ফুডস এঙ্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী বেলায়েত হোসেন সমকালকে জানান_ খুলনা, বাগেরহাট ও সাতীরার প্রায় 40টি চিংড়ি প্রত্রিক্রয়াজাতকরণ কারখানা বিদেশী চিংড়ি মাছ রফতানি করে থাকে। অবরোধের কারণে চারদিন কোনো মাছ রফতানি করা যায়নি। তিনি জানান, গোডাউনে আটকে পড়া মাছের শিপমেন্ট না করা পর্যনস্ন তারা নতুন করে মাছও কিনতে পারছেন না।
বিএফএফইএ'র একটি সহৃত্র জানায়, দেড় শতাধিক কনটেইনার চিংড়ি রফতানির জন্য তৈরি থাকলেও তা বিদেশে পাঠানো সল্ফ্ভব হচ্ছে না। চিংড়ি রফতানির ভরা মৌসুমে অবরোধের ফলে তারা বিপুল আর্থিক তির সল্ফ্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্ট্থা চলতে থাকলে বিদেশী বায়াররা এদেশ থেকে চিংড়ি মাছ কিনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে বলে তারা আশগ্ধকা করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নিত্যদিনের কর্মচাঞ্চল্য কোলাহলে পরিপহৃর্ণ সোনামসজিদ স্ট্থলবন্দরের কার্যত্রক্রম থমকে গেছে টানা অবরোধে। বেকার হয়ে পড়েছে বন্দরের প্রায় 32 হাজার শ্রমিক। রাজস্ট্ব তির পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ও ফলমহৃলসহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য আটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক নেতা আয়েস আলী জানান, ভারতীয় আমদানি পণ্য আনলোড-লোড করে বন্দরের 30/35 হাজার শ্রমিকের ঘর সংসার চলে। কিন্তু অবরোধের কারণে শ্রমিকরা 4দিন কর্মহীন রয়েছে। স্ট্পী পুত্র সংসার চালাতে গিয়ে তাদের হিমশিম অবস্ট্থা। ভারতের বিভিল্পম্ন রাজ্য থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক ড্রাইভার শ্যাম লাল, নিখিল চন্দ্র, সুরঞ্জন ঘোষ, অনিল মাহতো, সন্দ্বীপ রায়সহ 14/15 জন বিদেশী নাগরিক জানান, পেঁয়াজ, আদা, পাথর, পোল্কিল্ট্র ফিড, চাল, ফল নিয়ে তারা সোনামসজিদে আসে সোমবার। কিন্তু মাল আনলোড না হওয়ায় তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছে না।
শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় 100টি ভারতীয় ট্রাকের হেলপার ও ড্রাইভার আটক পড়েছেন।
সোনামসজিদ স্ট্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব রুহুল আমিন জানান, আমদানিকৃত পচনশীল দ্রব্য পেঁয়াজ ও ফল নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। পচনরোধে ফ্যানের বাতাস দিয়ে সহাস্রাধিক টন পেঁয়াজ ও ফল রার চেষদ্বা করছে ব্যবসায়ীরা। দু-এক দিনের মধ্যে এগুলো পুরোপুরি নষদ্ব হয়ে যাবে।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্ট্থলবন্দর ও বকশীগঞ্জের কামালপুর স্ট্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যত্রক্রম বুধবারও চতুর্থ দিনের মতো বল্পব্দ ছিল। ফলে ভারত থেকে আমদানিকরা কয়লা ও পাথর বোঝাই ট্রাক ভারত সীমানস্নে আটকা পড়েছে। স্ট্থলবন্দরের ওপর নির্ভরশীল শ্রমজীবী মানুষের উপার্জনও বল্পব্দ হয়ে গেছে।
মংলা প্রতিনিধি জানান, বুধবারও মংলা বন্দর ছিল পুরোপুরি অচল। বন্দরে অবস্ট্থানরত সব জাহাজ ও জেটিতে কোনো মালামাল ওঠানামা করেনি। তবে বেকার শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে স্ট্থানীয় আওয়ামী লীগ বন্দর অচলের কর্মসহৃচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় রাতের পালা থেকে মংলা বন্দরের মালামাল ওঠানামার কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশী আমদানিকারকদের শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ও ওয়াগন সীমানস্নের ওপারে আটকা পড়েছে। ইতিমধ্যে আটকে পড়া ট্রাকগুলোর কাঁচামাল পচে নষদ্ব হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। স্ট্থলবন্দরের সঙ্গে সংশিল্গষদ্ব হাজার হাজার শ্রমিক কাজের অভাবে ওই ক'দিন দুঃসহ জীবনযাপন করেছেন। আমদানিকারকরা জানান, গত 4 দিনের অবরোধে তাদের কোটি কোটি টাকা তি হয়েছে।
যশোর অফিস জানায়, বুধবার থেকে দেশের সর্ববৃহৎ স্ট্থলবন্দর বেনাপোলে কার্যত্রক্রম শুরু হয়েছে। তবে ঢালাওভাবে আমদানি-রফতানি হচ্ছে না। বিশেষ ব্যবস্ট্থায় শুধু পচনশীল পণ্য আমদানি-রফতানি করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, বাংলাবাল্পব্দা স্ট্থলবন্দর দিয়ে গত চার দিনে কোনো পণ্য আনা-নেওয়া হয়নি। বাংলাবাল্পব্দার ওপারে ভারতের ফুলবাড়ীতে পণ্যবাহী অনেক নেপালি ট্রাক আটকা পড়ে আছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এই স্ট্থলবন্দর দিয়ে একমাত্র নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়ে থাকে।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, বুড়িমারী স্ট্থলবন্দর 4 দিন ধরে অচল রয়েছে। 3 শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক সীমানস্নের ওপারে আটকা পড়েছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে টমেটো, আপেল ও পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান জানান, পচনশীল এসব পণ্যের মহৃল্য প্রায় 5 কোটি টাকা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



