নতুনপাড়া রেলস্টেশনের পাশে এক চায়ের দোকানে চা খাচ্ছি। চায়ের দোকানে মাননীয় এমপি মমতাজের ‘ফাইট্টা যায়’ গানটি চলতেছে। গানটি আগেও শুনেছি তবে এবার ভাবলাম গানের মানে বোঝা উচিৎ। এজন্য গানের গভীরে ঢোকা দরকার।
প্রথমেই গানের লাইন বাই লাইন অর্থ কি তা জানা দরকার।
এমপি মহোদয়ার গানের লাইনগুলো ছিল, “বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায়, ফাইট্টা যায়, আমার বুকটা ফাইট্টা যায়...”
এ পর্যন্ত গানের মানে হল, বন্ধু মানে বয়ফ্রেন্ড যখন তার সদ্য বিবাহিত ওয়াইফকে নিয়ে রঙ করে(খুব সম্ভব এতে ঢং করে হাঁটার কথা বলা হয়েছে) মমতাজের বাড়ির উঠোনের উপর দিয়ে হেঁটে যায়, তখন উনার বুক ফেটে চৌচির হয়ে যায়।
গানে একটি লাইন বারবার রিপিটেড হয়েছে। তা হল, “ফাইট্টা যায়, আমার বুকটা ফাইট্টা যায়(ফেটে যায়, আমার হৃদয় ফেটে যায়)”
এটি নিঃসন্দেহে বিরহের গান। অনেক কষ্ট থেকে গাওয়া হয়েছে। আমি শিউর, যাদের হার্ট দুর্বল তারা গানটি শুনলেই হাউমাউ করে কেঁদে দেয়। গানের কথা খুবই আবেগপ্রবণ।
এই গানের সমালোচনা করতে গিয়ে বলব, এক্স-বিএফ কখনো তার ওয়াইফকে নিয়ে এক্স-জিএফ’র বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার রিস্ক নেবে না। বিশেষকরে, সুঠামদেহী এক্স-জিএফ’র বাড়ির ধারেকাছে যাবার প্রশ্নই উঠে না! তাই আমার মনে হয়, লিরিকে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল।
সবশেষে বলতে হয়, এটি চমৎকার একটি গান। দেশের আপামর জনতা এই গানটির প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। এ গান বহুবছর কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।
চায়ের সাথে সাথে গানও শেষ হল। সেইসাথে বেজে উঠল, “খাইরুন লোওওও, তোর লম্বা মাথার কেশ, চিরল দাঁতের হাসি দিয়া পাগল করলি দেশ। খাইরুন লোওওও...”
আরেক কাপ চায়ের অর্ডার দিব কিনা ভাবছি। কারণ ‘লোওওও’ এর মানে বুঝতে পারছি না। মানে না বুঝলে গানের মর্মার্থ উদ্ধার অসম্ভব!