
আজকের সময়ে আমরা এমন এক অদৃশ্য হায়নার মুখোমুখি, যাদের পরিচয় “শিক্ষিত” বলে। কিন্তু শিক্ষার সঙ্গে মানবিকতার যে সম্পর্ক থাকা উচিত, তা এদের মধ্যে নেই। এরা ধর্মীয় রাজনৈতিক আদর্শের কথা বলে, অথচ প্রকৃত ধর্ম তাদের কাছে হলো উগ্রতা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস তাদের চুলকানি দেয়; তারা তা সম্মান করে না, বরং ব্যঙ্গ করে। মুখে ইসলাম ধর্মের জপমালা, কাজে ফেরাউন, নমরুদ ও হিটলারের ছায়া—এ যেন এক বিভ্রান্তিকর, সহিংস প্রতিমূর্তি।
এই “শিক্ষা” তখনই শূন্য হয়, যখন জ্ঞান মানুষকে মানবিক করার বদলে তাকে শৃঙ্খলাহীন হিংস্রতার উৎসাহ দেয়। এরা এক ধরনের রাজনৈতিক মবসন্ত্রাসের নায়ক নয়, খলনায়ক। মানুষের শরীর আর চেতনায় হিংস্রতার চিহ্ন রেখে এরা নিজস্ব গোষ্ঠী ও ক্ষমতার উচ্ছ্বাসে, অসুস্থ আত্মতৃপ্তিতে ‘শিকার’ করে। হায়নারা ক্ষুধার জন্য শিকার করে, কিন্তু এদের শিকার মানুষের স্বাধীনতা, সংস্কৃতি এবং ন্যায়ের অনুভূতি।
সাংবাদিক ও বিশ্লেষকদের দীর্ঘকালীন পর্যবেক্ষণ যেমন দেখিয়েছে—উগ্র রাজনৈতিক কায়দায় ধর্মকে হাতিয়ার বানানো, জনগণকে ভয় দেখানো এবং সংস্কৃতি ধ্বংসের অপচেষ্টা—এই সবই বর্তমান সমাজের একটি বিষাক্ত বাস্তবতা। (উদাহরণ: Zaman, 2022; “Religious Extremism and Political Violence in South Asia”)
আমাদের চেতনা প্রয়োজন স্পষ্ট: শিক্ষা শুধু গ্রন্থ জ্ঞান নয়, মানবিকতার শিক্ষাও বটে। সংস্কৃতি, ইতিহাস, ন্যায় ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সজাগ থাকতে হবে। হায়নার ছদ্মবেশী এদের সামনে দাঁড়ানো মানে শুধু প্রতিরোধ নয়, এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


