
মজার বিষয়—
আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের হয়ে যায়।
৬৮৩ সালে মুসলমানরাই কাবাঘর ধ্বংস করেছিল। মেরামত করেছে কারা?অমুসলিম শ্রমিক, অমুসলিম ইঞ্জিনিয়ার।ফতোয়াবাজদের মুখ তখন কই ছিল?প্রথম মুদ্রিত কোরআন ছাপা হয়েছিল ইউরোপে, অমুসলিমদের প্রেসে।আজ যারা ছাপাখানা হারাম বলে চিৎকার করে বেড়ায়, তখন তারা কোন গুহায় ছিল?
যাদের এখন “মুসলিম সভ্যতার গৌরব” বলা হয়—ইবনে সিনা, ইবনে রুশদ, আল-জাহিজ—এদের প্রায় সবাইকে তাদের সময়ের মোল্লারা কাফের ঘোষণা করেছিল।ইতিহাসের অদ্ভুত কৌতুক:মৌলবাদ কখনো প্রতিভাকে চিনতে পারে না— শুধু ভয় পায়।
নোবেলজয়ী আব্দুস সালাম—পাকিস্তানের অন্ধ ধর্মান্ধরা তার কবর পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে।জ্ঞানীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে না বলে মরে যাওয়ার পরও প্রতিশোধ নেয়—এই হলো মৌলবাদী সাহস! এরা রোকেয়াকে কাফের বলবে— কিন্তু রোকেয়া যে যুগের অন্ধকার ভেদ করে নারীমুক্তির আলো জ্বালিয়েছেন,সেটা এদের ডিগ্রি-ঝোলানো গোঁড়ামি কোনদিন বুঝবেই না।
মৌলবাদ বিশ্বের একমাত্র জিনিস, যার উৎপাদনশীলতা শূন্য;আর ক্ষতির পরিমাণ অসীম।
বিমান কাফেরদের, ওষুধ কাফেরদের, মোবাইল কাফেরদের,জিপিএস কাফেরদের,চীনা পণ্যের ওপর নির্ভর করে এদের দিন চলে—কিন্তু অকৃতজ্ঞতার পরিমাণ এমন যেযেদিকে তাকাও— শুধু কাফের-কাফের চিৎকার।
সত্যটা খুব সহজ—মৌলবাদীরা কাফের ছাড়া চলতে পারবে না, কিন্তু কাফেররা মৌলবাদ ছাড়া খুব ভালোই চলে।
রোকেয়া নিজেই এক বিশ্ববিদ্যালয়;তার সমালোচকরা—
ইতিহাস বলছে—একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ব্যাকবেঞ্চারও না।
মৌলবাদী গোঁড়ামিতে যে-বাগান বাংলাদেশে ফুটেছে,
তাতে “কাফের” হওয়াই সম্মান—আর “গোঁড়া” হওয়াই লজ্জা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


