somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রূপক ১৮+ গল্প এবং আমাদের রাজনীতিবিদেরা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা এক দেশে ছিল এক রাজা। তাহার ছিল এক রাণী। রাজা তো যেই সেই রাজা না। তাহার ছিল কঠিন এক পাওয়ার। মন্ত্রের বলে সে ডাকিতে পারিতো সমস্ত পাখীকূল কে । একদিন রাণী আর রাজা ভালবাসাবাসি করিবার সময় রাণী বলিলঃ "জানু, আমার না একখান শখ আছে। তুমি তো মহাপরাক্রমশালী রাজা, আমি জানি আমার শখ তুমি অবশ্যি পূরণ করিতে পারিবে।" রাজা বলিলেনঃ "কেন নয় জানপাখি, আমার এই রাজ্য, ধন-দৌলত আর মন্ত্রসাধনা সবি তো তোমারি জইন্য। বলো কি করিতে পারি তোমার জইন্য?" রাণী সাহেবা শুধাইলেনঃ " পাখির পালকের বিছানায় তোমার সাথে শয়ন করিবার খুব খায়েশ আমার, তুমি তো পাখি আনিবার মন্ত্র জানো। ইচ্ছা করিলেই তুমি আমার লাগি পালকের বিছানা তৈয়ার করিতে পারো। রাজা তখন কিঞ্চিত চিন্তিত হইয়া পরিলেন। রানীকে সুধাইলেন "রানী আমি যদি পাখিকূল কে এই কথা বলিলে তারা বলিবে রাজামশাই মনে হয় স্ত্রৈণ। তুমি অন্য কিছু চাহিয়া দেখ আমি নিমিষেই হাজির করি তোমার সম্মুখে।" কিন্তু রানী সাহেবা অনড়। তাহার পাখির পালকের বিছানাই লাগিবে। যদি রাজামশাই উহার ব্যবস্হা অতি শীঘ্রই না করেন তবে উনি রাজামশাইয়ের সহিত বিছানায় গমন করিবেন না। এই কথা শুনিয়া রাজামশাইয়ের স্ত্রী প্রেম চ্যাগাইয়া উঠিল। উনি বলিলেন দেখি কি করিতে পারি।

রাজামশাই পাখিদের মন্ত্রবলে আহ্বান করিলেন। পাখিরা দলে দলে ছুটিয়া আসিল। রাজামশাই রানীর মনোবান্ছা পাখিদের নিকট খুলিয়া বলিলেন। পাখিদের পক্ষ হইতে একজন আসিয়া বলিল আমাদের পক্ষিরাজের আদেশ ছাড়া তো আমরা কিছু বলিতে পারিনা, উনি আবার সাতসমুদ্র তের নদীর ওপারে এক মহা হিসেব নিকেশে ব্যস্ত আছেন। তাই আসিতে পারেন নাই। আমরা উনার সাথে কথা বলে দুইদিন পর আপনাকে পাখা দিয়া যাবো। রাজা যারপরনাই আশ্বস্ত হইলেন।

অবশেষে সেই দিন সমাগত হইলো। দলে দলে পাখিরা রাজার দরবারে সমবেত হইলো। রাজা শুধাইলেন "আর দেরী কেন আমার প্রানপ্রিয় পাখিকূল? দান করো তোমাদের পালক, আমি যে রানীর সাথে সেই পালকে র বিছানায় শয়নের জইন্য কার্তিক মাসের কুকুরের চাইতেও দেওয়ানা হইয়া আছি":P পাখিকূলের মধ্য হইতে আওয়াজ আসিলো-মহারাজ, আরেকটু অপেক্ষা করুন, আমাদের রাজা মশাই এই আসিল বলে! বলিতে বলিতে পক্ষিরাজের আগমন ঘটিল। রাজামশাই হুঙ্কার ছেড়ে কহিলেন, কি হে পক্ষিরাজ, তুমি তো দেখি বড় বেয়াদব আছো। আমার ডাক শুনেও তোমার আসিতে এতো দেরী কেন হইলো? X( এবার পক্ষী সম্রাট কহিলেন," মহারাজ, অপরাধ মার্জনা করিবেন। আমি আসলে একখান শুমারী করিতেছিলাম" মহারাজা বলিলেন,"কি এমন শুমারী করিতেছিলে যে আমার ডাক শুনিয়াও তুমি বিলম্ব করিয়াছ?" পক্ষিরাজ কহিল, "মহারাজ, আমি আসলে শুমারী করিতেছিলাম-জগতে পুরুষের সংখ্যা বেশি না নারীর সংখ্যা বেশি?" মহারাজা রাগত স্বরে জিজ্ঞাসিলেন, "তারপর তোমার শুমারীর ফলাফল কি দাঁড়াইলো?" পক্ষিরাজ বলিল, "আজ্ঞে মহারাজ নারীর সংখ্যা বেশী" মহারাজ বলিলেন, "আমি তো জানি পুরুষের সংখ্যা বেশি, তুমি নারীর সংখ্যা বেশি কোথায় পেলে?" পক্ষিরাজ কাচুমাচু করিয়া কহিলেন, "মহারাজ, যে পু্রুষেরা নারীর কথায় সিদ্ধান্ত দেয়, তাহাদের আমি নারী হিসেবে গুনিয়াছি" । এহেন কথা শুনিয়া সভাসদ এবং পক্ষীকূলগণ হাসিয়া লুটাইয়া পড়িল। রাজা বলিলেন, "খামোস, আমাকে বল আমাকে তুমি কি গুনিয়াছ?"X((X(( পক্ষিরাজ বলিল, ইয়ে মানে রাজামশাই, হিসেবের সুবিধার্থে আপনাকে নারী বলিয়াই ধরিয়া নিয়াছি" :P:P

রাজামশাই অতি রাগান্বিত এবং লজ্জিত হইয়া কহিলেন দূর হয়ে যা হতচ্ছাড়ার দল। লাগিবেনা তোদের পালক। নানান খিস্তি খেউর পারিতে পারিতে তিনি রানীসাহেবার মহলে রওয়ানা হইলেন। রানী সাহেবার নিকট যাইয়া রাজা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলিতে লাগিলেন :"আজিকে শুধু তোমারি জইন্য আমি নগন্য পাখিকূলের কাছে শরমিন্দা হইয়াছি" । রানী সাহেবা চক্ষু হইতে অগ্নিবর্ষন করিয়া কহিলেন, "তার মানে তুমি পাখির পালকের ব্যবস্হা করিতে পার নাই? আমি চলিলাম আমার বাপের বাটি। আমাকে তুমি যে কেমন ভালবাস তা বুঝিতে পারিলাম" । অবস্হা বেগতিক দেখিয়া রাজা রণে ভংগ দিয়া কহিলেন "রাগ করিয়োনা প্রিয়তমা, দেখি তোমার লাগি কি করিতে পারি"

রাজামশাই আবার মন্ত্রবলে পক্ষিকূলকে আসার জইন্য বলিলেন। পক্ষিকূলের রাজা আবারো দেরিতে আসিল। রাজামশাই জিজ্ঞাসিলেন, আগেরবার তো শুমারীর জইন্য দেরী করিয়াছিলে, এইবার কি কারণে দেরী হইলো?X(X( পক্ষিরাজ হাসিয়া উত্তর দিল, "মহারাজ এইবারো একখান শুমারীতে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলাম" । মহারাজ আতংকিত চিত্তে কহিলেন "আবার কি জরিপ করিলে?":| পক্ষিরাজ কহিলেন, "মহারাজ, আমি জরিপ করিতেছিলাম-জগতে মুখের সংখ্যা বেশী নাকি পুটুর সংখ্যা বেশী? :P:P মহারাজা আচানক হইয়া শুধাইলেন: " ইহা আবার কেমন কথা, যাহার মুখ আছে, তাহর তো পুটুও থাকিবে" অতএব বেশি কম কিভাবে হইতে পারে? "

পক্ষিরাজ কাচুমাচু করিয়া কহিলেনঃ "মহারাজ, আমি গুনিয়া দেখিয়াছি জগতে মুখের তুলনায় *ুটকির সংখ্যা বেশি। কারণ যারা একেক বার একেক কথা বলে তাহাদিগের মুখ কে আমি *ুটু হিসেবে গুনিয়াছি। আর আরেক টা কথা মহারাজা, হিসেবের সুবিধার জইন্য আপনার মুখকেও পুটু গুনিতে হইয়াছে আমার" :P:P:P

*** ইহা নিতান্তই একটি গল্প। কেহই ইহার সাথে আমাদের রাজনীতিবিদদের কথা মিলাইতে যাইবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৭
৩৯টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×