somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এত বোঝার দরকার নাই আমার আমি শান্তি চাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানুয়ারী ১৯৯১, ক্লাস ফাইফ এর বার্ষিক পরীক্ষার পর লম্বা ছুটিতে গ্রমের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে পরিবার সহ বেড়াতে গিয়েছি। চারদিকে নির্বাচনের সাজসাজ রব। দাদা বাড়ি নানা বাড়ি একই উপজেলায় হওয়ায় সকালের খাবার নানা বাড়ি, রাতের খাবার দাদা বাড়ি। কাকাদের সাথে মিছিলে গেলে নৌকা। মামাদের সাথে মিছিলে গেলে কখনও ধানরে শীষ কখনও লাঙ্গল। এখানে বলে রাখা ভাল যে রুহুল আমিন হাওলাদার (জাতিয় পার্টির মহাসচিব) আমাদের দুরসম্পর্কের মামা।সেহেতু ইচ্ছা না থাকলেও মামাদের তার ভাইয়ের মিছিলে যেতে হত।আর তারদের সাথে আমি।আমার ভাই তোমার ভাই রুহুল ভাই রুহল ভাই।

নানা ছিলেন জামাতের সর্মথক এই সাথ শরশিনার মুরিদ। মধ্য প্রাচ্য থেকে বড় মামার পাঠানো ডেক সেটে নানা বাজাতেন দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মাওফিল। একনিষ্টমনে শুনতাম তখন খেকেই তার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়তে থাকে, মুগ্ধ হয়ে যেতাম তার কেরাত, তাফসির আর ইসলামী আলোচনা শুনে।সেই লোক নাকি রাজাকার , বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়।যার আঙ্গুলের ইশারায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সকল ভেদাভেদ ভুলে একই কাতরে দাড়িয়ে যেতেন, দুর্বল ইমানের লোক পাচ ওয়াক্ত নামাজ ধরতেন।বলা বাহুল্য আমাদের বই পুস্তক, মিডিয়া এবং অন্য অন্য মাধ্যম দেশের মানুষকে কতটুকু ইসলাম শিক্ষাদেয় ? এদেশের সমাজ গঠনে এইসব আলেমের ভুমিকা ব্যাপক।এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, তোফাজজল হুজুর, চরমোনাইর পীর, আব্বাসি হুজুর, তাবলীগদল, আটরশি এবং আরও অনেকে, তারাই দেশের মানষের মধ্যে ইসলাম প্রচারের ব্রত পালন করে যচ্ছে যদিও তাদের মতের পাথৃক্য আছে, কিন্তু ইসলামরে মুল নীতিতে সবাই একই জায়গায় । তাদের কারনেই এদেশে এখনও বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা, মাদকতা, সামাজিক অবক্ষয় অনেক কম।তাদেরই কারনে এইডস আক্রান্ত্রের হার পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের তুলনায় আমাদের দেশে অনেক কম।এথনও মা বনেরা অনেকাংশে নিরাপদ ভাবে ঘরে ফিরতে পারছে। যদিও প্রতিদিন কিছু কিছু ঘটনা ঘটছে, নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে দেখেন তার জন্য কারাদায়ি এ সব আলেম ওলামা না দেশের তথাকথিত ধর্মরিপেক্ষর আড়ালে ধর্মহীনতার তৎপরতার ধারক বাহকেরা।

এদেশের মুসলমান আর আফগানী মুসলমান এক নয়।তারা গোড়ামিও পছন্দ করে না আবার ধর্মের প্রতি আঘাতও পছন্দ করে না।ইস্কুল মাষ্টার দাদাকে দেখেছি নো্কাই ভোটদিতে আবার মাটির বাংকে টাকা জমিয়ে চরমোনাইরে বৎসরিক মাওফিলে শরিক হতে।সেনাকর্মকর্তা বাবাকে দেখছি ৫৮বছর বয়সে কুরআন শিক্ষার বই নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মসজিদে থাকতে, আপ্রান চেষ্ঠায় শুদ্ধ উচ্চারনে কুরআন পরতে।আবার শেখ মুজবরের ভাষণে ইত্তেজিত হয়ে আমাদের বলতে এই দেথ আমার নেতা পারলে দুনিয়া খুজে একটা দেখা।

সবকিছু নিয়ে ভালইতো ছিলাম আমরা। দেশ একটু একটু করে আগাছ্ছিল, কোন শকুনের নজর পরল আমার সোনার দেশের প্রতি। যে একটা জতিকে খন্ড খন্ড করতে চায়। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দিল আমারপ্রিয় জন্মভুমিতে। যার শুরু হয়েছিল আওমিলীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে।এখনও চলছে সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি।

হে আল্লাহ আমারদেশকে তুমি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করো।দেশের পরিচালকদের ভাল মন্দ বোঝার তৌফিক দাও। পায়ে গু লাগলে তা কেটে না ফেলে ধুয়ে ফেলতে হয়, প্রয়োজনে সার্ফএকসেল ব্যবহার করতে হয়।তাদের উত্তর সুরিরা তাই করেছিল।যে সংঘাত তারা এড়িয়েছিল, দেশ স্বাধীন হবার পর পর সাধারন ক্ষমার মাধ্যমে, তা কি আবার হয় শুরু হলো? এতে কি দেশের ভাল হবে ? না পিছিয়ে পরব আরও ১০০ বছর।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×