তোমার ঠোঁট যখন আমার চোখ ছুঁলো
বসন্তের চৈতালী বাগানে তখন
ফুটলো সহস্র রক্তগোলাপ,
উন্মাতাল দখিন হাওয়ায়
পাখা মেললো লক্ষ হলুদ প্রজাপতি,
কোকিলের কন্ঠে বেঁজে উঠলো,
রাগ বসন্ত বাহার।
তোমার ঠোঁট যখন আমার
ছুঁয়ে গেলো গ্রীবা,
একটা ক্ষীন জলপ্রপাতের
চিনচিনে শীতল ধারা
বয়ে গেলো আমার সারা শিরদাঁড়া জুড়ে,
বাইরে তখনই চমকালো,
এক তীব্র আলোর বিজলী ঝলক।
তোমার ঠোঁট যখন আমার ছুঁয়ে দিলো ঠোঁট
একটা লাজনম্র লজ্জাবতীর আস্ত গাছ নিমেষে
মুদে ফেল্লো তার সমস্ত ডালপালা পত্র-পল্লব
এক অদ্ভুৎ মায়াবী সবুজ সজীব কোমলতায়।
তোমার ঠোঁট ডুবে গেলো আমার ঠোঁটে
ভেসে গেলো চালচুলো, উড়ে গেলো ঘর,
আবিষ্ঠ আবেশে আবেশিত তনুমন,
বাঁধা পড়ে গেলো লাগামহীন সময়ের কাছে।
তোমার ঠোঁট নেমে গেলো,
থেমে গেলো আমার হৃদয়ের কাছাকাছি
হৃদস্পন্দন ছুঁয়ে পেলব কোমলতার
ফুটালো শতদল, লক্ষ, কোটি, অযুত নিযুত
অগুনিত অনিঃশেষ।
অবিরল অবিশ্রান্ত বর্ষন,
সারা শরীর জুড়ে ঝিম অবষাদ কাঁদে
অমোঘ আকুলতায়!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৩