একদা (গন্ডোগোলের তাহাদের ভাষায়) পর গোলাম আযম, নিজামী এবং মুজাহিদ আফ্রিকা সফরে বাহির হইলেন। ঐখানে পৌঁছিয়া তাহারা মনস্থির করিলেন জঙ্গল দেখিবেন। যাহা ভাবা তাহা করা। জঙ্গলে ঢুকিয়া ঘুরিতে লাগিলেন..
সহসা তাহারা আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে হারাইয়া গেলেন। তাহারা কোনো অবস্থাতেই পথ খুজিয়ে পাইতেছিলন না। হঠাৎ করিয়া তাহারা দেখিলেন একদল জংলী অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় তাহাদের দিকে ঝাপাইয়া ঝাপাইয়া আসিতেছে। ইহাতে তাহারা বড়োই ভীত হইলেন। জংলীরা তাহাদের ধরিয়া নিয়া গেলো নেতার নিকট। জংলীরাজ ৩ জনের চোখমুখ দেখিয়াই বুঝিলো যে অতীতে তাহারা কীরূপ আকামকুকাম করিয়াছেন। তাই সে কহিলো, বুঝিতে পারিতেছি, তোমরা পথ হারাইয়া ফেলিয়াছ। যাহাই হোক, তোমাদের ৩ জনকে আমি ৩টা আশ্চর্যজনক ফল আনিতে পাঠাইতেছি। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ফল নিয়া আসিবে। যদি ফলটি আমার নিকট অপরিচিত/আশ্চর্যজনক মনে হয় তাহা হইলে তোমাদের মুক্তি। আর না হইলে তোমাদের পশ্চাতদেশ দিয়া ফলটি ভরিয়া দেওয়া হইবে। কী বোঝা গেল?
তাহারা ৩ জনেই ভয়ে ঢোক গিলিলেন। এবং অনন্যোপায় হইয়া রাজী হইয়া গেলেন। ৩ জনে বাহির হইলেন ফলের খোঁজে।
সময় কাটিতে লাগিলো। হঠাৎ দেখা গেলো মুজাহিদ তার নাচিতে নাচিতে হাতে কী যেন একটা নিয়া আসিতেছেন। তিনি উৎফুল্ল চিত্তে রাজার সামনে আসিয়া ফলটা দেখাইলেন। মুখে বিকটদর্শন এক হাসি।
আর ফলটা দেখিয়া রাজার দাতগুলোও বাহির হইয়া গেল,
- এইটা কি আনলা...... এইটা তো কলা। ( রোজ আমরা কলা দিয়া গা ডলাডলি করি। দেখি তোমার পায়জামাটা খোল। মুজাহিদ পায়জামা খুলিয়া রুষ্টচিত্তে, চিমশা/ মুখে নীল-ডাউন হইয়া দাড়াইলো। কলা চলিয়া গেল তাহার পশ্চাতদেশ ভেদ করিয়া অন্তপুরে।
কিছুক্ষন পরই নিজামী লাফাইতে লাফাইতে উপস্হিত হইলো। তাহার হাতের ফলখানা দেখিয়া উপস্থিত সকলেই বেজায় হাসিতে থাকিলো। তাহার হাতে একটা নারিকেল। সে ফ্যালফ্যাল করিয়া হাতের নারিকেলের দিকে তাকাইয়া রইলো।:-* রাজা হাসতে হাসতে কহিলো, এইটাতো নারিকেল, নারিকেল দিয়া আমরা প্রতিদিন ফুটবল খেলি। দেখি তোমার পায়জামা খোল। এইটা শুনিয়া নিজামীর মুখখানা কালো রূপ ধারন করিলো/, কিন্তু সে হাঠাৎ হোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহো করিয়া হাসিয়া উঠিলো। সবাই কিন্চিত অবাক হইয়া তাহার দিকে তাকাইয়া রইলো।:-* পাগল হইয়া গেল নাকি?
যাই হৌক নিজামীর বেজায় কষ্ট হওয়া সত্বেও তাহার পশ্চাতদেশ দিয়া নারিকেল ভরিয়া দেয়া হইলো। যতই চাপাচাপি করা হয় সে খালি হাসে, হোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহো। চাপ বাড়ে, হাসিও বাড়ে। অবশেষে বহু কষ্টে কর্ম সম্পাদনের পর তাহাকে জিজ্ঞেস করা হইলো তুমি হাসিতেছো কেন?
সে বলিলো, হুজুর, আসার পথে দেখিয়া আসিলাম গোলাম আযমের হাতে একখান ইয়া সাইজের কাঁঠাল। আর তিনি তাহা নিয়া লাফাইয়া লাফাইয়া আসিতেছেন। এইজন্য হাসি।
কথা শুনিয়া উপস্থিত সকলেই আকাশ-বাতাস কাপাইয়া হাসিয়া উঠিলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১৯