৩৬ নম্বর পৃষ্ঠা
এইমাত্র দারুন বিদর্পে ঢুকে গেলে যেই শহরে, সেখানে ঢুকতেই আমাদের শরীর কেঁটে-ছিঁড়ে গিয়েছিল।আমাদের রক্তে যে-ই- গোধূলী নেমে আসলো ভাঙ্গা চশমাটা মুছে নিয়ে প্রবৃত্তিটাকে পেছনে ফেলে কেবল গোলাপের চাষই হাতে নিয়েছি।
তুমি
দাওনা
এবার গোল্লাচ্ছুট বাতাসে!
গোলাপগুলো কাঁপিয়ে বৃষ্টি নামাও, ঠোঁটগুলো গল্প লিখে যেই শ্বেতপাথরের থালায় তার পাশে অনেক স্থির সারস পাবে, কি ধ্যানমগ্ন !! রেণু মাখানো যুবতী চুলের বিছানার গন্ধকের রঙ মুছে বৃষ্টি নামাও। আগুন! সেতো জ্বলবেই এবং জ্বলছেই; মধ্যবয়সীর বুকে, বহুনারীর উরুব্যবহারে, দহনে-কাঁপনে- হরনে। গতির পাখা পোড়াবেই এবং পুড়তে পুড়তেই এই শহরের আয়ু বাড়ছে-বাড়বেই। তবুও হাতের তালুতে গোলাপভষ্মে ফুঁ দিয়ে আগুনকে হত্যাকারী বলতে আমার এখনো দ্বিধা। ইদানিং হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে ভয়; তারপরো শিউলির মতো শুভ্র জুম বালিকারা বসে থাকে শহুরেপুরুষাঙ্গুলে। অনেক রাতের মতই শেষ হচ্ছে রাত; শৃঙ্খলিত জন্মের আয়নায় চূর্ণ-বিচূর্ণ তাদের অবয়ব; অতঃপর আকুল স্বরে কেঁপেকেঁপে উঠছে নাগরিক কচি রোদ।
আজকাল নেশাপোড়া হাতের ইশারায় কেউ আমাকে স্বপ্নের ঘোরে ডাকছে। আমি উম্মাদ হয়ে যাচ্ছি, ফুঁসে উঠছি-বিষ ফনা কাঁপছে, কেবলই তৃষ্ণার্ত হচ্ছি।
যে চৌবাচ্চার জল উছলে পরতে দেখে নিরাভরন হবে
সে ভুল করবে;
কেননা স্বপ্নের মধ্যে কোন ফাঁক নেই...এর ব্যাখ্যা নেই।
কেবল খোয়াবনামার ৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় কেউ লিখে গেছে ছলনা।
-----------------------
আল্লাইয়ার