somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খয়রাতি সাহায্য নিয়ে পাহাড় পর্বতে উঠে লাভ কি?/:)/:)

১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিরোনাম টা শুনে অনেকেই হয়ত আমাকে এক চোট গালি দিয়ে নিলেন। যারা গালি দিলেন, তাদের আগাম ধন্যবাদ।

এক মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে উঠার জন্য প্রায় ৩০ -৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, অনেক ধার দেনা করে এটা জোগাড় করেছেন। এর পর আরো একজন (মুহিত) এভারেস্টে উঠলেন, তাদের দেখাদেখি আরো অনেকেই এভারেস্টে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

যদি আপনার নিজের অলস টাকা পড়ে থাকে, বাপের টাকা থাকে, তাহলে পাহাড়ে, সমুদ্রে যেখানে ইচ্ছে যান, কারো কিছু বলার নেই।

যদি আপনি ধার দেনা করে, চাঁদা তুলে এভারেস্ট যাওয়ার চিন্তা করেন, তবে আপনাকে বলবো, এই বার মাফ করেন। এর আগে বাংলাদেশ থেকে কেউ উঠে নাই, মুসা এভারেস্টে গিয়ে সেই কাজ করে ফেলল। এর পর বাকীদের এতো এতো টাকা খরচ করে যাওয়ার দরকার টা কি? শুনলাম অনেকে প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। এই সব আসলে ব্যবসায়ীক চিন্তাভাবনা। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অনেকে বিজ্ঞাপনও বানাচ্ছে, রোড শোও করছে।


খেয়াল করে দেখেন, এভারেস্টে যারা উঠেন, দক্ষিণমেরু, উত্তরমেরুতে যারা যারা যান, তাদের ৯০% ই ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। বাকী ১০% হয়ত গরীব দেশের ধনীর দুলাল। তারা এডভেনচার প্রিয়, অঢেল ইনকাম, বছর শেষে পাহাড়ে চড়ে টাকা খরচ করতে আসে।



কিন্তু আমাদের মতো গরীব দেশের মানুষ জনের জন্য ৩০-৪০ লক্ষ টাকা বিলাসীতার পর্যায়ে পড়ে। ২-৩ লাখ টাকার জন্য কতজন হার্টের চিকিৎসা করাতে পারছেন না, সেই খানে আমাদের দেশের মানুষরা এতো টাকা খরচ করে এভারেস্টে যাওয়া কতটুকু দরকারী?

এভারেস্ট যাওয়াটা এখন ব্যক্তিগত অর্জন ছাড়া আর কিছু নয়। এটা দিয়ে দেশ ও দশের কোনো উন্নতি সাধন হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৪
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×