আজকে আমি আপনাদের অধুমপায়ীর ধুমপানের গল্প শোনাব। বিষয় শুনে অনেকর খটকা লাগতে পারে সবার। অধুমপায়ী আবার অধুমপান করে কিভাবে, হ্যা সে কথাই বলবো। সাধারনত আমাকে অধুমপায়ী বলতে পারেন কারণ আমি নিজে থেকে বিড়ি, সিগারেট/ তামাক জাত পণ্য গ্রহন/পান করিনা। বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন মোটা মোটি সবাই জানে আমি অধুমপায়ী। ইদানিং কেন জানি নিজেকে অধুমপায়ী বলে পরিচয় দিতে কেমন যেন লজ্জা লাগে। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি আসলেই অধুমপায়ী ? না আদৌ নয়, তবে কেন নয়? হ্যা বলছি সে কথাই- যখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই তারা বিড়ি,সিগারেট অফার করলে বিনয়ের সাথে অধুমপায়ী পরিচয় দিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগি, কিন্তু এই আত্মতুষ্টি কতটা আমাকে স্বস্থি দেয়।
আপনারা ভাবতে পারেন আপনি ধুমপান করছেননা এই ভেবে স্বস্থি পাওয়ারই কথা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা নয়। বন্ধুরা যখন ধুমপান করে তখন তাদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারিনা কারন হয়তো অনেকে বুঝতে পারবেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে থাকা এবং তাদের বিড়ি, সিগারেট অথবা অন্য কিছুর ঠিকই গলঃধ করণ করতে হচ্ছে। এ তো গেলো একটা দিক আরো কিছু কথা আছে যখন আমি রাস্তায় হাটছি হুট করে দেখা গেলো আমার সামনে চলা লোকটি বিড়ি/সিগারেট ধরিয়ে সুখ টান দিচ্ছে আর ধোয়া ছাড়ছে তাৎক্ষনিক নাক মুখ বন্দ করার উপায় নেই ধোয়া ঠিকই আপোন ঠিকানা খুজে নিয়েছে। বাসে চলছেন বলতে না বলতেই গাড়ির ড্রাইভার হেলপার ঠিকই বিড়ি/সিগারেট ধরিয়ে ফেলছে, সিনেমা হলে যাবেন সেখানেও নিস্তার নেই। রেল স্টেশন,বাস স্টপ,হোটেল/রেস্টরেনট, হাট বাজার কোথাও নিস্তার নেই। আমাকে পরোক্ষ ভাবে ধুমপান করতেই হবে।
আর একটা কথা বলেছিলাম, নিজেকে অধুমপায়ী পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে এখন মিলিয়ে দেখুন আমি অধুমপায়ী না ধুমপায়ী।
অতএব, আমি যতই নিজেকে অধুমপায়ী বলিনা কেন রক্ত মিশে গেছে নিকোটিন.........................(চলবে)।