গত উইকেন্ডে আবহাওয়া খুব ভালো ছিল, বেশ একটা গরম গরম ভাব। আর এত সুন্দর রোদ উঠেছিল যে বাসায় থাকতেই ইচ্ছা করছিলনা।কিন্তু আমার আর দোড় কতদুর, মোল্লার দোড় মসজিদ পর্যন্ত! তো যাইহোক আমার একখানা দ্বিচক্রযান আছে, ভাবলাম ওইটা নিয়ে যতদুর যাইতে পারি। আবার একে একা যেতেও ভালো লাগেনা। বলব কি বলবনা করেও আমার এক প্রতিবেশীকে (চাইনীজ খুকি) বললাম। সেও রাজী হল। খুকি বলার কারন বয়ষ আর আচরন এই দুইয়ের মাঝের বিশাল ফারাক। বয়ষ ত্রিশোরধ কিন্তু আচরন সেই ১৬ তেই পড়ে আছে। কিন্তু এম্নিতে ভালো, আমাকে একবার দাওয়াত করেছিল । সে যাই হোক, দুজনে ঠিক করলাম মাছ ধরতে যাব, কারন কাছে পিঠে যাবার জায়গা বলতে ওই একটাই লেকের ধার।
বের হলাম দুজনে। সাথে কিছু আটা নিয়েছিলাম। এত মাছ যে বরশি ফেলের সাথে সাথেই মাছ উঠে। আমি আটা দিতে দিতে হয়রান। ফেল্লেই মাছ। ততক্ষনেত ছোট মাছেদের গারজিয়ানহুলা আমাদেরকে অভিশাপ দেয়া শুরু করে দিয়েছে। যাইহোক অনেক মাছ পেলাম (সাইজ জানতে চাইবেন না কিন্তু)। শেষে ছোট ছোট যেগুলো উঠছিল সেগুলা ছেড়ে দিচ্ছিলাম। মাছ ধরা শেষ এবার ফিরার পালা।তো সেই মুহুরতে দুই বৈদেশি আসল, এসে জানতে চাইল মাছ পেয়েছি কিনা। প্রশ্নটা শুনে খুশিই হলাম, কারন আজকে ভালোই মাছ পেয়েছি। খুশি হয়ে বললাম হ্যা, এই যে দেখ। আর অমনি আমার সকল ইজ্জত সন্মান ডুবায়ে তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল, হুম অনেক পেয়েছ, তোমাদের কি বিড়াল আছে? তারপর সে বলেই চলল তার নিজের বিড়ালের কাহিনী। কিন্তু আমার মন ততক্ষনে দুঃখ ভারাক্রান্ত, আমার কি আর তার বিড়ালের কাহিনী কানে ঢুকে।
যাহোক বাসায় ফিরতে ফিরতে মনটা ভালো হয়ে গেল। বাসায় ফিরেই মাছগুলা পরিষ্কার করে লবন, হলুদ, মরিচের গুড়া আর সামান্য তেল দিয়ে মাখিয়ে ফেললাম। মিনিট বিশেক পরে মাছগুলাকে মচমচে করে ভেজে নিলাম। চাইনীজ খুকিটাকেও কয়েকটা দিলাম আর বাকীগুলা আমি বাগালাম। দারুন টেশ!