আমার অর্থহীন পৃথিবীকে যখন মনে হচ্ছিল নরকের প্রতিশব্দ,
যখন ব্যর্থতার ঘূর্ণিপাকে হাবুডুবু খেতে খেতে জীবন ছিল ওষ্ঠাগত,
হারাতে হারাতে যখন নিজের বলে কোনকিছুই ছিলনা
নিজেকে যখন হারিয়ে ফেলে খুজে খুজে ক্লান্ত আমি,
তখন হাজার আশার স্বপ্ন নিয়ে আমার ভুবন রাঙাতে তোমার আবির্ভাব।
আমার প্রতিটা শিরা উপশিরা যখন হতাশার চোরাগলিতে মুখ থুবড়ে পড়ছিল,
যখন স্বপ্ন আমার জন্য মরীচিকা হয়ে উপহাস করছিল প্রবল উৎসাহে,
চাওয়া আর পাওয়া যখন ধোঁয়াশার মত আচ্ছন্ন করে রেখেছিল আমাকে,
আমার জীবনের সত্য ও সুন্দরের প্রতিমা হয়ে এলে তুমি।
দিনগুলো যখন চেপে বসেছিল বুকের মাঝে জগদ্দল পাথর হয়ে,
কষ্টগুলোকে তখন উরিয়ে দিতে চাইতাম সিগারেটের নীলচে ধোঁয়ার সাথে,
পড়ে থাকা ছাইকে ভাবতাম সুখের সুদৃঢ় স্পষ্ট উদাহরন।
মিথ্যে বলবনা, জীবনের সংজ্ঞা তুমিই তো শিখিয়েছ তখন।
নষ্ট অতীতকে যখন বুকের মাঝে চিরস্থায়ী বসত করে দিচ্ছিলাম,
মিথ্যের মাঝে যখন খুজে বেড়াচ্ছিলাম সত্যের অনিশ্চিত হাতছানি,
বুকের জমে থাকা কষ্ট যখন কুঁকড়ে কুঁকড়ে নষ্ট করছিল সত্ত্বাকে,
তুমিই তো দিলে সব ভুলে সামনে এগুবার প্রেরনা আর সাহস।
হয়তো তুমি নও নাটোরের বনলতা সেন,
কিন্তু আমার লক্ষ্যহীন জীবনের দিক নির্দেশ তো তোমারই দেওয়া।
নিজেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আবারো গড়তে বসি শুধু তোমার জন্যই
জীবনের অর্থ তাইতো তোমার মাঝেই খুজে বেড়াই নিরন্তর।
মাঝে মাঝে তাই খুব ভয় হয়, মনের কোনে জমাট বাধে অন্ধকার,
দুঃস্বপ্ন দেখে ভাঙ্গে আমার সুখনিদ্রা, থমকে যায় হৃদপিণ্ড,
আচমকা ঝড়ে সবকিছু উলট পালট হওয়ার শঙ্কা কাপন ধরায়,
বিশ্বাস কর আমি দুঃস্বপ্নেও তোমাকে হারাতে চাইনা।
আমার অন্তহীন এই অনিশ্চিত পথের বাকে বাকে তোমাকে চাই,
তুমিই তো আমার নিরন্তর পথচলার সাহসী সহযাত্রী।
তোমার চোখে চোখ রেখেই করব অসম্ভবকে সম্ভব, তোমাকেই বুকে জরিয়ে আমি হাজারবার বলতে চাই-----
"বড় বেশি ভালবাসি তোমায়"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


