বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ।এদেশের সংবাদ মাধ্যমের যথেষ্ট স্বাধীনতা রয়েছে। সুতরাং সংবাদপত্র গুলোকে স্বাধীনতা দেওয়ার মানে এই নয় যে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিকের বিরুদ্ধে তাঁরা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা। বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই যে কোন সাংবাদিক বা সম্পাদক এমন মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করে পার পেয়ে গেছেন বা উক্ত সংবাদপত্রে বহাল রয়েছেন। তাঁরা মানসম্মান ও কর্তব্যবোধের জন্যেই পদ থেকে পদত্যাগ করে থাকেন। এমনকি সংবাদপত্রের মহাপরিচালক বা প্রধান সম্পাদকও পদত্যাগ করার নজির বিশ্বে রয়েছে। আর বাংলাদেশে, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেসময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় প্রচার করে যা তিনি নিজে স্বীকারও করেছেন এবং সারা দেশে তুমুল বিতর্কের ঝড় সৃষ্টি করেছেন। দেশের সুশীল সমাজ ও জনগন এই কাণ্ড জ্ঞানহীন সম্পাদকের পদত্যাগ ও পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে রাজপথে মিছিল ও দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছেন।আর উনি পদত্যাগ না করে নির্লজ্জের মত আসনে বসে আছেন।আমরা অনেকেই জানি, ব্রিটেনের এক সাবেক রাজনীতিবিদকে ভুল করে শিশু যৌন হয়রানির সংবাদ প্রচার করে বিবিসির মহাপরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জর্জ এনটুইসল ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এবং দায়িত্ব নেয়ার মাত্র দু’মাস পরই পদত্যাগ করেন যদিও তখন তিনি নিউজনাইট অনুষ্ঠানের রিপোর্টটির ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না কিন্তু প্রধান সম্পাদক হিসেবে বিবিসির সকল সংবাদের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপরই বর্তায় তাই সম্মানজনক কাজ হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন(http://71.18.217.100/?p=727#.Vr23ckDcfm7)
ব্রিটেনভিত্তিক আরেকটি সাময়িকী 'রিমোট সেন্সিংয়ের' এ জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত ভিন্নধারার একটি প্রতিবেদনে খুঁত ছিল এবং ভুল করে তা প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছিলেন সাময়িকীটির প্রধান সম্পাদক(Click This Link) অপরদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পদত্যাগ করেছেন বলে ভুল খবর প্রকাশের দায়ে বরখাস্ত হলেছিলেন দেশটির চার চারজন সাংবাদিক এবং এই সাংবাদিকরা ভুল স্বীকার করেছিলেন ও তাদের বরখাস্তকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন (Click This Link)
আমাদের দেশের সাংবাদিক বা সম্পাদকরা মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করেও তাঁরা নির্লজ্জের মত আসনে বসে আছেন যা সাংবাদিক সমাজকে কলুষিত করছে। এসকল সাংবাদিক বা সম্পাদকদের বিদেশী সাংবাদিক বা সম্পাদকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরো সাংবাদিক সমাজকে কলুষ মুক্ত করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬