somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোটরসাইকেল ভ্যালী
মোটরসাইকেল ভ্যালী ২০১২সালের ২৫শে জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং সর্ব বৃহৎ মোটরসাইকেল বিষয়ক ওয়েবপোর্টাল। মোটরসাইকেল বিষয়ক তথ্য, দাম, সংবাদ, রিভিউ, টিপস, শোরুমের ঠিকানা সহ মোটরসাইকেলের প্রায় সব কিছুই রয়েছে এখানে।

কিভাবে আপনার মোটরসাইকেল ধৌত করবেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। আর তাই ধুলো-বালি-কাদা আমাদের নিত্যসংগী। এছাড়াও ২-৩ মাস রয়েছে বর্ষাকাল। দেশের সকল রাস্তাই পাকা নয়, আর শহরের রাস্তাও অনেক এলাকাতেই খানাখন্দক থাকায় কিছু পানি-কাদা থাকেই। মোটের উপরে রাস্তায় বাইক চালালে শীতকাল হোক বা বর্ষাকাল; বাইকে একটু আধটু কাদাপানি লাগেই। আর বর্ষাকালে গ্রামের রাস্তায় কাদার কথা নতুন করে বলার কিছুই নাই। বর্ষায় কাদা লাগলে মাঝে মাঝেই বাইক ওয়াশ করা দরকার আর সাধারন দিনেও কিছুদিন অন্তর অন্তর বাইক ওয়াশ করা দরকার। তাহলে বাইক দেখতেও যেমন সুন্দর থাকে, তেমনি ময়লা-কাদা লাগা জায়গায় মরিচা পড়ার সম্ভবনাও থাকে না।

বাইক ওয়াশের জন্য স্থানীয় পরিচিত মেকানিকস/সার্ভিসিং সেন্টার থেকেই করিয়ে নিতে পারবেন। যদিও সেটি সব সময় হয়ে উঠে না। আর তাই চাইলে আপনার প্রিয় বাইকটি নিজের হাতেই ওয়াশ করাতে পারেন। প্রতিটি কাজের কিছু কষ্ট আছেই, কিন্তু ওয়াশ শেষে যখন চকচকে একটি বাইক আপনার সামনে থাকবে তখন পেছনের কষ্টটুকু ভুলে যাবেন বলেই আশা করা যায়। আর সবচেয়ে বড়কথা চকচকে পরিস্কার একটি বাইক বাইকারের রুচীর পরিচয়ও বহন করে।

বাইক ওয়াশ জটিল কোনো কাজ নয় এবং প্রয়োজনীয় উপকরন গুলোও মোটামুটি আমাদের সকলের বাসাতেই থাকে। আসুন দেখি ঘরোয়াভাবে বাইক ওয়াশে কি কি লাগে-

১. শ্যাম্পু/শাওয়ার জেল (বাইকের জন্য আলাদা শ্যাম্পু পাওয়া সেটি নিতে পারেন, তা না হলে মাথায় দেয়া শ্যাম্পুর ২-৩টি মিনি প্যাকই যথেষ্ট)
২. কিছু নরম সুতির কাপড়/টিস্যু পেপার, টুথব্রাশ, রংএর ব্রাশ এবং সামান্য মবিল(ইনজিন ওয়েল)
৩. হ্যান্ড শাওয়ারসহ পানির পাইপ, অথবা বালতি এবং মগ

কিভাবে বাইক ধৌত করবেন-

প্রথম পদ্ক্ষেপ-
একটু ঢালু জায়গা নির্বাচন করুন বাইক ধৌত করার জন্য। যেন পানি গড়িয়ে চলে যেতে পারে। বাইকটি ডাবল স্ট্যান্ড করে দাড় করান। এরপর পানির পাইপ দিয়ে বা বালতি থেকে মগে করে পানি নিয়ে আস্তে আস্তে পুরে বাইক ভিজিয়ে দিন। বিশেষ করে ইনজিন, ইনজিনের নীচে, টায়ার, মাডগার্ড, সাইলেন্সার পাইপের নীচে, স্ট্যান্ড ইত্যাদি জায়গাতে কাদা/ময়লা লেগে থাকে। এখানে ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন ময়লাগুলো ভিজে নরম হওয়ার জন্য। এরপর ময়লা জায়গা গুলো ব্রাশ করে পরিস্কার করুন। ময়লা জায়গাগুলো পাইপের পানি দিয়ে পরিস্কার করুন অথবা মগে করে পানি নিয়ে একটু জোরে ঢেলে দিন যেন ময়লাগুলো চলে যায়।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ-
বালতিতে ২মগ পরিমান পানি নিয়ে তাতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ফেনা করে ফেলুন। এরপর নরম কাপড়ের সাহায্যে পুরো গাড়িতে শ্যাম্পু দিন। ইনজিন এবং কষ্টকর জায়গা গুলো ব্রাশের সাহায্যে শ্যাম্পু দিন। মিনিক দশেক অপেক্ষা করুন এরপর নরম কাপড় দিয়ে পুরো গাড়ি হালকা ঘষে পরিস্কার করুন এবং ইনজিন ও টায়ার, মাডগার্ড এরিয়াগুলোতে ব্রাশের সাহায্য নিন। আবার পুরো গাড়িতে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ইনজিনের নীচে বা মাডগার্ড এলাকাতে জোরে পানি দিন যেন কোনো কাদা-ময়লা না লেগে থাকে। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন বাইকের পানি ঝরে পড়ার জন্য এরপর শুকনা নরম সুতির কাপড় দিয়ে বাইকটি মুছে ফেলুন যেনো কোথাও পানি লেগে না থাকে, প্রয়োজনে টিস্যু পেপারের সাহায্য নিতে পারেন।

বাইক থেকে পানি শুকিয়ে গেলে চেইনে সামান্য মবিল দিন এবং বাইকটি স্টার্ট দিয়ে ৫মিনিট ইনজিনটি চালু রাখুন।

বাইক ধোয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ
০১. গরম ইনজিনে পানি ঢালবেন না, প্রয়োজনে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন
০২. বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান/শ্যাম্পু/ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না, বাইকের রং নষ্ট হয়ে যাবে।
০৩. বাইক ধোয়ার সময় বাইকের চাবিটি খুলে রাখুন যেন সেদিক দিয়ে পানি না ঢুকে পড়ে।
০৪. ডিস্ক ব্রেকে কোনো তেল জাতীয় জিনিস না লেগে থাকে এবং ড্রাম ব্রেকের ভেতরে পানি ঢুকে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন.
০৫. বাইক ওয়াশ শেষেই বাইক না চালিয়ে অন্তত কিছু সময় পরে চালান, বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি গুলো আপনাকে বিরক্ত করতে পারে।
০৬. বাইক ধোয়ার সময় এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যাতে বাইকের গায়ে দাগ পড়ে যেতে পারে।

এভাবে আপনার প্রিয় বাইকটি আপনি বাসাতেই ধৌত করতে পারেন, খরচ বাচার বিষয়টি না বাদ দিলাম, কিন্তু নিজের হাতে বাইকটি ঝকঝকে নতুনের মতো করে তোলার যে আনন্দ এর মুল্য অনেক।

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×