মৌলিক আর যৌগিক দুটি শব্দ আছে, মৌলিক মানে খাটি আসল, আর যৌগিক মানে বেজাল। খুব গভীর ভাবে লক্ষ করে দেখলাম আমাদের বাংলাদেশে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে মাত্র ২ টি দল মৌলিক,
১) আওয়ামীলীগ।
২) জামাত শিবির।
যৌগিক আর চুদুরবুদুর দল হলো
১)বি,এন,পি
২) জাতীয়পাটি।
আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ও প্রেসিডিয়াম সকল সদস্য তাদের জন্ম হতে আওয়ামীলীগ ও তাদের বেশীভাগ সদস্য একাদিক বার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিদি ছিল। আর জামাত শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য সাবই জন্ম লগ্ন হতেই জামাতের রাজনীতির সাথে জড়ীত।
কিন্তু বি,এন,পির স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যরা তাদের জন্ম লগ্ন হতে বি,এন,পির রাজনীতির সাথে জড়ীত নন। এমন কি বেশীর ভাগ স্থায়ী কমিটির সদস্য কোন দিন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। যেমন - নজরুল ইসলাম, রুহুল কবির রিজবী তারা বি,এন, পি কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য হলেও যতদুর জানি তারা কোনদিন কোন জন প্রতিনিধিত্ব করেনি। মজার ব্যাপার হলো বি,এন,পি হাইকমান্ড মুলনীতি নির্ধারক হলো মওদুদ আহম্মদ , এই মওদুদ আহম্মদ একজন তৎকালীন জাতীয় পাটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিল। আর বি,এন,পি প্রতিষ্টতা সদস্য আলী আহম্মদ, বদরুদ্দোজা, নাজমুলহুদারা আছে মুল বি,এন,পি দলের বাইরে। সুতরাং বি,এন,পি একটি কোন সারির দল তা আর গভীর ভাবে বিশ্নষণ না করে চোখ বুঝে একটি শিশুও বলে দিতে পারবে।
আর জাতীয়পাটি কথা এখানে বলে সময় নষ্ট করতে চায়না।
এবার দেখাযাক আওয়ামীলীগে পাতানো পাদেঁ যে বি,এন,পি পা দিল তার কিছু বিচার বিশ্নষণ।
বাংলাদেশের কেডার ভিত্তিক ও হেভীওয়েট দাপট লিডার ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বলতে আমরা আওয়ামীলীগকে বুঝি। যেমন - শামীমওসামন, জয়নাল হাজারীর মত আলেচিত র্দুদান্ত শাক্তিশালী সস্ত্র বাহিনীর লিডার হল এই দুই জন। তাদের রয়েছে বিশাল আকারের শক্তিশালী ভয়ঙ্কর বাহিনী। দেশের প্রায় সব শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্টানের ছাত্র রাজনীতির মাট ছাত্রলীগের দখলে থাকে। হাটবাজারে চাঁদাবাজী, জবর দখল ,টেন্ডারবাজী, জোর-জবর ধ্বস্তী করে অন্যের সস্পদ ভোগ করা। সন্ত্রাস, মাস্তানী, খুন, রাহজানি, দর্শনের মত অনৈতিক কর্মে যারা সবেচেয়ে বেশী জড়ীত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় হলো এই আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ।
আওয়ামীলীগ দীর্ঘ্য দিন যাবৎ আপ্রাণ চেষ্টা করতেছে তাদের এই উগ্রআচরণের দুর্নাম ও সন্ত্রাসীর কোলস কলঙ্খ হতে বের হয়ে আসতে। ইতি পূর্বে আমরা দেখেছি আওয়ামীলীগ র্দুদান্ত শাক্তিশালী নেতা জয়নাল হাজারীকে দল হবে বহিষ্কার করতে।
আওয়ামীলীগে সন্ত্রাস চেহেরা ঢাকার সর্বশেষ চেষ্ট হলো এই রাজাকার মৌলবাদ জামাত শিবির ও র্ধম অন্ধ উগ্র মৌলবাদী হেফাজতকে উষ্কেদিয়ে দেশে একটি মারাত্ব বিশৃঙ্কলা সৃষ্টি করতে। আওয়ামীলীগ ১০০ তে ১০০% সফল হয়েছে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। কিন্তু বেকুপ বি,এন,পি ও তাদের অন্যতম বন্ধু জামাত শিবির এখনো বুঝতে পারতেছেনা এটি একটি আওয়ামীলীগে পাতানো পাঁদ।
খুব গভীর ভাবে লক্ষ করুন। এখন আওয়ামীলীগের সব সন্ত্রাস, নেক্কারকর্ম, নৈরাজ্য, খুন, সন্ত্রাস, সব মুর্হুতের মাঝে ঢাকা পড়ে গেছে জামাত শিবির ও হেফাজতের কর্মকান্ডে।
পবিত্র কোরআনে আগুন।
জীবন্তু মানুষকে পুড়িয়ে মারা।
উদ্ভিদ কেটে কেটে ধ্বংস করা।
নিরহ প্রাণী হত্যা।
শিশু বৃদ্ধ মানুষ হত্যা।
পেট্রোল বোমা মেরে গাড়ীতে আগুন।
পুলিশ হত্যা।
সরকারী স্থাপনায় সরাসরি হামলা।
বিদ্যুত কেন্দ্র হামলা ধ্বংস।
রেললাইন উপড়ে ফেলা ও রেলে আগুন।
মোট কথা বি,এন,পি জামাতের নাশকাত আর আন্দোলনের এমন হিংস্রাত্বক আর নিশৃংসকতার কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মনকে সক্তি ভাবিয়ে তুরেছে। আমি মনে করি আওয়ামীলীগ ইচ্ছাকৃত ভাবে বি,এনিপি জমাতকে এই সব কর্মকান্ডে ঠেলে দিয়েছে অনেকটা দাবাখেলার গুটি চালের মত।
আরো লক্ষ করে দেখুন।
আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে বার বার বলা হত, বি,এন,পি আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই, তারা ঘরে বসে থাকে, বি,এন,পি কিছুই করত পারেনা, বি,এন,পি ভীতুদের দল। এই সব কথা বলে বলে বি,এন,পি জামাতের গায়ে গৃণার আগুন জ্বালিয়ে দিত বার বার। আওয়ামীলীগ নিজেই্ চায় বি,এন,পি জামাত দেশে আরো বেশী নাশতা আর ধ্বংসাত্বক কর্ম কান্ড করুক র্নিদয় আর মির্মমতার সাথে।
যাক শেষ পর্যন্ত অনেকটা সফল হয়েছে আওয়ামীলীগ , এখন ইন্টার নেট সার্স করলে হাজার হাজার ছবি মুর্হুতে পাওয়ায়ায় বি,এন,পি জামাতের নাশতার। সাময়ীক আওয়ামীলীগ হেরে গেলেও বিশ্ব দরবারে , বিশ্ব মিডিয়ার কাছে হেফাজত আর জামাত শিবির ইতিমধ্যে র্ধমীয় উগ্রমৌলবাদরে খাতায় নাম লিখিয়েছে। আর তাদের সহয়তা দিচেছ বি্এন,পি। মাঝ খানেবসে মজালুটে নিল আওয়ামীলীগ। হয়তো আবারে দেখবো। আগমীতে ৫/৬ বছর পর আওয়ামীলীগ আবারে ক্ষমাতায় আসবে আর চিরতরের জন্য বসে বসে আঙ্গল চুষবে বেকুপ বি,এন,পি আর জামাত শিবির ও হেফাজতের কলঙ্কেল বোঝা মাথায় বহন করে গুরে বেড়াবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১