somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবির সুমনঃ ঠাস বুনোটের বৃত্তে বন্ধী জীবনে একজন গানের সেতুকার এবং দর্শনের ফেরিওয়ালা

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নব্বইয়ের দশকে বেড়ে উঠা প্রজন্মের নিজের জীবন ও সমসাময়িক প্রেক্ষিত নিয়ে শ্লাঘা বোধ করার অনেক উপলক্ষ্য আছে। এই অনেক উপলক্ষ্যের একটা হচ্ছে – গানের মাধ্যমে ব্যক্তিতান্ত্রিক বোধ থেকে শুরু করে দর্শন, রাজনীতি থেকে সমাজনীতির পথে-প্রান্তরে চিন্তার এক নিরন্তর প্রবাহ। আমারও্ এই ছাপোষা জীবনের অলিগলি ঘুরে আমি হয়ে উঠার পিছনের গল্পের অনেকটুকু জুড়ে নব্বইয়ের দশকের শুখা সময়ের সান্তনা। গানের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয়তা এই দশকের পরে স্থিমিত হয়ে যায়। আমি যতটুকু মনে করতে পারি সে সময়ে গানের তিনটা ভিন্ন ধারা শ্রোতাদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় ছিলো – বাংলা ব্যান্ড সংগীত, হিন্দি সিনেমার গান আর কলকাতার জীবনমুখী গান। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জীবনমুখী গানের প্রচন্ড ভক্ত ছিলাম – কতোটা বুঝে আর কতোটা না বুঝে সেটা আলোচনার বিষয় অবশ্য! আর জীবনমুখী গানের কথা আসলে তিনটা নাম চিন্তার জগতে বাউলা নৃত্য শুরু করে – কবির সুমন, অঞ্জন দত্ত এবং নচিকেতা। তিনজনকেই জীবনমুখী গানের বাহক বলা হলেও তাদের প্রত্যেকের গায়কী, সুর এবং গানের কথায় সুস্পষ্ট একটা দেয়াল আছে। তিনজনের গানের ধরন তিন রকম – যেমন কবির সুমনের গানে দর্শনের আলাদা একটা অস্তিত্ব দেখতে পাই আমি, যদিও তার গানে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব ছিলো তবে আমার কাছে মানুষের জীবন দর্শনের প্রভাবটাই বেশী মনে হয়। অন্যদিকে অঞ্জন দত্তের গানে মধ্যবিত্তীয় জীবন আর মানুষের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার প্রভাব অনেক বেশী। কিন্তু নচিকেতার গানে আবার রাষ্ট্র, রাজনীতি ইত্যাদির উপস্থিতি অনেক প্রকট। জীবনমুখী গানের এই তিন ফেরিওয়ালার প্রত্যেককে নিয়ে আলাদা লিখার ইচ্ছে আছে। এই ইচ্ছার প্রতিফলনের এই প্রথম পর্বে আজকে থাকছে শব্দের কলরব আর গিটারের ঝংকারে দর্শন ফেরী করে বেড়ানো কবির সুমনের কথা।

তবে জীবনমুখী গান শুনতে শুরু করার পর এই তিনজনের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লাগতো নচিকেতাকে এবং তার গানই বেশী শোনা হত। কবির সুমনের গান প্রথম কোনটা শুনেছিলাম সেটা মনে নেই, তবে এই নামটা কিভাবে মাথায় গেঁথেছিল সেটা মনে আছে। ২০০২ সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর যখন মেসে উঠলাম, তখন বন্ধু মহলে প্রায়সময়ই আলোচনা হত যে কলকাতার একজন গায়কের সিগারেট নিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় মিনিটের একটা গান আছে। এই গান প্রসঙ্গে কবির সুমনের মজার একটা কথা সুমনামি সাইটে পড়েছিলাম, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন –

আশ্চর্য! এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৫৫৫৬৩ জন বঙ্গ সন্তান আমায় জিজ্ঞেস করেছেন, এটা কি একটা সিগারেট? আশ্চর্য! এই হচ্ছে আমাদের আধুনিক বাংলা… it’s a very interesting commentary on our people. এবং এরপর এরা রবীন্দ্রনাথের ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’ শুনে বলবেন, ‘ওটা একটা পেসমেকারকে নিয়ে লেখা’।


যাইহোক সুমনের কথা আসলে ‘তোমাকে চাই’ প্রসঙ্গ অবধারিত, ১৯৯২ সালে এই গান দিয়ে যিনি শুরু করেছিলেন বাংলা গানের এক নতুন অধ্যায়ের। সম্ভবত কবির সুমনের গানের মাধ্যমেই বাংলা গানের এক ক্রমবিবর্তনের সূত্রপাত হয়েছিলো যার প্রভাব নব্বইয়ের পরেও একটা লম্বা সময় পর্যন্ত বাংলা গানে বর্তমান ছিলো। মানুষের অচেতন মনে গুনগুন করা চাপা চিন্তা আর নগর জীবনের গল্প তিনি বলে গেছেন তার গানের মাঝে। এজন্য অনেকে তাকে ‘নাগরিক কবিয়াল’ বলেও ডাকেন। তার গানের অন্যতম প্রধান বিশিষ্ট ছিলো তিনি গানকে কখনই কোন গণ্ডিতে বেঁধে দিতেন। গানের কথার শব্দ চয়নে সেই গন্ডিহীনতা হয়ে উঠেছে মুখ্য, তিনি শ্রোতাকে দিয়েছেন চিন্তার অবিরাম স্বাধীনতা। তিনি যখন বলেন –

“নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই
এক ফোঁটা শান্তিতে তোমাকে চাই
বহুদূর হেঁটে এসে তোমাকে চাই
এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই”

অথবা

“চেনা মোড়ে চেনা দঙ্গল
চেনা ভাংগা পথ ঘাট, চেনা বাড়ি, চেনা মাঠ,
চেনা নাগরিক জংগল
চেনা বাস, চেনা রুট, চেনা রুটি বিস্কুট,
চেনা চেনা চায়ের গ্লাস।”

তখন এই গন্ডিহীনতাই উম্মুক্ত করে দেয় তার শ্রোতাদের চিন্তার অলিগলি – তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে এক দার্শনিক সুমনের ভূবনে মুগ্ধ নিমন্ত্রণ। ‘তোমাকে চাই’ যেমন তার শ্রোতাদের মাঝে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম দেয়, তেমনি বব ডিলানের Blowin’ in the wind গানের অনুবাদ এবং সুর দিয়ে গাওয়া “কতটা পথ”-এ নিজেই জুড়ে দিয়েছেন অনেকগুলো প্রশ্ন!

কত হাজার বারের পর আকাশ দেখা যাবে?
কতটা কান পাতলে তবে কান্না শোনা যাবে?
কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে -
বড্ড বেশী মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে?

কবির সুমন ঠিকই বলেছিলেন এই প্রশ্নগুলো সহজ এবং হয়তো উত্তরও জানা, তারপরও এই গানের কথা এবং ভিতরের দর্শন মানুষকে আলোড়িত করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। জীবনে চলার পথে আগামীর রতযাত্রায় ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিগুলো কিভাবে ব্যাথিত করে তা যেমন উঠে আসে তার ‘ও গানওয়ালা’তে তেমনিভাবে নাগরিক জীবনের বিষণ্ণতার ছবি আঁকেন ‘বাঁশুরিয়া’ গানে। শুধু তাই নয় খেটে খাওয়া মানুষের মজুরীতে ভাগ বসানো লোকদের সাজানো জলসায় গানের কথা বলে তিনি বুঝিয়ে দেন নগরের যান্ত্রিক জীবনে নিজের অস্তিত্বের লড়াইয়ে পর্যুদস্ত যেকোন দর্শনের কোলাহল। ‘বাশুরিয়া’র পাশাপাশি নব্য নগরায়নের নাগরিক জীবনের পরিসর নিয়ে তিনি গেয়েছেন ‘পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধূলো, ঘাসের অভাব পরোয়া করে না সবুজ বাচ্চাগুলো’ এর মত জীবন্ত কথার আখ্যান।

সুমনের গানের দর্শন নিয়ে কথা বলতে গেলে পুরো একটা লেখা সম্ভব শুধু ‘জাতিস্মর’ নিয়েই। ‘জাতিস্মর’ গানটা শুনার বা এই গান নিয়ে কথা বলার সময় আমার একটা কথা বার বার মনে আসে – এই গান দিয়েই বাংলা সংগীতে মহাকালকে বেঁধেছেন কবির সুমন। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি যেমন রঙ তুলিতে সময়ের শ্রোতকে বন্ধী করে ‘মোনা লিসা’র হাসিকে করেছেন চিরসবুজ, তেমনি ‘জাতিস্মর’ গানে কবির সুমন সময়কে বেঁধেছেন মহাকালের গণ্ডীতে। অমরত্বের প্রত্যাশা না থাকার দাবী দিয়ে শুরু করা ‘জাতিস্মর’ এর প্রতিটি অন্তরাতে তিনি বলেছেন অমরত্বের গল্প আর শেষ করেছেন আবারও আসার প্রতিজ্ঞা দিয়ে – যার মানে হচ্ছে মানুষ মৃত্যুকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নেয় ঠিকই তবে স্বপ্নটা তার থেকে যাওয়ার, না পারলে ফিরে আসা।

যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা
কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা
বার বার আসি আমরা দুজন বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকেই চাই।

‘জাতিস্মর’ গানটা নিয়ে কথা বলার সময় আরেকটা গানের কথা আমার মাথায় চলে আসে – সেটা হলো ‘জাতিস্মর’ সিনেমায় রূপঙ্করের গাওয়া গান ‘এ তুমি কেমন তুমি’। রূপঙ্কর বাগচীর কণ্ঠে অসাধারণ আবেগের একটি গান (এই গানের জন্য ২০১৩ সালে সেরা পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন), তবে যতবারই শুনি ততবারই এই গানের মাঝে আমি কবির সুমনের অস্তিত্ব খুঁজে পাই। নিজে কন্ঠ না দিলেও ‘এ তুমি কেমন তুমি’ গানের কথা এবং সুরে বারংবার মুগ্ধ করেন তিনি। এই গানের আমার ভীষণ পছন্দের কিছু পংক্তি দিলাম আপনাদের জন্য –

এসেছি আগেও আমি যখন তুমি পদ্মাবতী
কবেকার পুঁথির শোলক তোমার মতই অশ্রুমতি।
অশ্রুর একটি ফোঁটায় জন্ম আমার আমার মরণ!
নীরবে জাতিস্মরের গল্প বলা তোমার ধরন -
ঝরেছ বৃষ্টি হয়ে আগেও তুমি আবার ঝর –
এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর!
এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধর!

সময়কে স্তব্ধ করে দেওয়ার মতো কিছু কথা – তাইনা? মানুষের জীবনীশক্তির সবচেয়ে বড় উৎস কি? সুমনের গানে যেমন বেঁচে থাকার উম্মাতে আছে আশার দাম্ভিকতা। তাইতো কবির সুমন গেয়েছেন –

হিসেব মেলানো ভার আয় ব্যয় একাকার...
চলে গেলো সারাদিন, এলো গোধুলি...
সন্ধ্যে নিবিড় লুটে, অনেকটা চেটেপুটে
অন্ধকারের তবু আছে সীমানা…
সীমানা পেরুতে চাই, জীবনের গান গাই...
আশা রাখি পেয়ে যাব, বাকী দু'আনা...

কখনও সময় আসে...জীবন মুচকি হাসে...
ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা
অনেক দিনের পর মিলে যাবে অবসর
আশা রাখি পেয়ে যাব, বাকী দু'আনা...

আমি সুমনের গানের প্রতি আমার মুগ্ধতার প্রতিচ্ছবি আঁকতে পারি বহুভাবে। আশা নামক এই অফুরন্ত জীবনীশক্তি নিয়ে মানুষ আছে বলেই নিজের সবচেয়ে কাহার সময়ে ভাবতে পারে ‘অন্ধকারের তবু আছে সীমানা…’ আর ঝাপিয়া পরতে পারে সীমানা পেরুনোর সেই লড়াইয়ে।

তবে সম্ভবত কবির সুমনের দর্শনের সবচেয়ে বেশী আস্ফালন দেখিয়েছেন যে এ্যালবামে সেটা হচ্ছে ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘যাবো অচেনায়’। এই এ্যালবামের প্রতিটি গানে কবির সুমন বলে গেছেন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যের কথা – মৃত্যু। গানের মাঝে ‘ছুটি’ শব্দের প্রয়োগ দিয়ে তিনি মৃত্যু হুঁশিয়ারি দিলেও বলেছেন মরার আগে বাঁচার কথা। ‘এই ভাবে’ গীতিকবিতায় তাই কবির সুমন বলেন -

মোদ্দা কথা টা হলো বাঁচো
আয়নায় একা একা নাচো
অঙ্গভঙ্গি এলোমেলো
নিজেকে দেখেই হেসে ফেলো

অত গুরুতর নয় সব
গোদা মানুষের কলরব
আসলে ব্যস্ত সব্বাই
ক্রোড় পতি জগাই মাধাই!

মানুষের প্রতি মানুষের আচার ব্যবহার নিয়ে ব্যথিত সুমন তাই ভ্যানগাড়িতে ঝুলিয়ে রাখা মুরগির মাঝে নিজেকে খুঁজে পান।

সবাই বাঁধা বোকার মতো মানুষ যেমন বাঁধা
নিয়ম হিসেব গন্ডা কড়ায় মুরগি হলাম দাদা
মানুষ এখন বন্ধুদের মুরগি বলে ভাবে
কেউ জানে না কখন করা চিলি চিকেন খাবে

শুধু তাই না, ‘সবাই খেলে সবাইকে হয় খাবার সহজলভ্য’ দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন ক্ষুধার সাথে খাদ্যের দুষ্প্রাপ্যতার এক অমোঘ সমীকরণের ছবি আঁকেন। কিংবা ‘আমার ছুটিতে’ থাকে ছুটির আগে তার পথচলায় প্রিয়জনকে সঙ্গে পাওয়ার আকুতি… এই আকুতি কি আমাদের সবার জীবনের একটা সময়ের অসহায়ত্বকে প্রতিনিধিত্ব করেনা? আমাদের একটা সময়ে কারো পাশাপাশি অনেকটা পথ চলার ইচ্ছাকে স্পষ্ট করেনা?

পুকুরে ছলকে উঠলো মাছের লাফ
ব্যাঙাচি দেখেই চনমনে ঢওড়়া সাপ
সবুজ শ্যাওলা যথারীতি উদাসীন
তার কাছে সারা বছর ছুটির দিন
শামুখ এর মুখ খোলস পেরোলো সবে
অনেকটা পথ এবার পেরোতে হবে
আমার এখনো কিছুটা রাস্তা বাকি
তোমার বলছি সঙ্গে আসবে নাকি।

সুমনের গানে দর্শনের পাশাপাশি ইতিহাসেরও একটা বড় প্রভাব আছে, তাই হয়তো দর্শনগুলো অনেক শক্তিশালী মনে হয়। এছাড়াও তার গানের কথায় বিভিন্ন নদীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়… সেই গাঙুড় থেকে মিসিসিপি, হয়তো নদীকেন্দ্রিক তার জন্ম ও বেড়ে ওঠার কারণে নদীর এতো কাছাকাছি তিনি। নদীর প্রবাহ এবং ঢেউয়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা সভ্যতাকে আবিষ্কার করেন তিনি, আর গানের তালে সেই সভ্যতার গল্প বলে যাচ্ছেন যুগ থেকে যুগান্তরে। গান শুনতে বসা শ্রোতারা আবিষ্কার করেন সভ্যতার চোরাবালিতে থেকে খুঁজে নিয়ে আসা দর্শনের আস্ফালন। মাঝে মাঝে সেই আস্ফালনে হারিয়ে যাওয়া স্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি গেয়ে উঠেন – ‘বেগতিক বান এলে, ঢেউ আসে ঢেউ চলে যায়’।

সুমনে গানে চিন্তার মুগ্ধ নিমন্ত্রনের আরো একটি কারন হয়তো তার জীবনকে দেখার স্বকীয়তা। ইংরেজিতে স্নাতক এবং ফরাসী ভাষাতে ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারী কবির সুমন সত্তর দশকের মাঝামাঝিতে ইউরোপের জন্য দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন। ভয়েস অফ জার্মানিতে (বাংলা বিভাগে) ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত একজন রেডিও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এইসময়ে বব ডিলান এর গান শুনে ভীষণ প্রভাবিত হয়েছিলেন সুমন। পরবর্তিতে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা ভাষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে সুমন পিটার সীগার এবং মায়া আঙ্গেলউ সহ বেশ কিছু সংগীতধর্মী এবং সাহিত্যানুগ ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে আসেন, যা সঙ্গীত চর্চায় বড় ধরনের অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছিল। এই বিদগ্ধ বাঙ্গালী সময়ে অসময়ে তার গান দিয়ে দেখিয়ে দেন আমাদের এই কোন রকম বেঁচে থাকার যুদ্ধটা কতোটা আটপৌরে… তার মননের এই বিচিত্র দস্যিপনা, এই বিপুল বিচরণক্ষেত্র ঠাস বুনোটের বৃত্তে বন্ধী জীবনে উগলে দেয় শৃঙ্খলা ভাঙার বৈদগ্ধ্যে। হাটেত ইচ্ছে করে একজন গানের সেতুকার এবং দর্শনের ফেরিওয়ালার পথে যাকে সবাই “কবির সুমন” বলে ডাকে।

তথ্যসূত্রঃ
সুমনামি
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৬
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×