somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক_ভালোবাসা
বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

'সুন্দর' এর খোঁজে....... গল্পের ছবি। ( ২য় ছবি ব্লগ)

১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার যখন ঘুম আসে না, তখন সাধারনত আমি ছাদে চলে যাই। ছাদে বেশ কিছু ফুলের গাছ আছে। সেগুলোর পাশ দিয়ে হাটাহাটি করতে আমার ভালোই লাগে। আমার এই নয়তলা বাসার ছাদ থেকে তখন ঢাকা শহর দেখতে ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে ছাদের উপর যে পানির ট্যাংক আছে, আমি তাতে উঠে বসি, মাথার পিছনে হাত দিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখি। তখন আকাশটাকে অনেক কাছের বলে মনে হয়।

এক সন্ধায় বাসায় বসে আছি, হঠাৎ করে কারেণ্ট চলে গেল। কিছুটা মেজাজ খারাপ করেই ছাদে চলে এলাম। আকাশে চেয়ে দেখি বেশ সুন্দর একটা চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আকার দেখেই বোঝা গেল পূর্নিমা হতে আর ৩/৪ দিন বাকি। বেশ চমৎকার জোৎস্না। আমি ছাদের গাছগুলোর পাশ দিয়ে হাঁটছি। মনে হচ্ছে আমি যেন কোন বনের মধ্য দিয়ে হাঁটছি। জোৎস্নায় আলো ছাদের মেঝেকে ঠিক যেন সমুদ্র বলে মনে হচ্ছে। মনে হলো এমন যদি হতো, ইচ্ছে হলেই কল্পনার কোন দৃশ্যে যদি চলে যেতে পারতাম। নিজের কল্পনা দেখে নিজেই মনে মনে খানিকক্ষন হাসলাম।
মানুষ হিসেবে আমাদের ক্ষমতা যে কতটা কম সেটা ভেবেই আবার কিছুটা মন খারাপ লাগছিল। হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে উঠল। দেখি আমার কাজিন তারেক ভাই ফোন করেছে।
-হ্যালো বড় ভাইয়া।
-কি খবর তোমার? কোন খোঁজ খবর নাই।
-বড় ভাইয়া, অফিসের কাজ নিজে মহা ঝামেলায় ছিলাম, তাই কোন যোগাযোগ হয়নি। তো বলেন কি খবর?
- আর খবর। কোন ফোন টোন নাই, এখন আমি ফোন করাতে তোমার খবর না? তারেক ভাইয়ের কণ্ঠে অভিমানের রেশ। যাই হোক শোন, আমার হাতিয়াতে পোষ্টিং হয়েছে। এখন আমি হাতিয়াতে। গত দেড় মাস ধরেই আছি। তোমার ভাবিও আছে। তোমার কথা বলছিল। তুমি যদি আসো, তাহলে একসাথে নিঝুম দ্বীপে যাব। সবচেয়ে বড় কথা হাতিয়া এমনিতেই অনেক সুন্দর। অনেক কিছুই দেখার আছে। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট, হরিন সবই আছে। যতটুকু তোমারে চিনি, তোমার পছন্দ হবার কথা। কি তাহলে চলে আসবা নাকি?

আমি কি বলব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কিছুক্ষনের আগের কল্পনা যে এই ভাবে বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে, এই অপ্রত্যাশিত সত্যেই আমি বোবা হয়ে গেলাম। অলৌকিক ব্যাপারে খুব বেশি ভরসা নেই আমার। তাই অলৌকিকতার প্রমান পেয়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। বড় ভাইয়ার কথাতে সংবিৎ ফিরে পেলাম।

-আসব বড় ভাইয়া। অবশ্যই আসব। আমি পরশুই রওনা দিব। মন্ত্রমুগ্ধের মত জবাব দিলাম আমি।
-ঠিক আছে চলে আসো সুন্দরের খোঁজে। দেখা হবে।

অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার ধাক্কা সামলে উঠে আমি সাথে সাথে আমার সুপারভাইজারকে ফোন দিলাম। ছুটি চাই বলা মাত্রই তিনি আমাকে ছুটি দিলেন। গত দুই মাস যে অমানুষিক পরিশ্রম করেছি, তাতে আমার ছুটি পাওনাই ছিল। উনি যেভাবে আমাকে ছুটি মঞ্জুর করলেন, তাতে মনে হল তিনি আমাকে ছুটি দিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। :D

এরপর তো যাত্রার প্রস্তুতি। হাতিয়াতে তিন ভাবে যাওয়া যায়। প্রথম রুট, সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে। ঢাকা থেকে হাতিয়ার যাবার জন্য ২টা লঞ্চ আছে। এমভি পানামা এবং আরেকটা এমভি টিপু। এই দুইটার মধ্যে এমভি টিপু একটু বড় এবং সার্ভিসও ভালো। লঞ্চ বিকেল পাঁচটা ছেড়ে সকাল ৯ টায় হাতিয়ায় পৌছে। দ্বিতীয় রুট হলো, ঢাকা থেকে নোয়াখালী হয়ে সী ট্রাক,স্প্রীড বোট বা ট্রলারে করে আসা যেতে পারে। এতে সবচেয়ে কম সময়ই লাগে। আর তৃতীয় রুট হচ্চে, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম হয়ে জাহাজে আসা। জাহাজ সকাল ১০টায় চট্রগাম থেকে ছেড়ে এসে বিকেল ৪:০০ টায় হাতিয়া এসে পৌঁছায়।

আমাকে যারা চেনেন বা বুঝেন, তারা জানেন আমি কিছুটা এলোমেলো বা অগোছালো প্রকৃ্তির। এই বোহেমিয়ান জীবন ধারার কারনে আমি কিছু কিছু বিষয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এর সাথে আবার যুক্ত হয়েছে ভ্রমনের প্রতি প্রবল নেশা। তাই কোথাও যাবার প্ল্যান হলে আমার আর দেরী করতে মন চায় না। ফলে আম্মুর সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাতেই রওনা হলাম। :D যেহেতু অন্য কোন অপশন নেই, তাই আমাকে তৃতীয় রুট ধরেই যেতে হবে। এরপর নাইটকোচে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা।

এবার শুরু আসল যাত্রা।


এমভি বার আউলিয়া। জাহাজের সাইজ দেখে প্রথমে ভড়কে গিয়েছিলাম। পরে নিশ্চিত হলাম এটাই হাতিয়া যাবার জাহাজ। আমার তো আনন্দ আর ধরে না। এই জাহাজের একজন প্রথম শ্রেনীর যাত্রী হতে পেরে নিজেকে তখন বড়ই গর্বিত মনে হচ্চিল। B-)

কিছুক্ষন পর ভেপু দিয়ে জাহাজ ছাড়ল। আমার প্রথম জাহাজ ভ্রমন। আমি রুমে ব্যাগ রেখে তালা দিয়ে ডেকে চলে আসলাম।

















শুরুতে অনেক কথা বলেছি। হয়ত অনেকের বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা। খুব বেশি ভালো লিখতে পারি না আমি। তারপরও অহেতুক বর্ননা দিচ্ছি । বরং আমার হয়ে ছবিগুলো বর্ননা করলে সেটাই ভালো হতো। আমি তাড়াহুড়াতে ক্যামেরায় চার্জ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। সাথে একটা সাইবার শট ছিল। যাত্রা পথে সেটাই ভরসা ছিল। তাই ছবিগুলো হয়ত মোটামুটি এসেছে। আমি সকাল থেকে প্রায় দুপর পর্যন্ত ডেকেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঐ দিকে আমার রুমের কেবিন বয় আমাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান। যখন সে আমাকে দুপুরের দিকে ডেকে আবিষ্কার করে, তখন সে রীতিমত বিরক্ত।
-আন্নে ইয়ানে খাড়াই থাইবার লাইনি হাস্ট কেলাসের টিকিট কিঞ্ছেন? অ্যাঁই আন্নেরে হেই কহন থুন টোগাইয়ের? ( আপনি কি এইখানে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য ফাস্ট ক্লাসের টিকেট কিনেছেন? আমি সেই কখন থেকে আপনাকে খুঁজছি?)

-হা হা হা। সাগর দেখি মামা।

- কিয়া সাগর ছানের? চাইদ্দিক খালি হানি হানি আর হানি। অনে দফুরে খাইতেননি? ( কি সাগর দেখেন? চারিদিকে খালি পানি পানি আর পানি। আপনি দুপুরে খাবেন না?) বয়ের কথা শুনেই মনে হলো আমার পেটে সেই কাল রাত থেকে কোন সলিড খাবার পড়েনি। তাই কথাটা শুনামাত্রই পেটের ভিতর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। সাথে সাথে বললাম, অবশ্যই খাবো, আমি তো খিদায় মারা যাচ্ছি। চলো চলো ডায়নিং এ চলো।

কি এর আমনে ডায়নিং এ যাইবেন? হিয়ানে আন্নে খাইতে ফাইরবেন নি? মাইনষের চিল্লা চিল্লি, কাউমাউ। আন্নে রুমে চলি যান, যাই গা গোছল ধুই লন। অ্যাঁই আন্নের লাই খাওয়া লই আইয়ের। ( কিসের আপনি ডায়নিং এ যাবেন, সেখানে আপনি খেতে পারবেন? মানুষের চিল্লাচিল্লি, কাউমাউ। আপনি রুমে চলে যান, গিয়ে গোসল করে নিন। আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।)

এই জাহাজের ফাস্টক্লাসের ভাড়া ১২০০ টাকা। এই রুমের অনায়াসে ৬/৮ জন যাওয়া যাবে। সিঙ্গেল কেবিন আবার এসি পাওয়া যায় না। সেদিন আবার এসিও ছিল না। তাই ডাবল কেবিনই নিয়েছিলাম। সাথে এর্টাচ টয়লেট। গোসলের সুন্দর ব্যবস্থা আছে। টয়লেটে পরিষ্কার টাওয়াল দেয়া। আমি ঠান্ডা পানিতে গোসল করে বের হয়ে দেখি, খাবার নিয়ে কেবিন বয় রেডি। খাবারের দিকে তাকিয়ে তো দেখি বিশাল আয়োজন। সাদা ভাত, মুরগীর ঝোল, করলা ভাজি, শুটকি ভর্তা, চিংড়ী ভূনা আর ডাল। প্রচন্ড খিদে পেয়েছিল। এই রকম খাবার সামনে পেয়ে আমার আর সহ্য হলো না। আমি যে খাবারের দাম জিজ্ঞেস করব, বা দু'একটা ছবি তুলব সেদিকেও নজর নেই। ২০ মিনিটের একটা যুদ্ধ চললো। খাবারের সাথে যুদ্ধ। আমি মনে করতে পারছি না শেষ কবে আমি এত ভালো খাবার খেয়েছিলাম আর এত খেয়েছিলাম। খাবার শেষ করার পর বিল যখন চাইলাম তখন মনে মনে ভাবছিলাম, আল্লাহই জানেন কত বিল আসবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে মাত্র ২২০ টাকা বিল আসলো। আমি তো অবাক। কেবিন বয়কে জিজ্ঞেস করাতে বলল, সরকারী জাহাজ তো, তাই খুব বেশি একটা লাভ করে না তারা। এই খাবার নিচে গিয়ে খেলে ১৭০ টাকায় খাওয়া যেত। আমি খুশী মনে কেবিন বয় কে ৫০ টাকা বখশিস দিলাম। দেলওয়ার মিয়া তো বড়ই খুশি। ও আমার কেবিন বয়ের নাম দেলওয়ার মিয়া। ডাক নাম নুন্যা মিয়া। B-) B-) :D

যাই হোক দুপুরে এই রকম একটা খাবারের পর আপনি যদি একটু না ঘুমান তাহলে ভাই আপনি মানুষই না। খবর নিলাম হাতিয়া যেতে আরো ৩ ঘণ্টা লাগবে। আমি ২ ঘণ্টা নিশ্চিত ঘুমাতেই পারি। তাই দিলাম এক ঘুম।

প্রায় ঘন্টা দুয়েক ঘুমানোর পর নুন্যা মিয়া এসে ডাক দিল। ছ্যার, উঠেন। গিয়া সাগর ছানগৈ। (স্যার, উঠেন, সাগর দেখুন গিয়ে)। জিজ্ঞেস করলাম আর কতক্ষন লাগবে। আরো প্রায় এক ঘণ্টা লাগবে জেনে, আমি হাত মুখ ধূয়ে ডেকে গেলাম। গিয়ে তো আমি অবাক। হে পরমকরুনা ময়। এত সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য আমার ছিল। সকালে যে সাগর ছিল নীল আর ধূসর। বিকেলে সেই সাগর কমলা এবং রুপালী। প্রচন্ড সুন্দরের সামনে কখনও পড়েছেন? পড়লে বুঝতেন প্রচন্ড সুন্দরের সামনে নিজেকে কতটা ক্ষুদ্র বা সামান্য বলে মনে হয়। এত সুন্দরের অংশ হতে পারব না দেখে কিছুটা অভিমান হলো। /:)










ঐ যে হাতিয়া দ্বীপ











দেখতে দেখতে হাতিয়া পোঁছে গেলাম। গিয়ে দেখি ভাইয়া ভাবি ঘাটে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। বড় ভাইয়ার সাথে অনেকদিন পর দেখা হলো। আমার বছর সাতেক বড় খালাত ভাইটির সাথে আমার খুবই ঘনিষ্ট সর্ম্পক। আমার ভ্রমনের নেশা অনেকটা তার কাছ থেকে পাওয়া। পেশায় তিনি একজন সরকারী ডাক্তার। ভাবিও ডাক্তার। সদ্য পাশ করেছেন।

হাতিয়াতে যে ঘাটে আমি নামলাম, তার নাম নলচিরা। এটা হাতিয়ার অন্যতম প্রধান ঘাট। এই ঘাট থেকে সী ট্রাক, ট্রলার এ করে নোয়াখালী যাওয়া যায়। হাতিয়াতে একটাই প্রাধান রাস্তা। একটাই মূল সড়ক।



হাতিয়ার প্রধান যানবাহন বলতে, সেই টু-স্ট্রোক বেবী ট্যাক্সী আর রিক্সা। রিক্সা করে যেতে পারলে ভালোই লাগত। কিন্তু আমাদের গন্তব্য ওসখালী উপজেলা সদর হাসপাতাল, বেশ দূরে হওয়াতে বেবী ট্যাক্সীই তে আসা যাওয়া করতে হয়।

সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে আসে পাশে খুব বেশি কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম। অন্ধকার ভালোই লাগছিল। কিছুক্ষন পরপর ২/১ টা মটর সাইকেল প্রবল বেগে পাস কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। ৩০ মিনিটের মত লাগল, ওসখালী এসে পৌঁছাতে।

সরকারী কর্মচারীরা বিশেষ করে ডাক্তাররা পেরেফেরি বা উপজেলা পর্যায়ে বেশ ডাঁট এর সাথে থাকেন। ওসখালীতও ডাক্তারদের জন্য খুবই চমৎকার খুবই সুন্দর কোয়ার্টার দেখলাম। খেলার মাঠ, বাগান, বাধানো পুকুর ঘাট সবমিলিয়ে এক কথায় চমৎকার।















সেদিন রাতে পুকুর পাড়ে অনেকক্ষন ধরে আড্ডা চলল। আমি আসা উপলক্ষ্যে আমাদের সাথে আরো কিছু ডাক্তার এবং তাদের পরিবার যোগ দিল। এই খানে প্রায় সবগুলো ডাক্তারই সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। তাদের কথাবার্তা, আচরন ইত্যাদি দেখে আমার মনে হলো সবাই মিলে একটা দীর্ঘ মধুচন্দিমায় এসেছেন। এই নতুন বিয়ে হওয়া ডাক্তারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যিনি হাতিয়াতে আছে, তিনি হচ্ছেন আমার ঐ কাজিন। তার কাছে হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গার বর্ননা শুনে সবাই তো ভীষন উত্তেজিত। একটা উৎসব উৎসব ভাব তৈরী হলো। আমি যে কয়দিন ছিলাম, আমি মোটামুটি তাদের একটা উৎসবের কেন্দ্রই ছিলাম।

সবাই মিলে হাতিয়া ভ্রমনের একটা খসড়া প্ল্যান করলাম। প্রথম দিন ঠিক হলো রহমত বাজার যাওয়া হবে। দক্ষিন হাতিয়ার দিকে একটা সুন্দর বিচ। সাদা বালি, আর সমুদ্রের তীর ধরে বিস্তৃত সুন্দরী, কেওড়া আর ঝাউ গাছের বন। যারা আগে গিয়েছিল, তারা অনেক প্রশংসা করল। তাই এটাই আমাদের প্রথম টার্গেট।



আমরা যখন রহমত বাজারে পৌঁছলাম তখন প্রায় দুপুর ৩ টা। দূর থেকেই সমুদ্র দেখতে পেলাম। সমুদ্রের ধারেই একটা জেলে পল্লী গড়ে উঠেছে। নানা রকম মাছ, শুটকি দেখতে পেলাম। অনেক বড় বড় ট্রলারও বানানো দেখলাম। তারশুরু হলো হালকা বন। আমি সত্যি বর্ননা করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এই সৌন্দর্যকে বর্ননা করার ক্ষমতা আমাকে দেয়া হয় নাই।


(রহমত বাজার বীচ- প্যানারোমা ভিউ)












































দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেল, তা টেরই পেলাম না। হাতিয়াতে এমনিতে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নেই। তাই কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিলাম। তবে আমরা যখন ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখনই ঘটল ঘটনাটা।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
৪০টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×