শ্রীলংকা ভয়াবহ একটি আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে তারা প্রায় দেউলিয়া হবার পথে। এর কারন হিসাবে মনে করা হয় -অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার নামে সরকারের অতিমাত্রায় বিদেশী ঋনের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় খাতে বিপুল পরিমান ঋণের টাকা ব্যয় করা। (যেমন ধরুন বাংলাদেশে মত দেশে ঢাকা টু চট্রগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস চালুর সমীক্ষা করতে গিয়ে ১০০ কোটি খরচ করার পর জানা গেলো ইহা পুরোটাই জলে গেছে। আবার এলিভেটেড এক্সপ্রেস গাজীপুর অংশের নির্মান কাজ প্রায় সম্পন্ন হবার পর দেখা গেলো সেখানে ডিজাইনগত ত্রুটি আছে।), বন্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ার কুফল, জনগনের সামনে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার মুলা ঝুলিয়ে সহজ শর্তে ঋণের রাস্তা বন্ধ করা ইত্যাদি।
এই ঋনের টাকা শ্রীলংকার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব না। বরং সম্ভবনা আছে ঋণ খেলাপী হবার। ফলে দেশটির ক্রেডিট রেটিংও কমে গেছে। উল্লেখ্য ক্রেডিট রেটিং দিয়ে ঋন প্রাপ্তির পরিমাপ নির্ধারিত হয়। ইতিমধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে শ্রীলংকা চীনকে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ন সমুদ্র বন্দর এবং প্রায় ১৫ হাজার একর জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয়েছে। আজকে প্রথম আলো এই সম্পর্কে লিখেছে যে, এখন পরিস্থিতি এতই করুণ যে তাকে ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন করতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ঋণ পরিশোধে শ্রীলংকাকে এখন অর্থের বদলে চা দেওয়ার প্রস্তাব করতে হচ্ছে।
সমস্যা হচ্ছে, শ্রীলংকা না হয় চা দিবে কিন্তু উগান্ডা কি দিয়ে পরিশোধ করবে?
অনেকেই বলছে এই দেশীয় চা মচাদের দিয়ে সেই সকল ঋণ পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকা এই সকল চা মচাকে বাতিল মাল ঘোষনা করায় এদের দিয়ে লেনদেনের ও সুযোগ নাই।
কথা সেটা না, আসল কথা হলো, উগান্ডার সরকার মনে করে - চায়না থেকে প্রাপ্ত ঋনের ব্যাপারে উগান্ডাবাসীদের মধ্যে যারাই এই ধরনের বেহুদা সন্দেহ করে, তারা সবাই উগান্ডা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী বা রাজাকার অথবা অন্য কিছু।
তবে বাংলাদেশ নিয়ে আমি এই ধরনের কোন চিন্তা করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখতে চাই।
তিনি সম্প্রতি বলেছেন - ভোট চুরি করলে জনগন তাদের ছেড়ে দেয় না।
(তথ্য সুত্রঃ বাংলাট্রিবিউন, ১১ জানুয়ারী, ২০২২।)
আমিও বিশ্বাস করি, ভোট যারা চুরি করে তারা একদিন না একদিন ধরা খাবেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬