somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক_ভালোবাসা
বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

দৃষ্টি আকর্ষনঃ কপি পেষ্ট পোস্ট (২) ও ব্লগীয় পরিবেশ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এই পোস্টটি ব্লগার জ্যাকেলের “Plagiarism লেখা চুরি কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি ?”নামক পোস্টের মন্তব্য হিসাবে করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে সকলের জানার সুবিধার্থে পোস্ট আকারে প্রকাশ করছি।

কপি পেস্ট বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্লগে বেশ আলোচনা হয়েছে। অতীতেও এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং এই সংশ্লিষ্ট পোস্ট এসেছে। কিন্তু তৎকালীন কপি পেস্ট পোস্ট বিষয়ক সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্য আর বর্তমান কপি পেস্ট সমস্যার সমাধানের প্রেক্ষাপট কিন্তু এক নয়।

বর্তমানে সামহোয়্যারইন ব্লগে কপি পেস্টের বিরুদ্ধে যে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার সূত্রপাত যদিও একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ বা ব্যক্তিদ্বয়ের উপর সংঘবদ্ধ ক্ষোভের কারণেই শুরু হয়েছিলো, তারপর আশা করব এই সচেতনতা সার্বজনীন হবে এবং সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে।

কেউ কপি বার বার পেস্ট পোস্ট বার বার করলে অনুগ্রহ করে তা মডারেটরের নজরে আনবেন। মেইল করবেন – [email protected] এই ঠিকানায়। ব্লগ টিমের সদস্যরা এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে কেউ যদি পোস্ট করার বিষয়বস্তুর অভাবে থাকেন, মানে বুঝতে পারছেন না কি বিষয় নিয়ে ব্লগ পোস্ট দিবেন, তাহলে উক্ত বিষয়টি ব্লগে পোস্ট দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় মতান্তরে ক্যাচালে অংশ নিতে পারেন।

(কানে কানে পরামর্শ হচ্ছে মাঝে মাঝে ক্যাচাল করবেন, নইলে ব্লগার হিসাবে স্বীকৃতি তো দুরে থাক প্রভাবশালী বা জনপ্রিয় ব্লগার হওয়া যায় না, তবে যারা নিজ নিজ প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ব্লগার হতে চায় তাদের কথা উদহারনে আনতে চাই না। কারণ ব্যতিক্রম কখনও উদহারন হতে পারে না। সম্ভব হলে পোস্টটি কিছু ধর্মীয় আবহ দিবেন যেমন, বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে সালাম দিবেন, শেষে লিখবেন জাযাকাল্লাহ )

গত কয়েকদিনের আলোচনা থেকে আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন - কপি পেস্ট পোস্ট কি এবং কপি পেস্ট পোষ্টকে সবাই কি চোখে দেখেন। এরপরও যারা বুঝতে অক্ষম তারা মন্তব্যের ঘরে জানালে তখন সেখানে পুনরায় আলোচনা হবে।

এর পাশাপাশি, আমি অন্য কিছু বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করছি, সকলেই এই বিষয়গুলো গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন। পরবর্তীতে কাউকে নীতিমালার আওতায় আনা হলে আশা করি তখন কেউ কোন অভিযোগ করবেন না।

আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের মধ্যে অনেকেই পোস্টের শেষে সম্পাদিত নামক একটি শব্দ জুড়ে দেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, সম্পাদনা বলতে তারা কি বুঝেন? ইতিপূর্বে দেখেছি, অনেকেই এই বিষয়ে কথা বললে রিএ্যাক্ট করছেন, রাগ করছেন এবং আজগুবি সব যুক্তি দিচ্ছেন।

আমি আশা করব বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে হাস্যকর ও বালখিল্য মন্তব্য করে নিজেকে হাস্যকর প্রমাণ না করে যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে নিজের ভুল শুধরে নিন অথবা আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিন।

আমি বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে, একজন সম্পাদকের কাজ সম্পর্কে খুবই বেসিক ধারনা দিচ্ছি।
একজন সম্পাদক লেখার মান যাচাইয়ের পাশাপাশি লেখার ভুল ত্রুটি সংশোধন করেন, পরিমার্জিত করেন বা কিছুটা পরিবর্ধনও করেন এবং সেটা হতে হবে কোন সুনির্দিষ্ট লেখায়। একজন সম্পাদক সবচেয়ে কঠিন মানসিকতার একজন পাঠক, অর্থাৎ একজন সম্পাদককে যে কোন লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে এবং বিভিন্ন মানসিকতা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মূল্যায়ন করতে হয়।
বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ করে বা বিভিন্ন বই থেকে হুবহু কোন লাইন কোন পোস্টে সূত্র ছাড়া উল্লেখ্য করলে সেই পোস্টকে সম্পাদিত বলার সুযোগ নেই বা সেটা সম্পাদনাও নয়। এই ধরনের অন্যায় কাজ সাধারণত তৃতীয় শ্রেণীর বা গার্বেজ টাইপের কোন অনলাইন সংবাদপত্রের কর্মীরা করে থাকেন।

কিন্তু কোন স্বীকৃত ব্লগ বা কোন লেখক ফোরামে এই ধরনের কাজের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বা অনুমোদন নেই। আমি আশা করব, যারা বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে হুবহু তথ্য নিয়ে নিজের মত করে কোন পোস্ট তৈরি করেন, যেখানে যেখানে তাদের কোন নিজস্ব কোন মূল্যায়ন বা মতামত থাকে না তারা অনুগ্রহ করে পোস্টের শেষে সঠিক সূত্র ব্যবহার করবেন। যদি কেউ যথাযথ রেফারেন্স ব্যবহার না করেন বা তথ্যসূত্র সংযুক্ত না করেন, তাহলে সেই পোস্টটি কপি পেস্ট পোস্ট হিসাবে চিহ্নিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি কোন ভিডিও অবলম্বনে কোন পোস্ট লিখেন তাহলে সেখানেও ঐ ভিডিওর লিংক যুক্ত করতে হবে।

এই ক্ষেত্রে আমি একটি পোস্টের লিংক দিচ্ছি। আগ্রহীরা চাইলে দেখতে পারেন এখানে কিভাবে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে বহু বহুবার আমি বিভিন্ন পোস্টে উল্লেখ্য করেছি – তথ্যসূত্র হিসাবে ‘ইন্টারনেট’ কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু ইন্টারনেট বলা আর তথ্যসূত্র উল্লেখ্য না করার মাঝে কোন পার্থক্য নাই। এই পোস্টের শুরুতে যে পোস্টটির লিংক যুক্ত করা আছে, অনুগ্রহ করে সেই পোস্টটি সবাই পড়বেন, বিশেষ করে ব্লগার আরজুপনি আপা যে পোস্টটি লিখেছেন সেটা অনুসরণ করবেন।

আমি আরো একটি বিষয়ে আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধর্ম বিষয়ক পোস্টের রেফারেন্স হচ্ছে কোরান, হাদিস, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ওল্ড টেস্টামেন, বাইবেল, গসপেল অফ ম্যাথিউ সহ অন্যান্য স্বীকৃত বই সমুহ। ধর্ম বিষয়ক মাসালা বা নিয়মকানুন প্রায় সকল গ্রন্থেই একই। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য যখন উল্লেখ্য করবেন তখন তার রেফারেন্স যুক্ত করবেন।

ধরুন, আপনি রোজার উপকারিতা নিয়ে পোস্ট লিখবেন, এই ক্ষেত্রে লেখককে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দেখলেন রোজা বিষয়ে অন্য কোন লেখক কোন একটি পত্রিকায় সুন্দর কিছু তথ্য দিয়েছে। আপনি দেখলেন এই তথ্যগুলো পোস্টে যুক্ত করলে আপনার পাঠক উপকৃত হবে। তখন আপনি সেই তথ্যগুলো পোস্টে যুক্ত করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি উল্লেখ্য করে দিতে পারেন এই ভাবে…
রোজার উপকারিতা নিয়ে মুফতি আবদুল্লাহ দৈনিক সকালের আলো পত্রিকায় লিখেছেন …
এখানে তার লেখা তথ্যগুলো তুলে দিন। লেখার শেষে ছোট্ট করে একটা হাইপার লিংক এ মুল লেখাটি যুক্ত করে দিন। যার মন চায় তিনি মুল লেখকের লেখাটি পড়ে দেখবেন।

ব্যাস! রেফারেন্স যুক্ত হয়ে গেলো! এখন আপনি যদি এই সম্পর্কে কিছু বলতে চান, সেটা যুক্ত করুন। আপনার চিন্তা, দর্শন নির্ভয়ে বলুন। আপনার পোস্টটা পাঠক পড়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্য যদি কারো আত্মবিশ্বাস বা উপযুক্ত লেখাপড়া না থাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই রেফারেন্স বিহীন কপি পেষ্ট করতে পারেন। পরের ধনে পোদ্দারী করার মজাই আলাদা। আমরা ধরে নিবো, আপনি আলেম হতে চেয়েছেন, জ্ঞানী হতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনার মেধা আর আত্মবিশ্বাসে কুলাচ্ছে না, তাই আপনি চুপি চুপি অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন।

পাশাপাশি, ধর্ম নিয়ে স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি বন্ধ করতে আমি বেশ কিছু ব্লগারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ধর্ম বিষয়ে সাধারন তথ্য জানার জন্য আমাদের বহু উপায় আছে। ব্লগ যে স্ট্যান্ডার্ড ধারন করে, সেই তুলনায় এখানকার ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টগুলো খুবই শিশুতোষ শ্রেনী। ধর্ম সংক্রান্ত কোন ভালো পোস্ট গত কয়েক মাসে এসেছে বলে আমার চোখে পড়েনি, অথচ কিছু কিছু ব্লগার ধর্ম নিয়ে সামান্য কোন সমালোচনা মুলক পোস্ট বা ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য আসলেই জিহাদী জোসে লাফিয়ে পড়েন।

অনেকেই দেখি পোস্টের শুরুতে বিসমিল্লাহ, সালাম যুক্ত করছেন! তাদের প্রজ্ঞার বালাই ষাট। আমি অনেক বড় আলেম, ইসলামবিদ বা আরো অনেক মানুষের লেখা পড়েছি, কোন প্রবন্ধ বা লেখার শুরুতে এইভাবে আলাদা করে সালাম বা বিসমিল্লাহ লিখতে দেখি নাই। আদতে এতে কোন সমস্যা না হলেও এইগুলো একধরনের লোক দেখানো কাজ, এক ধরনের স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি এটা বুঝতে বেশি যোগ্যতা লাগার কথা না।

যাইহোক, আগেও বলেছি ব্লগ বেসিক ধর্ম চর্চার জায়গা নয়, অন্তত সামহোয়্যারইন ব্লগ তো অবশ্যই না। আমরা বেসিক ধর্ম চর্চার জন্য মসজিদে যাই, খুতবা শুনি। ইউটিউবের কল্যানে আমাদের ঘরে ঘরে এখন মুফতি আর ওয়াজি বক্তারা। কিন্তু ধর্মের অনেক সুন্দর বিষয়, প্র্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে আমাদের কারো জানা শোনা নাই। যেমন ফেতরা, যাকাত বা ইসলামিক ফাইনান্সিয়াল ব্যবস্থা। সমস্যা হচ্ছে একজন গড় পড়তার মুসলিম বা মুসলমানকে এই সব নিয়ে লেখা তো দুরের কথা কপি পেষ্ট করতে গেলেও মোটামুটি পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা করার চাইতে ইসলামে জীন, চার বিবাহ, দজ্জাল, নাস্তিক, হুর, নারীদের পর্দা, ইহুদি নাসারার ষড়যন্ত্র আল্লাহ অস্তিত্ব প্রমান নিয়ে লম্বা আলোচনা করা সোজা। এই ধরনের পোস্ট প্রকাশিত হলে এবং আমাদের কাছে মনে হলে আমরা হয়ত তা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিতে পারি। যাদের কাছে মনে হবে এটা তাদের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক, তাদের ধর্ম ভিত্তিক অধিকার হরন করা হয়েছে, তার নতুন কোন ব্লগ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এখানে অতিথি হিসাবে ব্লগিং করতে পারেন।

অনেকেই আমার কথায় হয়ত আহত হতে পারেন। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে দেখবেন যে আমি ভুল কিছু বলি নি বরং আমি চাইছি এখানে ধর্ম সংক্রান্ত এমন সব পোস্ট আসুক যেন অন্য সাধারন মানুষ ভালো কিছু পড়ার আশায় এখানে পাঠক হিসাবে আসবে।

ব্লগে অনেকেই চান ধর্ম ভিত্তিক সমালোচনা বন্ধ হোক। দুঃখিত এটা সম্ভব নয়, কারন এটা সঠিক দাবি নয়। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না, যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না, সেই বিষয়ে সমস্যা আছে। তাই আমরা চাই, মানুষ এখানে ধর্মের ভেতর লুকায়িত ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলবে, যিনি বিশ্বাসী তিনি তার বিশ্বাসের জায়গা থেকে ধর্মের ভালোদিক সম্পর্কে বলবেন। যিনি অবিশ্বাসী তিনি ধর্মের প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। সবই হবে উপযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য রেফারেন্সের মাধ্যমে। আর যিনি সংশয়বাদী তিনি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বের করা পদ্ধতি বলবেন। কিন্তু অশ্লীলতা গ্রহনযোগ্য নয়। আপনি কোন ধর্মের কোন নবীকে, কোন দেবীকে বা কোন পদ্ধতিকে গালি দিতে পারেন না। সেই অধিকার কারো নেই। শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে বললে ঐ ধর্মটিকে মাঝে মাঝে ব্লগার রাজীব নূর মনে হবে। ( কিছুটা কৌতুক করলাম, আশা করি সিরিয়াস ব্লগাররা বা রাজীবনূরকে যারা অপছন্দ করেন তারা খুব বেশি আহত হবেন না) অর্থাৎ মনে হবে আপনি উক্ত ধর্ম বিদ্বেষী। আমরা এই ধরনের বিদ্বেষ মুলক আচরনকে গ্রহন করতে পারি না। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট পোস্ট করতেন তাদের অনেকেই নিজেকে সংশোধন করেছেন বলে প্রকাশ্যে দাবী করেছেন এবং বিষয়টি প্রমানিতও। আমরা আশা করব, যারা ভুল থেকে সংশোধন করে ফিরে আসবেন তাদেরকে কেউ অন্যায়ভাবে কোন ট্যাগিং করবেন না এবং উদ্দেশ্যমুলক ‘খোঁচাখুঁচি’ করবেন না। আমি লক্ষ্য করেছি নামের দ্বিতীয় অংশে ‘শ’ আছে এমন একজন ব্লগার কোন কারন ছাড়াই আরেকজন ব্লগারকে খোঁচাচ্ছেন যেন তিনি বিতর্কিত কোন মন্তব্য করেন। এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বা পোস্ট কেউ করলে, তাদেরকেও আমরা নীতিমালায় আনব।

যে ব্লগারকে আপনাদের ভালো লাগবে না, সেই ব্লগারের লেখা অনুগ্রহ করে এড়িয়ে যান। ধরুন আপনি কোন ব্লগারকে পছন্দ করেন না। কোন কারনে উক্ত ব্লগারের প্রথম পাতায় পোস্ট প্রকাশের সুবিধা বন্ধ করা হলো। এরপরও যদি আপনি উক্ত ব্লগারের কোন প্রকাশিত পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে যুক্তি বলে - উক্ত ব্লগারের সাথে আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে, যার কারনে আপনি তাঁকে অনুসরন করে চলেছেন। ফলে তখন আপনার অভিযোগটির গুরুত্ব হারাবে।

ব্লগার অপু তানভীরকে বলেছিলাম যারা কপি পেষ্ট করেন তাদের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরী করতে। তিনি সম্ভবত ভুলে ভেবেছেন আমি তাঁকে প্রেমের গল্প লিখতে বলেছি। ফলে সুনির্দিষ্ট তালিকা পাচ্ছি না। আমি আশা করব, যেহেতু তিনি ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে গিয়েছেন তাই তিনি কষ্ট হলেও একটি তালিকা আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন। ঈদের পরে আশা করি, পোস্টটি তার কাছ থেকে পাবো। এই বিষয়ে তার সাথে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি যোগাযোগ হয়েছে।

সর্বশেষ, মডারেটরের কাজ হচ্ছে সবার অভিযোগ, অনুযোগকে আমলে নেয়া। দোষ করুক বা না করুক সকল প্রকার অভিযোগ গ্রহন করা। যারা দায়িত্বে থাকেন তাদের কাজই হচ্ছে দোষ স্বীকার করে নেয়া। মডারেটরের সমালোচনা হচ্ছে সাধারন ব্লগারদের ক্ষোভ উৎরানোর জায়গা। এমন একটা জায়গা সাধারন মানুষেরও থাকা উচিত। যেহেতু সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়, তাই মডারেশন বা মডারেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সকলের অভিযোগকে সম্মান জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি।

সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৬
৩০টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×