গঠিত হল বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটি। সালটা ১৯৪৮। আহ্বায়ক করা হল আব্দুল মতিনকে। শুরু হল ভাষার জন্য আন্দোলন। জীবনের জন্য আন্দোলন। মানুষের শান্তির জন্য আন্দোলন। নীরবে নিভৃতে চলতে থাকল একজন মতিনের সংগ্রামী জীবন সেই ১৯৪৮ সাল অবধি।
অবশেষে ৮ অক্টোবর ২০১৪-এ থেমে গেল ভাষার জন্য আজীবন লড়াই করা এবজন বীর ভাষা সেনাপতির জীবন।অন্তিম মূহুর্তেও সেই লোকটা বলে গেল আগে নিজের ভাষা শিখুক তারপর অন্যটা।
আব্দুল মতিন ছিলেন একজন ভাষা সংগ্রামী এবং প্রকৃত অর্থে একজন সম্পূর্ণ মানুষ।
ভাষার জন্য তার ত্যগ ছিল এক অনন্য উদাহরন। ছিল এক সাদমাটা জীবন-যাপন। সে জীবনে ছিল না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ। চেয়েছিলেন এদেশের মেহনতি-কৃষক সম্প্রদায়কে নিযে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সংগ্রাম করে গেছেন আজীবন।
১৯৪৮-১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনর রয়েছে এক বিতর্কবিহীন বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস। যার বেশিরভাগ সময় জুড়ে রযেছে ভাষা মতিনের নাম।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদরে আত্মার শান্তির কামনায় গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এই ভাষা সেনাপতির পরিকল্পনায়। সাবধানী, সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা প্রহণে তার তুলনা ছিল না।
১৯৫২ সালে কারাবরণ করেন এই ভাষা সৈনিক। মুক্তি পান তার পরের বছর। মুক্তির পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন করেন। তার মৃত্যতে দেশ ও জাতি হারাল একজন অভিভাবক।