সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য।তবে এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে যে রকম গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করতে পারেনি বলেই মনে হচ্ছে।আর এ কারনেই অবিচার করা হচ্ছে ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।
একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের রয়েছে।ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।কিন্তু যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই জনকল্যাণকর বিষটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুটা উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে ২০১৪ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে।কারণ এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হুট করেই ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না।
অনেকেই যখন পরীক্ষা খারাপ দিয়ে অথবা বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন আগামীবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে স্বপ্নের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ঠিক সেই সময়ে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার।সদ্য টিনেজার পার হওয়া শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক।একটি দাবি মানা যায় যে সিদ্ধান্তটা ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর করা হউক।
দ্বিতীয়বার ভর্তি অংশগ্রহণের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনশূন্যতা দেখা দেয়।এ রকম আসনস্বল্পতার মধ্যে প্রতি বছর গড়ে তিনশ থেকে সাড়ে তিন শ আসন মাস্টার্স পর্যন্ত শূন্য থাকা বিরাট অপচয়।এই আসনগুলো যেমন নষ্ট হচ্ছে,তেমনি নতুন বছরের আসনের ওপর পুরোনো বছরের ভর্তি-ইচ্ছুকেরা ভাগ বসাচ্ছে।ফলে এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।আর এর সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অবশ্য যুগপোযোগি।এর মাধ্যমে প্রতি বছর অধিকসংখ্যক ছাত্রছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে সচেষ্ট হবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্য একটি টিভি চ্যানেলের সাথে আলাপচারিতায় বলেন যে,যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে একটি পক্ষ সন্তুষ্ট থাকবে আরেকটি পক্ষ অসন্তুষ্ট হবে।কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমার ভাষ্য হচ্ছে এখানে পক্ষ বিপক্ষ বড় কথা নয়।শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই কাজ করতে হবে।এখানে কোনো রাজনীতি নেই একটাই পরিচয় সবাই শিক্ষার্থী।সুযোগ দিতে হবে সবাইকে ভাল প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে।