somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একেবারে 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' আগে যেখানে প্রিপেইড মিটারে ৫০০-৬০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতো এখন সেখানে ১৫০০-১৮০০ টাকা করে আসছে

১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

----- আগে যেখানে প্রিপেইড মিটারে ৫০০-৬০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতো এখন সেখানে ১৫০০-১৮০০ টাকা করে আসছে ! এই অসময়ে একেবারে 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' ! বলতে যা বোঝায়। -----
কাল সারাদিন বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে শেষমেশ DESC'র অফিসে গিয়ে সমাধান করতে হয়েছে।
এতদিন, প্রতি মাসে প্রিপেইড মিটারে ৫০০-৬০০ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসতো। এই লকডাউনেও সেই হিসাবে এত দিন বিকাশের মাধ্যমে বিল দিয়ে আসছিলাম, মিটার চেক করার প্রয়োজন মনে করিনি। কিন্তু হটাত করে কাল বাসার ইলেকট্রিক লাইন কেটে গেলে মিটার চেক করে দেখি প্রি-পেইড মিটারের বকেয়া ৩৮০০ টাকা দেখাচ্ছে এত টাকা তো বাকী আসার প্রশ্নই আসে না। এদিকে বিকাশ-দোকান থেকে রিচারজও করা যাচ্ছিলো না। কোথাও সমাধান না পেয়ে শেষমেশ DESC'র অফিসে গেলাম সমাধানের জন্য। ওরা কোন সমাধান দিতে পারলো না। জানালো এত টাকা নাকি আমরা খরচ করেছি। আমি বললাম চারিদিকে যে শুনছি 'ভূতুড়ে বিল' দেখুন সে রকম কিছু ঘটেছে কিনা আমাদের বিলের সাথে। উনারা জানালেন প্রিপেইড মিটারে এমন কিছু হবার সম্ভাবনা নেই। আমি বললাম ভাইজান তাহলে মিটার-ই যেহেতু প্রিপেইড (অগ্রিম পরিশোধ) তাহলে এত টাকা বাকী আসে কিভাবে!! উনারা বললো লকডাউনে নাকি বাকী রাখার সুবিধা ছিলো। এবার আমি বললাম লকডাউনের আগেতো ভাই ৫০০ টাকায় সারা মাস ব্যাবহার করেছি। তখন তো বাকীও পড়েনি লাইন ও কাটেনি। এই দুই মাসে কি আমরা সব কিছু তিন গুন করে চালিয়েছি নাকি? আমাদের আগের কয়েক মাসের ব্যাবহার চেক করেন। তাহলেই বুঝবেন এই বিল অস্বাভাবিক। উনারা জানালো এক মাসের অধিক ব্যাবহারের তথ্য তাদের কম্পিউটারের থাকে না। এটা কতটুকু সত্য কথা আল্লাহ ভালো জানে। এদিকে বাসায় গরমে সবার হাল খারাপ, সারাদিন বিকাশ আর দোকানে কয়েকবার গিয়েও বিল দিতে না পারায় অলরেডি ৫ -৬ ঘন্টা নষ্ট হয়েছিলো। DESCO এখানে এসে বুঝলাম যে কথা বাড়িয়ে কোন সদুত্তর পাবোনা আর এই টাকা শোধ না করলে বাসায় কারেন্টও আসবে না। আসলে সিস্টেমের ভিক্টিম বলতে যা বোঝায় আরকি!! তাই শেষমেশ এই ক্ষতি মেনে নিয়ে তৎক্ষণাৎ পুরো ৪৫০০ টাকা ম্যানেজ করে বিল দিয়ে আসলাম। একেবারে 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' বললে ভুল হবে না।
আল্লাহ ভালো জানে আসলে ঘটনা কি ঘটেছে। এর পর থেকে যেন আর এই সমস্যা না হয় সে জন্য মিটার রিডিং কিভাবে করতে হয় সেটার একটা লিফলেট নিয়ে আসলাম তাদের অফিস থেকে। সেই মত বাসায় এসে মিটার চেক করে দেখি এই মাসের ১৬ দিনেই খরচ হয়েছে ৭৩৫ টাকা বাকী দিন গুলোতে আরও কত উঠবে কে জানে। অতঃপর সারাদিনের দৌড়াদৌড়ির পরে ইলেকট্রিক লাইন সচল হইলো। বাসায় অন্যান্য সব ভাড়াটিয়ার কয়েক জনের সাথেও একই রকম হয়েছে। এছাড়া আমার কয়েকজন আত্মীয়ের ক্ষেত্রেও এই অস্বাভাবিক বিল এসেছে বলে শুনলাম। হাহাহা ......... আপনারা কে কতটুকু লকডাউনের সুফল পাচ্ছেন সেটা কমেন্ট করে জানাবেন



আমাদে পানির বিল সহ অন্য সকল বিল আলাদা আলাদা করা। বাসায় মানুষ তিনজন। দুইটা ফ্যান-লাইট একটা কম্পিউটার একটা ফ্রিজ এই হল ইলেকট্রিক পণ্য। তাই ৫০০-৬০০ এর মধ্যেই এত দিন মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতাম।
আসলে আমাদের উচিত ছিলো প্রতি মাসেই মিটার চেক করা। তাহলে চুরিটা (এই বকেয়া) ঠিক কখন হয়েছে সেটা জানতে পারতাম। যাই হোক, মহান আল্লাহর কাছে সবার সুস্বাস্থের ও সুন্দর জীবনের জন্য দোয়া কামনা করছি।- আব্দুল্লাহ ইথার।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০২
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×