আকামটা মুলত করে পুরুষে। তাই নারীদের হিজাব/নিকাব নিয়ে পুরুষের হিসাব নিকাশের আলোচনায় "পুরুষের ভূমিকা কি?" এ প্রসঙ্গ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
পুরুষের আকামঃ
/পুরুষ নারীকে ধর্ষণ করে।
/পুরুষ নারীর দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকায়।
/রাস্তাঘাটে নারীদের টিজ করে।
/গণপরিবহনে শারীরিকভাবে নারীদের হেনস্থা করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌনতার (কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে) বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
/প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্ককে শারীরিক সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে নারীর প্রতি চাপ প্রয়োগ করে।
/শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার পরে নারীদের ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ (উচ্চ মাত্রার এসব পিল ভবিষ্যতে গর্ভধারণে জটিলতা সৃষ্টি করে) পিল খেতে বাধ্য করে।
/তারপর যখন পুরুষ একবার টের পায় যে নারী গর্ভধারণ করে ফেলেছে, সে খুব অবলীলায়, বিকারহীনভাবে ঐ গর্ভধারণকারী নারীকে পরিত্যাগ করে।
/সম্পত্তি ও জমি জমা ভাগের সময় নারীদের বঞ্চিত করা হয়।
পুরুষ নারীদের ন্যূনতম সম্মান নিশ্চিত করে না কিন্তু মনে প্রাণে আশা করে যে সে হিজাব করবে।
সম্মানটা যদি দেয়া হতো তাহলে নারীরা নিজে থেকেই, নিজের তাগিদেই হিজাব করত। নারীর হিজাব করা নিয়ে এত গবেষণা, এত জোর জবরদস্তির কোন প্রয়োজন ছিল না।
পুরুষ যদি আশা করে যে উপরে বর্ণিত আকাম গুলো করেও সে হাশরের ময়দানে আল্লাহর বিচার হতে পার পেয়ে যাবে কারণ "নারীরা হিজাব করে না" এই দোহাই দিয়ে, তবে পুরুষ সন্দেহাতীত ভাবেই বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮