ধর্মান্ধ আর ধর্ম বিদ্বেষী, এরা উভয়েই একই মূদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। এ কথায় ধর্মাস্রয়ী পরজীবি। এদের উদ্দেশ্য, সুযোগ বুঝে সমাজে অস্হিরতা সৃষ্টি করে, সহজ সরল মানুষকে একে অন্যের পিছনে লেলিয়ে দেয়া। ইসলামি নাম ধারণ করে ইসলামবিদ্বেষী কথাবার্তা বলা এক ধরনের চরম ভন্ডামি। এরা না ধার্মিক, না নিধার্মিক না কোন সমাজ সংস্কারক না কোন ন্যূনতম মূল্যবোধের ধারক ও বাহক। এদের অনেকেই আবার অনেক বয়স্ক, ইতোমধ্যেই কবরে এক পা দিয়ে, জীবনের শেষ দিন পার করা মানুষজন। কোথায় শেষ বয়সে এরা হবে সভ্য-ভব্য, বিনয়ী, তা তো না উল্টো এদের হাড়ে হাড়ে শয়তানী।
মসজিদগুলো,
/কোনো মন্দির বা প্যাগোডা বা চার্চ ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে না (যেমন মসজিদ ভেঙে মন্দির করা, পার্শ্ববর্তী বড় একটি দেশে অহরহ হচ্ছে)।
/তৈরির কারনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে না।
/তৈরীর উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যেখানে কোন হিন্দু বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এর বিরুদ্ধে কোন নেতিবাচক কথা বলেননি বা এই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেননি, সেখানে মুসলিম নামধারী কতিপয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবী উপযাচক হয়ে এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ইসলামের বিরুদ্ধে বলুক বা ইসলামিক বিদ্বেষী কথাবার্তা বলুক,
_এসবের পেছনের গুপ্ত/সুপ্ত এজেন্ডা কি?
_হিন্দু বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাঁধে বন্দুক রেখে তা ব্যবহার করার ফায়দা আসলে কার?
_বেনিফিশিয়ারি ওউনারটা কে?
সংবিধানের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য সংবিধান? সংবিধান এ পর্যন্ত কতবার সংশোধন হয়েছে? যে কোনো কারণে মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধানের পরিপন্থী হয়ে থাকলে (যদিও এখানে সংবিধানের পরিপন্থী কিছুই হয়নি) বরং সংবিধানে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। মানব রচিত যে কোন বিধি-বিধানে পরিবর্তন আনা যেতেই পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০