সত্য ও তিক্ত বাস্তবতা হলো মায়ানমারের সামরিক শক্তি থেকে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বহুলাংশ দূর্বল। যারা মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ লাগাতে ব্যাকুল হয়ে আছেন। ভাবছেন বাংলাদেশ মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিচ্ছেনা কেনো? ওদের সোজা করে দিচ্ছেনা কেনো? তাদের বলছি, মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধালে উল্টো মায়ানমার বাংলাদেশকে সোজা করে ছেড়ে দিবে। নিচে মায়ানমার ও বাংলাদেশের সামরিক শক্তির দুইটা তালিকা করেছি। আপনারাই দেখতে পারবেন কার শক্তি বেশী।
#Bangladesh_Military_Strength [Rank - 57]
মোট ১৩৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের র্যাংকিং ৫৭ তম। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামরিক, সামাজ, জনসংখ্যা, অবস্থান, আয়তন ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে।
#Force, #Area, #Budget, #GDP
Total military - 268496
Total area - 157361K.M.
War Budget - $ 3.6 Billion.
GDP - 1.46%
#Bangladesh_Army_Force_Assets
Combat Tank - 534
Armored Fighting vehicles - 942
Self Propelled Artillery - 18
Towed Artillery - 00
Rocket Project - 32
#Bangladesh_Air_Force_Assets
Total aircraft - 166
Fighter Aircraft - 45
Attack Aircraft - 45
Transport Aircraft - 65
Trainer Aircraft - 53
Total Helicopter Strength - 61
Attack Helicopter - 02
#Banladesh_Nevy_Force_Assets
Total Neval Assets - 89
Aircraft Carries - 00
Frigates - 07
Destroyer - 00
Corvettes - 04
Submarine - 02
Patroll Craft - 28
Mine Warfare Vessels - 05
উল্লেখ্যঃ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৫৬১৮৬৮৮২ জন, মানবশক্তি ৩৭০০০০০০জন, যেকোনো সময় বিভিন্ন বাহিনীর হয়ে কাজ করার সক্ষমতাসম্পন্ন ৬৬১১০০০০ জন, সেনা হিসেবে যোগদানের বয়সে আছে ৩৩০০০০০ জন।
---------------------------------------------------
#Mayanmar_Military_Strength [Rank - 37]
মোট ১৩৩ টি দেশের মধ্যে মায়ানমারের র্যাংকিং ৩৭ তম।মায়ানমারের অর্থনীতি, সামরিক, সামাজ, জনসংখ্যা, অবস্থান,আয়তন ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে।
#Force, #Area, #Budget, #GDP
Total military - 516000
Total area - 697830 K.M.
War Budget - $ 2.4 Billion.
GDP - 4.00%
#Mayanmar_Army_Force_Assets
Combat Tank - 592
Armored Fighting vehicles - 1358
Self Propelled Artillery - 108
Towed Artillery - 884
Rocket Project - 108
#Mayanmar_Air_Force_Assets
Total aircraft - 249
Fighter Aircraft - 56
Attack Aircraft - 77
Transport Aircraft - 97
Trainer Aircraft - 58
Total Helicopter Strength - 86
Attack Helicopter - 09
#Mayanmar_Nevy_Force_Assets
Total Neval Assets - 155
Aircraft Carries - 00
Frigates - 05
Destroyer - 00
Corvettes - 03
Submarine - 00
Patroll Craft - 40
Mine Warfare Vessels - 1
উল্লেখ্যঃ মায়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫৬৮৯০৪১৮ জন, মানবশক্তি ৩০০০০০০০ জন, যেকোনো সময় বিভিন্ন বাহিনীর হয়ে কাজ করার সক্ষমতাসম্পন্ন ২১৬৩৫০০০ জন, সেনা হিসেবে যোগদানের বয়সে আছে ১০৩০০০০ জন।
উপরিউক্ত তালিকা থেকে স্পষ্ট যে সমরিক দিক দিয়ে মায়ানমারের কাছে বাংলাদেশ বহুত দূর্বল। তাদের আয়তন বড়, মিলিটারি বেশী, অস্ত্র বেশী, গ্রোথ ডেবথ বেশী। সবদিক দিয়েই তারা এগিয়ে। তবে কোন জাদুর বলে আমরা তাদের সাথে পেরে উঠতে পারি? আবেগ দিয়ে কিচ্ছু হয়না, বোকামি ছাড়া।
এবার একটু বন্ধু শত্রু খেলা দেখা যাক। বন্ধু দেশের সাহায্যে যুদ্ধে জিতেছে এমন উদাহরণ আছে পৃথিবীতে। কিন্তু আমাদের বন্ধু দেশ কারা? যদি একটি অঞ্চলে সংঘর্ষ বাধে তবে পক্ষে বিপক্ষে প্রথমে প্রতিবেশীরাই আসে। মায়ানমারের আর আমাদের প্রতিবেশী বলতে বুঝি ভারত, চিন, মায়ানমার, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান। এদের মধ্যে ভুটান আর নেপাল খুব বেশী মাথা ঘামাবে বা এদের খুব কাজে লাগবেনা বলে মনেহয়না। এদের মধ্যে কারা আমাদের সমর্থন দিবে? এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ চিন। চিনকি আমাদের সমর্থন দিবে? সত্যি বলতে চিন কারোই সমর্থন দিবেনা যতক্ষণনা অন্য কোনো দেশ এখানে নাক গলাতে আসে। আর এর চেয়ে বড় কথা চিন হলো মায়ানমারের আপন খালাতো বড় ভাই। সেখানে এই যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে আসা চিন্তা করাও ভুল। পাকিস্তানের কথা বলতে গেলে পাকিস্তান আর চিন এখন একই নীতিতে বিশ্বাসী। চিন যা করবে পাকিস্তানও তাই করবে। মানে তারা চিনের সাথে আছে। এরপর থাকে ভারত। ভারত কাদের পক্ষ নিবে? কি ভাবছেন, আমাদের পক্ষ নিবে? তবে আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন? ভারত এই মূহুর্তে কোনো যুদ্ধের সাথে নিজেদের জড়াতে চায়না। তারা সবসময় স্বার্থের নৌকাতেই চড়ে।
সহজ সমিকরন হলো "দেয়ার আর নো ট্রু ফ্রেন্ড অফ বাংলাদেশ"। সত্যি আমাদের কোনো সত্যিকার বন্ধু নেই। আমরা বন্ধু বানাতে ভুল করেছি। আর এই রহিঙ্গা ইস্যু হলো সে ভুল বুঝতে পারার সমচেয়ে বড় সময়।
এখন কথা হচ্ছে যদি নিজেদের সামরিক শক্তিতে আমরা না পারি, যদি কোনো দেশও আমাদের সমর্থন না দেয় তবে আমরা কিসের জোড়ে তাদের সাথে যুদ্ধ বাধাবো? আবেগের জোড়ে? আবেগে অনেক কিছুই বলা যায়, কিন্তু কিছুই করা যায়না। আবেগে কোনো কিছু করার ফলই ভাল হয়না। চড়া খেসারত দিতে হয় এর জন্য। তাই আপাতত আমাদের যুদ্ধের পথ থেকে সরে আসতে হবে। অন্য পথে এগুতে হবে আস্তে আস্তে। যাতে করে ভবিষ্যতে মায়ানয়ামার যুদ্ধ বাধানোর কথা মনে আনতেও সাহস না পায়।
তো কি করা যেতে পারে। কিভাবে মায়ানমার এর উপরে অবস্থা নেওয়া যায়? এর জন্য প্রথমেই আমাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে হবে। ঢেকে সাজাতে হবে। প্রয়োজনে গোপনে পারমানবিক অস্ত্রের দিকে আগাতে হবে। কেনোনা মায়ানমার ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে কাজ করে চলেছে। তাই আমাদের এছাড়া আর বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়ত, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে। আমাদের বন্ধু বাড়াতে হবে। আমাদের বুঝে নিতে হবে কে বন্ধু হয়ে স্বার্থের প্রয়োজনে সময় মত হারিয়ে যাবেনা। কাকে বিপদের ও ভাল সময়ে সমসময় পাশে পাওয়া যাবে। একটি দেশের স্বার্বভৌমত্ত্ব ঠিক রাখতে বন্ধুদেশ থাকা অতি জরুরী। আমাদেরও বন্ধু প্রয়োজন। তবে সে বন্ধু এবার হিসেব করে বানাতে হবে। আমাদের এমন কোনো দেশকেই বন্ধু বানাতে হবে যারা স্বার্থের প্রয়োজনে পাল্টি নিবেনা।
তৃতীয়ত, আমাদের সীমান্তগুলো যতদ্রুত সম্ভব অভেদ্য করে তুলতে হবে। পুরো সীমান্ত তারকাটার শক্তিশালী করতে হবে। নদী ও পাহাড় পথে বিজিবি বাড়াতে হবে। যেনো বাইরের একটি পাখিও আমাদের এখানে আসতে না পারে।
চতুর্থত, আমাদের মস্তিষ্কর খেল দেখাতে হবে। আমাদের গোয়েন্দাদের আরও চৌকশ করে গড়ে তুলতে হবে। যে ঝামেলায় মায়ানমার আমাদের ফেলছে, তারা যেভাবে আমাদের প্যারা দিচ্ছে তার চেয়ে দ্বিগুণ প্যারা দেওয়া যাবে তাদের বিদ্রোহীদের দিয়ে। তবে বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের হাই কমান্ডরা এই পথে এগুতে পারবে কিনা। কারন এই পথটা অত্যন্ত বিপদজনক।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩