আচ্ছা ওরা কিসের ভয় পায়? আমরা তো ওদের ধর্মভীরু বলে ডাকি। কিন্তু ওরা তো ধর্মের থেকে বিজ্ঞানকে বেশি ভয় পায়।
ধর্মকে যদি ভয় পেত তবে ওরা ধরে নিতো ধর্ম ওদের থেকে শক্তিশালী। শক্তিশালী ধর্ম নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারতো তার জন্য ওদের রক্ত মাখতে হতো না। তবে কি ধর্ম সত্যিই দুর্বল!
আচ্ছা ওরা কিসের ভয় পায়? কলমকে, কিবোর্ডের বাটনকে, বইয়ের পাতাগুলোকে? আমরা বলি ওরা সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পায়। ওরা বলে সৃষ্টিকর্তা অনেক শক্তিশালী। তবে শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে ওদের চাপাতির সাহায্য নেবে কেন!
আচ্ছা ওরা সত্যি কিসের ভয় পায়! থকথকে মগজগুলোকে? ওদের যত রাগ সবই তো ঐ মগজের উপরে। চাপাতি দিয়ে খুবলে আনে তাজা মগজ। মস্তক করে দেয় বিভৎস।
তবে কি ওরা সৃষ্টিকর্তার থেকে ঐ মাথাগুলোকে বেশি ভয় পায়!
না কি আসলে ওরা সৃষ্টিকর্তার থেকে নিজের কপট ওস্তাদকে বেশি ভয় পায় বাল্যজীবনে যাকে গেলমান হিসেবে সুখ দিতো।
ওরা সৃষ্টিকর্তার স্বার্থে রক্ত মাখে নাকি নিজের কপট ওস্তাদের আদেশে ওস্তাদের স্বার্থে রক্ত মাখে?
আমি জানতে চায় আসলে ওরা কার স্বার্থে চাপাতি তুলে নেয়? শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা, দুর্বল সৃষ্টিকর্তা নাকি কপট ওস্তাদের স্বার্থে!
আমি জানতে চায় মানুষ বেঁচে না থাকলে ধর্ম পালন করবে কারা? বনের পশুরা!
আমি জানতে চায় ধর্মে কি এমন ছিদ্র আছে যে ঐ মানুষগুলো বেঁচে থাকলে ধর্মের ছিদ্র খুঁজে বের করবে!
চাপাতি খেলা চালিয়ে যাও, পৃথিবীকে মানুষ শূণ্য করে দাও, ধর্ম পালনে জঙ্গল থেকে পশু ভাড়া করে আনো....