না কোন সুশীলামি বা কোন মানবাধিকার দেখাচ্ছি না।
ঐশীর পিছনের অবস্থাটা দেখলেই বোঝা যায় আজকের এই ঐশী তৈরির পিছনে তার বাবার কতটা ভূমিকা রয়েছে? একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়েছেন হাত খরচের জন্য। বাবা ঠিক কেমন ছিল? মেয়ের অধঃপতনের সিড়িগুলো কে তৈরি করেছিলেন?
কিছুদিন আগের ফারিজের কথাটাই ধরি। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের হাতে গাড়ি তুলে দিয়েছেন তার বাবা। এরপরে গাড়িটা নিয়ে কি করেছে সেটা সবারই জানা। এর পুরো দোষটুকুই ঐ অভিভাবকের উপরে দিতে পারি। সে যদি ঐ ছেলের হাতে গাড়ি তুলে না দিতো, শাসন করতো দুর্ঘটনাটা নাও হতে পারতো।
সন্তানকে নরকের সিড়ি দেখিয়ে ওখানে যাওয়ার পথ বাৎলে দেন তারপর যখন আর সন্তানকে সিড়ি থেকে ফেরত আনতে পারেন না তখন সেই দোষটা সন্তানের হয় কিভাবে? তাকে কোনদিন বলেছিলেন ওখানে গেলে পুঁড়ে মরতে হয়!
এরপরে আসি পরিবেশ নিয়ে। এমন একটা অবস্থাই এসে গেছি যখন ইয়াবা হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়! যে দলই ক্ষমতায় আসুক সে দলের কিছু স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে মাদকের ব্যবসা দেদারছে চলে। আর বর্তমানে তো সমুদ্রসৈকতের এক মহান এমপি আছেন যার মাধ্যমে বড় বড় চালান চলে আসছে ভিতরে।
অন্য কোন মাদকদ্রব্যের কথা না বললেও আমি ইয়াবার কথাটাই বেশি বলবো। এর প্রতি এমনই আসক্তি তৈরি হচ্ছে যে এর নাম "আফসোস বড়ি"ও দেওয়া হয়েছে। যে টা খেলেও আফসোস করতে হয়, না খেলেও আফসোস করতে হয়। এরপর সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটা হলো এটা সেবনের পরে একজন নিরীহ ছেলেও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। আশেপাশের কোন কিছুকে সে এক ফোঁটাও কেয়ার করে না।
হলফ করে বলতে পারি, এই যে ধর্ষণের পরিমান এতোবেশি বেড়ে গেছে শুধুমাত্র ইয়াবা বন্ধ করতে পারলে এই ধর্ষণের পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে চলে আসবে।
ঐশীর ফাঁসি দিয়ে কি হবে? সে যখন তার বাবা-মাকে হত্যা করেছিলো সে ছিলো স্রেফ একজন উন্মাদ।
অনেকে বলছেন, "এটা তরুন অপরাধী, মাদকসেবীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তারা অপরাধ করতে ভয় পাবে।"
দুঃখিত, আপনারা সম্পূর্ণ ভুল ধারণার উপরে আছেন। মাদকসেবীরা বিশেষ করে ইয়াবাসেবীরা কোন কিছুকেই ভয় পায় না। ভিতরে ভিতরে তার মহাউন্মাদ হয়ে যায়। যে উন্মাদের মৃত্যুভয় থাকে না বরং একটা পর্যায়ে এসে তারা মৃত্যুকে ভালোবাসতে শুরু করে।
শেষে শুধু এটাই বলবো যে, "একটা নতুন হাঁটতে শেখা সন্তানের চলার পথে যদি অনেকগুলো কলার খোসা ফেলে রাখা হয়, আর তার উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে যদি সন্তান যদি পড়ে যায় এবং পড়ে যাওয়ার দোষে যদি তাকে কলার খোসা ফেলে রাখা নির্বোধ অভিভাবক, রাস্তার পাশের লোক বকুনি দেয়, শাস্তি দিতে চায় তবে কিছু বলার থাকে না।"