পদ শব্দের অতলে লেখা আছে বুদ্ধের বিনয়ী নাম। এক ঝাঁক অন্ধকাররঙ রাজহাঁস বসে আছে অসীম জলের আলোকিত প্রান্তে; নৃত্য মানে মহাকাশ ঘুরে ঘুরে মুদ্রা শেখা, মহাসমুদ্রের নোনা বোধে নীলাভ শৈবাল এই রহস্যের কিছু না বুঝেই তলিয়ে যাচ্ছে জলের অতলান্তে -- মূলত আমার মাথার ভিতর ঘটে যায় এই সব।
বহু জাহাজের কুশল কম্পাস কাটা, মানচিত্র পাশ ফেলে চলে গেলো, নীলতিমি। প্রসূতির তলপেটে জল-সমাধির হাড় নুন মেখে উঠে এলো-- জন্মবৃত্ত, চক্রে চক্রে ফিরে আসে আত্মার গাঢ় নীল রাধিঁকা-কীর্তণ, এমন অনেক সমরুপী নাম। ঘটে য়ায় বিবর্তন, স্বপ্নসমীণ; হেঁটে যায় মাইল মাইল সময়ের আশঁকাটা। আমার মাথায় বসে আসে সমুদ্র ইতিহাসের জলদস্যু, ভাঙাছাচ। সামুদ্রিক জলের ওজন নিয়ে এসেছি ড্রয়িং রুমে, কথা বলছি, বলছি ঘুম না হওয়া রাতের হাওয়া বেশ সফলতা নিয়ে জোছনার শাড়িতে দাবড়ে লাগালো যৌনাচার, স্তনাগ্রের ঝরাপাতা মন্দির থেকে জখমের দাগ উড়ে যাচ্ছে বন-ময়ূরের বেশে, সামুদ্রিক জলের ওজন নিয়ে বসে আছি কনফারেন্সের শীতাতপ নিয়ন্ত্রনে, হেঁটে গেছি আর্ট গ্যালারির ঘসা মাজা ব্রিটিশ তাড়ানো এক প্রবীণ ল্যাম্পপোস্টের নির্জনতার ভারতবর্ষে, চকচকে মাতাল নারীর প্রস্রাবের উগ্র অ্যামোনিয়া ঘ্রান বেসুরে ধরলো জ্যাজ্-- বিদেশি সঙ্গীত। নিজের পাটাকে গিলতে গিলতে এই দেহ এক বৃত্ত হয়ে য়ায়, বিষাক্ত সাপের তেলতেলে লেজ কামড়ানো লোকটি দেখতে পায় পায়ুপথ দিয়ে বের হচ্ছে হাটুর কঙ্কাল, নৈব্যক্তিক মনোরোগ। প্রতিদিন চিড়নির দাঁতে উঠে আসে দু'একটি মগজের শিরা।
নিত্যতার বহু পাঠ বাকি। বাদুরের গুহা বিদ্যালয়ে পড়ে আছে উপস্থিতির উজ্জ্বল খাত। বাতাসের ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা আছে জীবাণু-তালিকা। আলো রশ্মি তলে বিরল চাকার জুতো পায়ে এক দেব শিশুর রুমাল আকাশের ঘাম মুছে দিলো,
আজ বৃষ্টি না হওয়া দিন।
ফলে কৃষ্ণগহ্বরে অদৃশ্য দার্শনিক চকে লেখা যেতে পারে সহজ-অপাঠ। সূর্য থেকে লাফিয়ে নেমেছি মাটিবর্তী নিসর্গ ভূগোলে, অঙ্গার শরীর--আলোহীন, রক্তশূন্য। আর মেহেগনি ফল ফাটা বীজের ঘুড়ির পিছে শূন্যতার পরিমাপ নেমে এলো সুতো ছেড়া প্রযুক্তির যন্ত্রে-- সন্মুখে ঘটে চলে বিগব্যাং-- স্বপ্রজন্ম বিস্তারন।
তোমাদের বাড়ি আর কত দূরে বা! ঠিক পৌচ্ছে যাবো ডিনারের আগে। সূর্যাস্ত সন্ধ্যায়, মাথার ভিতর তোমাকেই পৌচ্ছে দেই অরগাজমের বিষ-মোহে; আমি বসে আছি ইনভার্স পৃথিবীর অনুকল্পে, বসে আছি মস্তিস্কের এক দীর্ঘ রাজপথে। পথ হেঁটে যাচ্ছে, পথ ক্লান্তির নিশ্বাস ফেলে কানের শরীরে, আরও আঁধার পথ হেঁটে আসছে আমার দিকে-- ধীরে ধীরে আমি হয়ে যাই সহস্র রাস্তার মোড়। এমনই এক মোড় তোমার ড্রয়িং রুম-- আমি বসে আছি।
ও ঘরের কোন এক দেওয়ালে সর্ম্পকের মাকড়সার জাল বড় জীবন্ত পোকার ভরে ছিড়ে পড়ে স্যাঁতস্যাঁতে মেঝের জঞ্জালে। আর আরও কোন অন্ধকার পোড়ায় রঙীন মোম-- রুপান্তরিত মৌচাক; বনভূমির নিজর্নতাই পুড়ে যায় বারবার।