দেয়ালে এমনটা লিখা ছিল -
" হে কুমার তুমি বিয়ে করো না কেন ? "
একটা ছেলে এই লিখার নিচেই উত্তর লিখে দিল এভাবে --
"যেখানে সস্তায় দুধ পাওয়া যায় , গাই পালে কে !!
-অর্থাৎ, যদি সস্তায় দুধ পাওয়া যায় , তাহলে কি দরকার এত কষ্ট করে গাভী কিনে লালন পালন করার। গাভী থাকলে গাভীর জন্য ঘাস দিতে হবে, খড় দিতে হবে , গোবর পরিষ্কার করতে হবে আরো কত কাজ !
বর্তমানে এমন পরিস্থিতেই আমরা বাস করছি। সবাই দুধ চায় কিন্তু কেউ গাভী লালন পালন করতে রাজি না !!
-ভালোবাসা শব্দটা পবিত্র , কিন্তু কতিপয় নোংরা মন মানসিকতার মানুষের জন্য এটা অপবিত্র হয়ে যাচ্ছে। এ যুগে বিয়ের আগেই ছেলে মেয়েরা সেক্স করতে আগ্রহী। কথায় আছে এক হাতে তালি বাজে না। সেজন্য একজনকে দোষ দিয়ে অন্য জনকে নির্দোষ ভাবাটাই অর্থহীন।
-অনেক মেয়ে আছেন তারা ভাবেন - শারীরিক সম্পর্ক করলে বুঝি ছেলেটাকে আটকে রাখা যাবে ,এটা একেবারেই ভুল ধারণা। শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে কাউকে আটকানো যায় না। তখন ওই ছেলে মৌ মাছির মত হয়ে যায়। মধু খাবে তারপর চলে যাবে। মধু দেয়া বন্ধ করে দেন সে উধাও হয়ে যাবে , অন্য কোনো ফুলে মধু খুঁজতে। মুখের মিষ্টি বুলি আর ভালবাসার কথা বলে একেক ফুলে থেকে অন্য ফুলে মধু খুঁজে বেড়ায়।
-একটা ছেলে বিয়ে করতে হলে চাকরি জোগাড় , পরিবারকে রাজি করানো , মোহরানা , বিয়ের খরচ আর কত কিছু , সবই ঝামেলার ব্যাপার। একটা মেয়ে যদি তাকে আগে থেকে সব দিয়ে দেয় তাহলে এত ঝামেলার কি দরকার।বিয়ে না করে যদি মিষ্টি কথায় সব হয়ে যায় , পাগলেও বিয়ে করবে না ওই মেয়েটা। কোনো ছেলে চায় না চরিত্রহীন মেয়েকে বিয়ে করতে কিন্তু সে যে কত মেয়ের চরিত্র হরণ করেছে সে হিসেব রাখে না।
ছেলেদের বলছি , ঘরে তোমার আদরের বোন আছে। ওর সাথে যদি কেউ এমন করে তাহলে কেমন লাগবে। পাপের বোঝা যখন নিজের ঘাড়ে পড়ে তখন বুঝবে যে এটা কত ভারী।
-ছেলে মেয়ে উভয়কেই বলছি কিছু সময়ের আনন্দ তোমার সারাজীবনের কান্না হয়ে দাঁড়াবে। তখন নিজের সম্মান নিজের কাছেই কমে যাবে। প্রেমের প্রকৃত অর্থই অনেক প্রেমিক প্রেমিকাই বুঝে না।
নিজেকে অন্যের কাছে সস্তা করো না। নিজের সম্মান যদি নিজের কাছে না থাকে তাহলে অন্যজন তোমাকে কি সম্মান দেবে !!!
ভালবাসা মানেই শুধু শারীরিক সম্পর্ক নয়। ভালবাসা হচ্ছে দুটি মনের অদ্রৃশ্য আলিঙ্গন এবং একটা পবিত্র সম্পর্ক।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০