আমার রোগবিকেলের অসুস্থ ইতিহাস। লাবণ্যময় বিষাদ
পেখম মেলে দ্যায়;
রৌদ্রের ওম লাগায় পশমি শীতসকালে।
ধোঁয়া ওঠা চা কাপে, শুষ্ক ঠোঁট
কাঁপন তুলতেই জানায় পৌষের আউলা বাতাসের
অন্ধ আহ্ববান।
মায়ার পালক ছোঁয়ায়
আঙিনায় ছেয়ে থাকা শর্ষে ফুলের মত
অবুঝ সন্ধ্যা মেঘ!
জানেনা ঝরা দুপুর, বিষাদেরা মানুষ হয়ে উঠবার আগেই
এই ভাবে একা একা বেড়ে যায়
রাত, রাত্রির অন্ধকার। যার কোলে
বেদনার অযাচিত সঙ্গম!
বি.দ্র: কবিতাটা যে ভাবে লাইন বিন্যাস করেছি তাতো ব্লগে আসবে না, তাই ইমেজ আকারেও দিচ্ছি। আশা করছি ভালই লাগবে দেখতে।
উৎসর্গ: কবিতার প্রতি আটটি প্রেম নামে একটি আত্মঅনুসন্ধান মূলক প্রবন্ধ ২০১৩ সালে প্রথম আলো ব্লগ সংকলনে প্রকাশ হয়েছে। লেখাটি পড়লে অনেকেই বুঝতে পারতেন কবিতার প্রতি আমার ভালবাসাটা এখন ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে। লেখাটি আশা করছি অচিরেই আপলোড করব। তবে এই প্রসঙ্গ তোলার কারণ এই যে, কবিতা নিয়ে আমার চর্চা বহুদিনের হলেও সবার সামনে প্রকাশ হবার শুরুটা অল্প কদিন আগে ব্লগে, আর সে ব্লগ হচ্ছে এই সামু। একসময় প্রতিদিন যত কবিতা পোস্ট হত প্রায় সবই পড়ে ফেলতাম। ২০১০ থেকে ২০১২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দু তিন হাজার (আনুমানিক) কবিতা ব্লগ থেকে পড়েছি। আমি কমেন্ট দেবার বেলায় একটু আলসে তবুও হাজার দশেকের কাছাকাছি চলে এসেছে যার বেশির ভাগই আসলে কবিতার পোস্ট। কবিতা নিয়ে সংকলন ও করেছি এবং তা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিন্তু অধিক খেলে বদহজমের মত আমার ও বেশি বেশি কবিতা পাঠ করে ব্লগ কবিতা পাঠের রুচি গেল চলে, যেমন গেছে ব্লগার শূন্য উপত্যকার। মাঝে কবিতা পাঠ একদমই কমিয়ে দিয়েছি। যাদের কবিতা পড়ে আনন্দ পেতাম তারাও কেন যেন এখানে লেখাও কমিয়ে দিলেন। ঝরা পাতারা লুটিয়ে গেলে গাছে আসে নতুন কুড়ি, নতুন পাতার গান। নতুন যে কবিরা এসেছেন তাদের কবিতা পড়ছি একটু একটু করে, আর এই কাজটাকে সহজ করার দুরূহ কাজটি করছে ব্লগার 'স্বপ্নবাজ অভি'। কবিতা নিয়ে সংকলন করা ব্লগের সবচেয়ে ঝামেলাপূর্ণ কাজ, কবিরা স্বাভাবিকভাবেই অতিমাত্রায় সংবেদনশীল, ঝগড়াটে ও হিংসুক ( একে কবির দোষ হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই) কেননা কবিতা মানেই সংবেদনশীলতার চর্চা। সংবেদনশীলতার এই চর্চাকে ব্লগের সকলে আরো বেশি করে জারি রাখুন। আর অভিকেও বলব, চলুক কাব্যিক ভ্রমণ, শুভকামনা তোমার কবিতার যাত্রায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭