somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুইস ব্যাংক, সেকেন্ড হোম এবং দুর্বোধ্য অর্থমন্ত্রী

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বছর কয়েক আগের কথা। আমার এক বন্ধু ইংল্যান্ডে কিছু টাকা পাঠাতে চাইলেন। তার দুই সন্তান সেখানে থাকে, তারা ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ দুই দেশেরই নাগরিক। আর এদেশে বলতে গেলে সে একরকম একা। তাই ভাবলেন এখানকার প্রপার্টিগুলো বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে ছেলেমেয়েদের কাছে পাঠাবেন, তারপর হয়তো একসময় নিজেও চলে যাবেন। ঢাকা শহরে কয়েকটি ফ্লাট রয়েছে তার, সে সব বিক্রির জন্য দু’একটা বিজ্ঞাপনও দিলেন।
গ্রাহক যখন ঠিকঠাক, তখনই প্রশ্ন উঠলো, বিক্রি তো করবেন, কিন্তু টাকা পাঠাবেন কি করে? তিনি নিজে কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করলেন। হতাশ হয়ে এক পর্যায়ে আমাকে বললেন, ‘এটা কোন কথা হলো? আমার টাকা আমি আমার সন্তানদের কাছে পাঠাতে পারবো না!?’
আমার মেয়ে তখন দার্জিলিং পড়ালেখা করে। তাই আমিও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, আমার বৈধ টাকা কেন আমি বিদেশে আমার প্রয়োজনে পাঠাতে পারবো না? আমি তো এখন থেকে অর্থ নিয়েই ওকে পড়াই। বিষয়টা এক ব্যাংকার বন্ধুকে বলতেই সে বললো, তুমি তো আর কোটি কোটি টাকা পাঠাও না। পকেটে করে কয়েকশ’ ডলার নিয়ে যাও। এই পরিমাণ অর্থ যে কেউ বৈধভাবে নিয়ে যেতে পারে। সরকার মনে করে, এই অর্থ তুমি নিয়ে যাচ্ছো তোমার পর্যটনের জন্য ব্যয় করতে, সন্তানের লেখাপড়ার জন্য নয়। লেখাপড়ার ব্যয়ের জন্য নিতে চাইলে তোমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি পেতে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। আর এক্ষেত্রে যে নিয়ম কানুন, তা সম্পন্ন করতে করতে হয়তো তোমার সন্তানের শিক্ষাবর্ষই শেষ হয়ে যাবে। তাই নিয়মকানুন মেনে কেউ আর টাকা নিয়ে যায় না।
ব্যাংকার বন্ধুটির সঙ্গে আরও অনেক কথা হলো। ঘন্টাদুয়েক পর তার ওখান থেকে যখন বের হলাম, তখন আমি এক বিশেষ জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তখন আমি জানি, এ দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর বৈধ সহজ কোন উপায় নেই। আপনি বিদেশ থেকে টাকা আনতে পারবেন, কিন্তু বিদেশে পাঠাতে পারবেন না। তাহলে, এই যে চিকিৎসা করাতে লাখ লাখ টাকা অনেকে নিয়ে যায় বিদেশে? এর উত্তর হচ্ছে- এই অর্থ অবৈধ উপায়ে নেয়া হয়েছে। অন্য কোন উদ্দেশ্যের কথা বলে নিয়ে তারপর চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য নিতে হলেও লিখিত অনুমতি নিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। সে কাজ করে কয়জন? আপনার কোন আত্মীয় সেভাবে নিয়েছে বলে শুনেছেন নাকি?
এই বিষয়গুলো নিয়ে পরে কোন একদিন হয়তো বিস্তারিত লিখবো। আজ কেবল এতটুকু বললাম, অন্য একটা প্রসঙ্গের ভূমিকা হিসাবে। মূল প্রসঙ্গ হচ্ছে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমাকৃত ক্রমবর্ধমান অর্থ এবং তা নিয়ে দেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বয়বৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী’র সুচিন্তিত মন্তব্য। তবে তারও আগে বরং মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রজেক্টে বাংলাদেশিদের অসাধারণ ভূমিকা নিয়ে দু’একটি কথা বলে নিই।
মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) নামের একটি প্রকল্প মালয়েশিয়া সরকার চালু করে ২০০২ সালে। তাতে বলা হয়, যে কোন বিদেশী সেখানে যেয়ে বাড়ি করতে পারবে, থাকতে পারবে সেখানকার বৈধ নাগরিক হিসাবে। এ কাজে তাকে শুরুতে কেবল একটা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে। অংকটা এক লাখ ডলারেরও বেশি। এর সঙ্গে আরও কিছু অর্থনৈতিক বিনিয়োগের কথাও রয়েছে। ওখানে যেয়ে বাড়ি করতে হবে, তার বিশাল খরচ রয়েছে।
মালয়েশিয়া সরকার এটা করেছে তাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার কথা চিন্তা করে। চালুর পর এ পর্যন্ত ১২৬ টি দেশের ৩৩ হাজার ৩ শ’ মানুষ নিজের অর্থ ব্যয় করে সেখানে সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন। এই লোকের মধ্যে বাংলাদেশি আছে তিন হাজার পাঁচ শত ৪৬ জন। সংখ্যার হিসাবে ১২৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়! আমরা কি অতই ধনী দেশ? কি জানি, হতেও পারে। সেকেন্ড হোম তৈরিতে আগ্রহী আমাদের ধনীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়ালেও ভারত কিংবা পাকিস্তানের কিন্তু হাজারও হয়নি। তাহলে আমাদের দেশ থেকে এত বেশি বেশি লোক দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়াতে থাকতে যাচ্ছে কেন? রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা জঙ্গি প্রকোপের আশঙ্কায়? তাই বা কি করে মানি? পাকিস্তানে জঙ্গি প্রভাব কেবল বেশিই নয়, তাদেরকে তো জঙ্গির উৎপত্তিস্থলও বলা যায়। তাহলে ঝামেলটা কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তরও না হয় আর একদিন খোঁজা যাবে, আজ বরং মূল প্রশ্নেই থাকি। সে প্রশ্নটা হচ্ছে- এই যে বিপুল অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ করা হলো, সেটা পাঠানো হলো কিভাবে? এই তিন হাজার তিনশ’ বাংলাদেশি কি সেকেন্ড হোম তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে মালয়েশিয়াতে টাকা পাঠিয়েছেন? না হলে তারা কি পদ্ধতিতে পাঠালেন এত বিপুল অর্থ? পাচার করেছেন? তাহলে তো অর্থ পাচারকারীদের ধরতে সরকারের খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এই তিনহাজার তিনশ’কে দিয়ে শুরু করলেই হয়। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? সম্ভব যে নয়, সেটা কিন্তু সহজেই বলে দেয়া যায়। কারণ যাদের এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হবে, দেখা যাবে তাদের অনেকেরই হয়তো সেকেন্ড হোম আছে মালয়েশিয়াতে। কেবল তাই নয়, তারা হয়তো এক বা একাধিক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তখন এমনও দেখা যেতে পারে, এদের পক্ষে সেই সব মন্ত্রীরা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্যও দিচ্ছেন! এদেশে সবই সম্ভব।
সেই সব সম্ভবের দেশে আলোচনা ওঠেছিল সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমাকৃত অর্থ নিয়ে। সুইস ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল সেখান বাংলাদেশিদের জমা থাকা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এটা একটা নিরেট তথ্য। কিন্তু তথ্যটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। বিরোধী রাজনৈতিক দল বলতে থাকলো- সরকারী দলের লোকেরাই নাকি দেশের অর্থ পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা রাখছে। তারা কথাগুলো এমনভাবে বলতে লাগলেন যেন তাদের আমলে এমন কিছু হয়নি। কিংবা তাদের কারো টাকা নেই সুইস ব্যাংকে। এসব নিয়ে বিতর্ক হয়তো আরও কিছুদিন চলতো। কিন্তু এরই মধ্যে জাতীয় সংসদে খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বললেন, অত অর্থ সুইস ব্যাংকে পাচার হয়নি। টাকার অঙ্কটা যৎসামান্য। আসলে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা বাড়াবাড়ি করেছে। এসব বলার পর তিনি একটা জটিল ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাইলেন- এসব আসলে সুইস ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক লেনদেন। এই সময়ে ব্যবসায়িক লেনদেন বেশি হয়েছে বলেই নাকি অঙ্কটাকে বড় আকারে দেখা যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রীর এমন বিবৃতি আমার কাছে কিছু বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে। আমি আবার সুইস ব্যাংকের রিপোর্টটিতে চোখ বুলালাম। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৬’ তে বলা হয়েছে, দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ২০১৫ সালের ৫৫ কোটি সুইস ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে। কই, এখানে স্পষ্টভাবে ‘জমা’ কথাটিই বলা হয়েছে, লেনদেনের কথা বলা হয়নি। এর মধ্যে খোঁজ খবর করে আরও একটা তথ্য পেলাম। সেখানে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের গত কয়েকবছরের হিসাব পাওয়া গেল। দেখা গেল ২০১২ সালে জমা ছিল ২২ কোটি ৮৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৩ সালে ৩১ কোটি ১৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৪ সালে ৫০ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৫ সালে ৫৫ কোটি ৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ । গত বছর সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, এসবই নাকি প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন, ব্যক্তিগত সঞ্চয় নয়। তাই যদি হয়, তাহলে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে এ দাবি কি করতে পারি না যে, দয়া করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করুন। এবং কে কোন খাতে কত লেনদেন করেছেন, সেটাও বলুন।

এমন দাবি করলেও তার কোন জবাব যে পাওয়া যাবে না, তা নিশ্চিত করেই বলতে পারি। পাওয়া যাবে না একারণে যে, আমাদের সরকারের ক্ষমতাই নেই সুইস ব্যাংকগুলো থেকে সেই হিসাব নিয়ে আসার। সুইস ব্যাংকগুলোর নিয়মই এই যে, তারা তাদের কাছে যারা অর্থ জমা রাখবে তাদের নাম ও তথ্য গোপন রাখবে। তাদের এই নিয়মের কারণেই দুনিয়াজোড়া মানুষ সুইস ব্যাংকে অর্থ লুকিয়ে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তাহলে যে অর্থ সম্পর্কে খোদ সরকারের কাছে কোন তথ্য নেই, অর্থের মালিক সম্পর্কে কোন তথ্য নেই, সেই অর্থ ব্যক্তির নাকি প্রতিষ্ঠানের, চোরাই নাকি ব্যবসায়িক লেনদেন, সেটাই বা আমাদের এই বয়োবৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী এত নিশ্চিত কি করে হলেন?

আমি আসলে বুঝি না। পাঠকরা কেউ বোঝেন নাকি?




সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×