সেখানে গিয়ে আমিত অবাক, লাখ লাখ মানুষের সমাগম। হরেক রকমের খাবার , গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত জিনিসপত্র, নানা রঙগের খেলনা, সহ বিশার মেলা মিলেছে।
একজনের কাছে জানতে পারলাম এটা কদম আলি মাস্তান (রঃ আঃ) মাজার। প্রতি বছর ১৭ মাঘ হতে ২৪ মাঘ পর্যন্ত এখানে ওরস পালন হয়। আমি বললাম খুবই ভাল কথা।
এর পর পুরো এলাকাটা ঘুরে দেখতে শুরু করলাম।
প্রথমেই দেখলাম অসংখ নারি পুরুষ একসাথে বসে আছে। তাদের সবার গলায় লাল কাপড় এর বড় একটি গামছা বা ওরনা বা চাদর টাইপের ঝোলানো। অনেকেরই পাগলের মত লম্বা লম্বা চুল, দাড়ি, গোফ আছে। এবং সেখানে গানের আসর জামিয়েছে কিছু লোকজন। ভাল খুবই ভাল ।
এর পড় গেলাম সেই বিখ্যাত ব্যাক্তির মাজারে। ভিতরে ঢোকতে পারলাম না ভক্তগনের ভিরের কারণে। কিন্তু দুর হতে মাজারকে ঘিরে আমাদের চিরাচরিত দৃশ্যই দেখলাম তা আর বলে, লিখা বড় করার দরকার নাই । মাজার যে ঘর রয়েছে তার বাইরে শত শত লোক মোমবাতির আলো জ্বালাচ্ছে অনেকটা ইবাদতের মন নিয়ে।
সকলের গলায় লাল কাপড় দেখে বিখ্যাত লাল সালূ উপন্যাসের কথা মনে পড়ে গেল। যাদের অতি মাত্রায় ও অন্ধের মত মাজার প্রিতি রয়েছে তারা দায়া করে এই উপন্যাসটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন।
কি লিখাটা অগোছালো আর বড় হয়ে যাচ্ছে? ঠিক আছে লিখার মূল উদ্যেশ্যের কথা বলে চলে যাচিছ । সমস্ত এলাকা ঘুরতে ঘুরতে একটি যায়গায় এসে আমার চোখ থেমে গেল । সাথে থাকা বন্ধুকে বললাম কিরে সব জায়গাতে আলো জ্বলছে কিন্তু ঐ জায়গায় অপেক্ষাকৃত কম আলো, আর ছোট ছোট খুপরির মধ্যে একটি বা দুটি করে মোম জ্বলছে ঘটনাকি? বন্ধুটি বলল চল দেখে আসি । সেখানে গেলাম আমি গুনতে শুরু করলাম কতগুলি খুপরি রয়েছে। প্রায় ৭০-৮০টি ছোট ঘর । কিসের খুপড়ি? বন্ধু বলল সিদ্ধির ঘর। মানে গাজার ঘর । আমি বললাম একেবারে ওপেন? কেউ কিছু বলেনা। ওখানে না পুলিশ দেখ আসলাম। ও বলল মাজারগুলি ঘিরে এমন গাজার দোকান আর গাজাখোররা ওপেননি থাকে । লাখ লাখ টাকার গাজা বিক্রি হয়। এগুলি আইন সিদ্ধ
আমরা একটি ঘরে প্রবেশ করলাম , ঘরে একজন মহিলা (৪৫-৫০), গায়ের রং কাল , মাথার চুল জটলাগানো , কিছু সাদা কিছু কাল, কিছু লাল,
নাম জানতে চাইলে সে বলল লাইলী পাগলনী, দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ বিভিন্ন মাজারে মাজারে সে যায় । এবং এই পবিত্র সিদ্ধি (তার মতে) বিক্রি করে। দেশের বাইরেও সে গিয়েছে বলে জানায়।
আমি মাজারকে ঘিরে মানুষের প্রচলিত কৃ-সংস্কার তুলে ধরার জন্য এই পোষ্টটি দিয়েছি। আরিফুর রহমান বাবুল ভাইকে এই মাজার সম্পর্কে কিছু জানলে ব্লগে লিখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। মাজার নিয়ে তার লিখা গুলি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
কারো মূল্যবোধের প্রতি আঘাত নয় মাজার নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা ও কর্মগুলিকি ঠিক এটা জানাই আমার উদ্যেশ্য । কারন আমি অনেক মাজারে দেখেছি মাজাকে সিজদাহ করে অনেকে। অথচ নামাজ বা অন্য কোন ভাল কাজ করে না। সেখানে নেশার আসর জমায়। আরো কাত কি?
আপনিও আপনার আসে পাশের অনিয়ম গুলি এই ব্লগে তুলে ধরুন। বলে রাখি আমরা গাঁজা খাইনি। বিশ্বাস না হলে আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।
শিরোনামটি শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দেযা। কেউ বাঁশ দিয়েন না। দিলে রড দিয়েন কাজে লাগব।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




