নাজিম মাহমুদ: লিবিয়ার চার দশকের স্বৈরশাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হটাতে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং ফরাসি বিমান ও পেণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫০ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো চার শতাধিক লোক। কানাডা, ইতালিও এই হামলায় যোগ দিয়েছে। হামলায় অংশ নিতে যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করেছে নরওয়ে। নিহতের মধ্যে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার একজন সাংবাদিক রয়েছেন। লিবিয়ায় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। হামলায় দেশটির শিা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। হতাহতের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু।এই হামলায় লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি, বেনগাজি, মিসরাতা, জুওয়া ও সিরত শহর বেশি তিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।এদিকে লিবিয়ায় পশ্চিমা বাহিনীর এ হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান দেশগুলোর আঞ্চলিক সংগঠন (এইউ)। মৌরিতানিয়ায় চার ঘণ্টার বিশেষ বৈঠকের পর সংগঠনটির নেতারা পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এই আহ্বান জানান। এ সময় লিবিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়। এদিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমাবাহিনীর সামরিক বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড হামলার শপথ নিয়েছেন গাদ্দাফি। গত রাতে হামলা শুরুর কিছু সময় পর তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা বাহিনীর ওপর চরম প্রতিশোধ নেয়া হবে। প্রকৃত যুদ্ধেেত্র পরিণত হবে এই এলাকা। এ সময় লিবিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার খুলে দেয়ার কথাও বলেন তিনি। গাদ্দাফি বলেন,লিবিয়ায় প্রতিইঞ্চি ভূমি রায় প্রয়োজনে জনগণের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হবে। এ সময় পশ্চিমাশক্তির এই আগ্রাসন রুখতে আরব, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার জনগণের কাছে সহায়তা কামনা করেন তিনি। গাদ্দাফি বলেন,লিবিয়ার চরম বিপদের মুহূর্তে আমি আরব, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার বন্ধুদের সহায়তা আশা করছি। প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে রায় তার বাড়ির চারপাশে মানবঢাল রচনা করেছে কয়েক হাজার জনতা। এদেরকে গাদ্দাফির একান্ত অনুগত বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাদ্দাফির উৎখাতে শনিবার রাত এগারটা নাগাদ হামলা শুরু হয়। হামলার প্রথমেই লিবিয়ার ‘বিমান প্রতিরা’ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধিন ইরাক অগ্রাসনের পর পশ্চিমা বাহিনীর এটাই বড় ধরনের সামরিক অভিযান।এদিকে লিবিয়ার স্থাপনা নয়, গাদ্দাফির ওপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র খালিদ আল সালেহ বলেন, আমরা গাদ্দাফির উৎখাত চাই। লিবিয়ার সম্পদের ওপর নয়, গাদ্দাফি অনুগত সেনা ও তার ওপর হামলা করা হোক। লিবিয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক হামলা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, লিবিয়ায় চলমান সামরিক হামলায় মার্কিন বাহিনীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম। বর্তমানে ব্রাজিল সফররত ওবামা আরো বলেন, মিত্রদেশগুলোর প্রয়োজনে অল্প পরিসরে মার্কিন বাহিনী এ অভিযানে অংশ নিয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএন
সূত্র দৈনিক আমাদের সময়: