আজ-কাল বড্ড বাঁচতে ইচ্ছে করে। হাতে অনেক কাজ, অথচ সময় স্বল্প। ইদানিং নেটে আসিনা বল্লেই চলে। কেমন যেন ঘেন্না-ঘেন্না লাগে। এ মাসে দুই দিন এসেছি, যেখানে সারা রাত-দিন পড়ে থাকতাম। তার উপর তোমার কথা মনে পড়ে। পাছে তোমার সাথে না চোখের দেখা হয়ে যায়। তোমার সাথে আমার এই পথেই তো দেখা, তাই-না ?
আজ যেহেতু এসেই পড়েছি, একটা কথা তোমাকে বলেই যাই। ইচ্ছে ছিলো কোনো এক আনুষ্ঠানিকতায় তোমাকে বলবো। তা আর হলোনা-হয়নি। কারন তোমার মধ্যে একটা বিষয়ের অভাব- বড্ড অভাব আছে। ধৈর্য্য। ধৈর্য্যরে বড় অভাব তোমার মাঝে। আমারও সময় স্বল্পতা। সর্বশেষ-চুড়ান্ত কথাটা অনাকাঙ্খিত হলেও . . . কোন এক অবসরে একবার ভেবে দেখতে পারো।
তোমার জীবন, কর্ম, সার্থকতা, ব্যর্থতা, স্বামী, সংসার সবই তোমার। এখানে নাক গলানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি কখনোই। কিন্তু আজ সে অপ্রয়োজনীয়তাটার ভীত- এ আস্তে-আস্তে চির ধরতে শুরু করেছে, যখন ভাবি এত কিছুর পরও তুমি এখনোও তোমার নও।
খুব ছোট্ট করেই একদিন. . .। আমি সেটা নিজের করেই নিয়েছিলাম, সিরিয়াসলীই নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষটা দেখতে তোমার ধৈর্য্যে কুলায়নি।
যাক্, বলতে এসেছি অন্যকথা। শেষ কথাটা। তোমার বিয়ে, বিয়ে পরবর্তী এমন কিছু কিছু ঝামেলার নায়ক-নায়িকা যা তুমি হয়তো অনুমান করেছ কিন্তু বিশ্বাষ করতে কষ্ট হয়েছে। কারন ওগুলি এতটাই সূক্ষ্মভাবে সম্পাদিত হয়েছে যে, কাউরো পক্ষে তা বিশ্বাষ করাটা বেশ জটিল। তোমার বেলায় তা তো অসম্ভব।
অন্তরা, সিমি, লুনা,... সর্বপোরি আমাকে তোমার নাম্বার (অন্তরার নাম্বার) দেওয়ার যত গুলি কারন আছে ও ছিল তার অধিকাংশ কারনগুলির নায়ক হচ্ছেন . . . । নাহ্ থাক তুমি বিশ্বাষ করতে পারবেনা। কারন তুমি এখন অন্ধ। টোটাল্লী অন্ধ। আমাকে দোষারোপ করতে, অন্তরাকে শত্রু ভাবতে, প্রাণের স্বামী জুয়েলকে প্রতারক, অন্যান্যকে বন্ধু ভাবতে ভাবতে তুমি এখন অন্ধ হয়ে গেছ। সো তোমার এই কৃঞ্চ অন্তরে এখন আর কোন কথা ক্রীয়া করবেনা। তোমার স্বামীর কথাও এখন আর তোমার ভাল্লাগবেনা। তবুও বলি একবার, অন্ততঃ একবার ভেবে দেখতো আমার কথাটা, আমার ধারনাটা, আমার শেষ কথাটা সত্য কী-না ?
তোমার বিয়ে পরবর্তী আজ অবধী সব ঝামেলার নাটের গুরু হচ্ছেন তোমাদের অতি বিশ্বস্ত কাছের বন্ধু- জিয়া।
আরো কিছু কু-কর্ম
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৬