ফেসবুকে আপনার ঘনিষ্ঠ
বন্ধুটিকে কী বন্ধু
তালিকা থেকে বাদ
দিতে হয়েছে? হয়তো তাঁর ঘন ঘন
বিরক্তিকর পোস্ট, বিতর্কিত
কোনো বিষয়
নিয়ে মাতামাতি কিংবা ধর্ম ও
রাজনীতি নিয়ে তাঁর
মাত্রাতিরিক্ত
বাড়াবাড়ি আপনার পছন্দ
হয়নি বলেই বাধ্য হয়েছেন
তাঁকে ‘আনফ্রেন্ড’ করতে। প্রিয়
বন্ধুটির প্রতি বিরক্ত
হয়ে তাকে বাতিল করে দেওয়ার
ঘটনা যে শুধু আপনার সঙ্গেই
ঘটছে তা কিন্তু নয়। আপনার
মতো অনেকেই এই কারণগুলোর
জন্যই বন্ধুত্বের
তালিকা থেকে প্রিয় বন্ধুকেও
বাদ দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের
গবেষকেরা ফেসবুকে আনফ্রেড
করার
কারণগুলো নিয়ে একটি মজার
গবেষণা করেছেন।
তাঁরা দাবি করেছেন, ফেসবুক
বন্ধুকে ‘আনফ্রেন্ড’ করার অন্যতম
কারণ হচ্ছে ধর্ম ও
রাজনীতি নিয়ে বিতর্কিত
মতামত পোস্ট করা। এ ছাড়াও ঘন
ঘন নিরস মন্তব্য বা স্ট্যাটাস
পোস্ট করে বিরক্তি উত্পাদন
করার জন্য অনেকেই বন্ধু
তালিকা থেকে প্রিয়
মানুষকে বাদ দেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন,
সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইটে মতবিরোধের
বিষয়টি বা বিতর্কিত
বিষয়গুলো সবচেয়ে দ্রুত
ছড়িয়ে পড়ে।
ইউনিভার্সিটি অব
কলোরাডো ডেনভারের গবেষক
ক্রিস্টোফার
সিবোনা জানিয়েছেন, ফেসবুক
বন্ধুকে বন্ধুত্বের
তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার
আরেকটি কারণ হচ্ছে বাস্তব
জীবনে তার
সঙ্গে কোনো ঝামেলা তৈরি হওয়া।
তাঁর মতে, অনেক সময় সহকর্মীর
সঙ্গে ফেসবুকে কোনো ঝামেলা না থাকলেও
বাস্তব
জীবনে ঝামেলা তৈরি হলে তাকে ফেসবুকেও
বন্ধুত্বের
তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
গবেষকেরা এক হাজারের
বেশি মানুষের ওপর
গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য
পেয়েছেন।
গবেষকেরা দাবি করেছেন,
ফেসবুকে প্রিয় বন্ধুকে যখন
আনফ্রেন্ড করা হয় সে তখন যথেষ্ট
বিরক্ত হয় এবং অনেক কষ্ট পায়।
সাধারণত খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু
হলে ‘আনফ্রেন্ড’ করার
ঘটনা বেশি ঘটে। অবশ্য শুধু
পরিচিতের ক্ষেত্রে এ ঘটনা কম।
গবেষক সিবোনা বলেন,
ফেসবুকে অনেক বন্ধু থাকলে সবার
সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক
রাখা কষ্টকর কিন্তু
জেনেশুনে ঘনিষ্ঠ
কাউকে বন্ধুত্বের
তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়াটাও
যথেষ্ট পীড়াদায়ক।