somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকান প্রাইমারি নিয়ে কিছু ভাবনা: কে হবে বিশ্বের প্রথম বা দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বল্গার চাদগাজী সাহেবের আমেরিকান প্রাইমারী নিয়ে দেয়া একটি পোস্টের কমেন্ট করতে গিয়ে ভাবলাম এ বিষয়ে একটি পোস্টই দিয়ে ফেলি। আর সেই ভাবনা থেকেই আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার মত ,মার্কিন মুলুকের নির্বাচন নিয়ে আমার মত যদুমদুর এই পোস্ট প্রসব।

যাই হোক, কিছু বিশেষ কারনে বা আকাংখা থেকে বাংলাদেশের মানুষের একটা বিরাট অংশ মনে প্রানে চান বা বিশ্বাস করেন, হিলারী এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে। তবে আমার মনে হয় ২০০৮ মতো হিলারী ডেমোদের প্রার্থী বাছাইতে টিকবেন না শেষ পর্যন্ত।তাছাড়া হিলারী তো পরের কথা এবার ডেমোদের কোন প্রাথীই সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ আছে।তার কারন গত ৮ বছরে ওবামার রক্ষনশীল নীতি ২০০৮ এর বিশ্বমন্দা কাটিয়ে মার্কিন অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিলেও ,বিশ্বব্যাপি মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুকি বেড়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার উত্থানে বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য হুমকির মুখে পড়েছে।


তাই এবার মার্কিন নাগরিকদের ভাবনায় একজন শক্তিশালী 'ডানপন্থি আমেরিকান' ই প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্থান পাবে বলে আমার ধারনা। কারন পুতিন এবং রাশিয়ার উত্থান মার্কিন আধিপত্য ও বিশ্বব্যাপি তাদের ব্যাবসা বিনিয়োগের সুযোগকে সংকুচিত করে দিচ্ছে ক্রমাগত। তাই দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্তিতিশীলতার স্বার্থেই আমেরিকানরা চাইবে তাদের আধিপত্য বজায় থাকুক।আপনার মনে হতে পারে এই আধিপত্য না থাকলে কি ক্ষতি হবে। উদাহারন এই বাংলাদেশ থেকেই দেয়া যায়, খেয়াল করে দেখুন ৯০ এর দশক থেকে ২০১০ পর্যন্ত বাংলাদেশের তেল,গ্যাস সহ পুরো জ্বালানিখাতটাই ছিল আমরিকান তেল কোম্পানির দখলে। অথচ ২০১২ থেকে এখন পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সেক্টরে রাশিয়ান কোম্পানি গুলো সুযোগ পাচ্ছে। অনেকে বলতে পারেন , এগুলো শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সিধান্তে হয়েছে। হয়তো সেটা কিছুটা সত্যি, কিন্তু শেখ হাসিনা বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা আমলে নিয়েই এই সিধান্ত নিয়েছেন। মানে ধরুন যদি মার্কিন প্রভাব যদি ৯০ দশকের মত থাকতো তাহলে হয়তো তিনি এই পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র আমেরিকান কোম্পানিকে দিতে বাধ্য হতেন।

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও আই এস ইস্যুতে ওবামার পদক্ষেপ বিশ্ব রাজনীতি ও সামরিক ইসুতে আমেরিকার স্বক্ষমতাকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যার ফলে আমেরিকা তার মিত্রদের কে ধরে রাখতে চ্যালেন্জের মুখে পরবে অচিরেই। মোট কথা আমেরিকানদের এবারকার একটা বড় ইসু হল বিশ্বব্যাপি তাদের 'ভিভিআইপি প্রিভিলেজ' ধরে রাখা। আর এজন্য তাদের দরকার একজন 'কট্টর প্রেসিডেন্ট' যিনি রশিয়ার উত্থান ঠেকাবেন। আর সেই দিক দিয়ে আমার আপনার ঘৃনার পাত্র ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন , তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। তবে আমি হলপ করে বলতে পারি, এই ট্রাম্প যদি সত্যি প্রেসিডেন্ট হয়েও যান তবে তিনি মুসলামানদের যুক্তরাস্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে যেটা বলেছেন , সেটা উনি বাস্তবায়ন করতে পরাবেন না কোন ভাবেই, কারন বৈশ্বিক বাস্টবতায় সেটা করার কোন সুযোগ নেই। আসলে ওটা ছিল 'স্বস্তা জনপ্রিয়তা' অর্জনের চটকদার কৌশোল যা রাজনীতি বিদরা সবসময় করে থাকেন।এবং এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে ওনার ঐ কৌশল বেশ ভালই কাজ করছে।

তবে বাংলাদশে যারা হিলারীর জন্য মুখিয়ে আছেন, তাদের জন্য তেমন আশা নেই এমনিতেই উপরে উল্লেখিত কারনে। তারপেরও আরো একটা বিষয় হল, মুখে যতই 'জেন্ডার ইকুয়ালিটি' বলে ফেনা তুলুক বাস্তবে আমেরিকানরা কোন নারীকে 'প্রেসিডেন্ট' হিসাবে নেয়ার মত উদার মানসিকতায় আসে নাই। তারা এখন পর্যন্ত 'মি: প্রেসিডেন্ট' বলেই অভস্থ 'মিসেস প্রেসিডেন্ট' এর কথা ওরা এখনও ভাবেনা সেটা ২০০৮ এই প্রমানিত , কারন আমার হিসাবে ২০০৮ ই ছিল হিলারীর সবচেয়ে ভাল সুযোগ। কারন যুদ্ধবাজ রিপাবলিকান বুশের পর একজন ডেমো নারী হিসাবে হিলারি হয়তো বেস্ট চয়েস ছিল ঐ সময় , বাট আমেরিকানরা এক অখ্যাত আফ্রিকানকে প্রেসিডেন্ট বানাইছে , তারপরেও একজন সাবেক ফার্স্ট লেডি যিনি প্রশাসনের খুব কাছে ছিলেন, রাজনীতিতে পরিচিত তাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে গ্রহন করতে পারে নাই।এবারও হিলারীকে হটিয়ে স্যান্ডির আবির্ভাব সেই একই ঘটনার জানান দিচ্ছে।তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। তবে যেই প্রেসিডেন্ট হোক আমাদের মত দেশের প্রতি ওদের দৃস্টিভংগীতে তেমন কোন হেরফের হবে না।ওরা সবসময় চাইবে এদেশে আধিপত্য বজায় রাখতে, আর আমাদের 'দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদরাও' সেই সুযোগ দিতে মুখিয়ে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×