somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় ক্যামেরা কেনার আগে জেনে নিন কোনটি আপনার জন্য?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের বাজারে বিভিন্ন ডিজিটাল ক্যামেরায় ভরপুর, প্রথমেই সবার, জিজ্ঞাসা "কোন ক্যামেরা কিনবো?" যে প্রশ্নের উত্তর সাধারণত, কত টাকা আপনি ব্যয় করতে চান এবং কি ধরনের ফটোগ্রাফি করতে চান? যেমন, ন্যাচার, ওয়েডিং, পোর্টেট, ফ্যামিলি ফটগ্রাফী ইত্যাদি।
সাধারনত বাজারে ৩ ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায়,
১. বেসিক পয়েন্ট অ্যান্ড শুট
২. কম্পেক্ট
৩. ডি এস এল আর।

১. পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরাঃ

এই ৩ ধরেনের ক্যামেরার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরা। এই ক্যামেরা আমরা অনেকেই ব্যবহার করি এবং এইটা ব্যাবহার করতে আপনাকে খুব বেশি কিছু জানতে হবে না। ক্যামেরা হাতে নিন, অন করুন, সাবজেক্ট কে ফুকাস করুন এবং ক্লিক করুন। ব্যাস, আপনার ছবি ওঠে গেলো।



সুবিধাঃ
১. অল্প দামেই পাচ্ছেন খুব সহজ ভাবে।
২. বেশ হাল্কা এবং খুব সহজেই বহন করা যায়।
৩. অটুমেটিক ফিচার গুলু খুব সহজেই আপনার ছবি তুলতে সাহায্য করে।

অসুবিধাঃ
১. ইচ্ছে করলেই ক্যামেরার লেন্স পরিবর্তন করতে পারবেন না।
২. অনেক সময় ক্যামেরার অপারেশন স্লো অপারেশন এর জন্য ছবি কিছুটা ব্লার আসতে পারে।
৩. ভিউ ফাইন্ডার না থাকার জন্য দিনের বেলায় ছবি তুলতে অসুবিধা হতে পারে। কারন অতি উজ্জ্বল আলোয় LCD Display তে অনেক সময় ছবির ওরিজিনাল কালার বুঝা যায় না।
৪. LCD Display যখন কোন ছবি শো করে তখন তার সাথে কিছু এডিশনাল কালার এড করে ছবির উজ্জলতা বাড়ানোর জন্য, যাতে করে ওরিজিনাল ছবির কালার বুঝতে সমস্যা হয়।
সর্বোপরি, পয়েন্ট এন্ড শুট কামেরা আপনার প্রতিদিনের ছবি তুলার জন্য ভালো। কিন্তু আপনি যদি প্রোফেসনাল ছবি তুলতে চান কিংবা আপনার হবি যদি হয় প্রোফেসনাল ছবি তুলা তাহলে এই কামেয়া আপনার জন্য না।

২. কম্পেক্টঃ

কম্পেক্ট ক্যামেরা অনেকটা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার মতই। কম্পেক্ট ক্যামেরা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরা থেকে কিছুটা আকারে বড় হয় এবং এই গুলোর যুম ও এক্সপোজার পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরা থেকে বেশি।



সুবিধাঃ
১. ডি এস এল আর ক্যামেরার নিচের সারির দাম ক্যামেরার দাম থেকে অল্প দামেই পাওয়া যায়।
২. ক্যামেরা লেন্স গুলো মোটামুটি যুম সম্পন্ন, যার কারনে আপনি কাছ থেকে দূর পর্যন্ত ছবি তুলতে পারবেন।
৩. অনেক ক্যামেরাতেই ভিউ ফাইন্ডার থাকে, যার কারনে উজ্জ্বল আলোতে ও ছবি তুলার সময় দেখতে পারবেন।
৪. অনেক ফিচার ম্যানুয়ালী কন্ট্রোল করা যায়। যা কিনা আপনাকে অনেকটা ডি এস এল আর এর স্বাদ দিবে।
৫. অনেক গুলোতে আবার এডিশনাল লেন্স এড করার অপশন আছে।

অসুবিধাঃ
১. অনেকটাই পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরার মতই।
২. এই ক্যামেরাতে ভিও ফাইন্ডার থাকলেও সেইটা মূলত একটা ছোট LCD Display, ওরিজিনাল ভিও ফাইন্ডার না ।

৩. ডি এস এল আরঃ

ডি এস এল আর এবং উপরের বর্ণিত দুটি ক্যামেরার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে এই ক্যামেরাতে আপনি আপনার ছবি তুলার প্রয়োজন মত লেন্স পরিবর্তন করতে পারবেন, অনেক বেশি ফাস্টার। এবং আপনি সেই ইমেজটিই দেখতে পাবেন যেইটা কিনা আপনার ক্যামেরা দেখছে। কারন ক্যামেরার ভিও ফাইন্ডার আপনাকে একি লেন্সের রিফ্লেকশন দেখাই।



সুবিধাঃ
১. ডি এস এল আর ক্যামেরার সুবিধা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
২. ক্যামেরা লেন্স আপনার প্রয়োজন মত পরিবর্তন করতে পারবেন। যখন যেই ধরনের ছবি তুলতে চান সেই ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, ম্যাক্রো ছবি তুলতে ম্যাক্রো লেন্স, দুরের ছবি তুলতে টেলিফটো ইত্যাদি।
৩. ক্যামেরা অনেক বেশি ফাস্টার ছবি তুলে। ছবি তুলার মাঝে কোন প্রিপারেশন টাইম নেই না। আপনি রেডি তো ক্যামেরা ও রেডি।
৪. আপনার প্রয়োজনে এক্সটারনাল ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে পারবেন। যেইটা কিনা আপনার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ থেকে উজ্জ্বল আলো দেবে আপনার প্রয়োজন মতে।
৫. ম্যানুয়ালী এক্সপোজার এর জন্য আপনি আপনার ছবি কেমন হবে তা ঠিক করতে পারবেন। যেমন, শারটার স্পীড কত হবে, আই এসও কত, আপেরচার কত ইত্যাদি।

অসুবিধাঃ
১. এই ক্যামেরা দাম উপরের দুটি থেকে অনেক বেশি।
২. ভালো ছবি তুলতে হলে আপনাকে ফটোগ্রাফী সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে ।
৩. ক্যামেরা ও তার আনুসাঙ্গিক সবকিছু বহন করতে আলাদা ব্যাগ ব্যাবহার করতে হবে।

আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের ভালো লাগলে পরে ফটোগ্রাফীর আরো খুটিনাটী লিখব। ভালো থাকবেন সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৮
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×