আগামী বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটক পাইলট প্রকল্প হিসেবে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (থ্রি-জি) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কল চার্জের কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মুজিবুর রহমান আজ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে এই প্রযুক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’
এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নতুন এ প্রযুক্তির সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য অপারেটরদের বাড়তি কোনো কল চার্জ দিতে হবে না।’
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৯ আগস্ট টেলিটক কোম্পানি নিজেদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপারেটরদের কাছে থ্রি-জি প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে থ্রি-জি পাইলট প্রকল্প সফল হলে পরবর্তী সময়ে অন্য সব মোবাইল ফোন কোম্পানিকে থ্রি-জি লাইসেন্স দিতে নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টেলিটকের প্রধান জানান, নতুন এ প্রযুক্তি চালু করতে টাওয়ারসহ কী ধরনের যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হবে, তা নির্ণয় করতে সারা দেশে জরিপ চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু করতে প্রাথমিকভাবে সারা দেশে আরও দুই হাজার ৫০০ টাওয়ার স্থাপন করতে হবে। বর্তমানে টেলিটকের এক হাজার ৮০০ টাওয়ার রয়েছে।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে থ্রি-জি প্রযুক্তি সবার হাতে পৌঁছে দিতে চায়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকেরা সহজেই দ্রুত বিভিন্ন ডেটা বিনিময় করতে পারবে। তিনি বলেন, ‘থ্রি-জি প্রযুক্তিসংবলিত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা শোনার পাশাপাশি ছবিও দেখা যাবে।’
থ্রি-জি এমন এক মোবাইল ফোন প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে অডিওর মতো সব ধরনের ভিডিওর তথ্যবিনিময় করা যাবে। একই সঙ্গে উচ্চতর গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




