একজন খৃষ্টান ভদ্রলোকঃ
_____একদা মুসলিম শ্রেষ্ঠ গবেষক ও ফকিহে আজম "ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ)-এর কাছে নিজের অতি মূল্যবান হারিয়ে যাওয়া রত্ন পাওয়ার সঠিক তদবিরের জন্য গেলেন।
নিজ প্রয়োজনকে আচ্ছামত ব্যক্ত করলেন মনীষীর নিকট: করুণাময়ী নবীর উম্মত হিসেবে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ভাব লোপ করে মায়ার বাঁধন চাদরে আব্রত করে নিলেন তাকে।
লোকটি বহুবার নৈরাশ হয়ে পাদ্রিদের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে ফিরার তথ্যটি জানতে পেরে তিনি আরও আগ্রহি হয়ে উঠলেন।
"জগত বিখ্যাত ইমামে আজম" লোকটিকে বল্লেন তোমাকে যদি কোন কঠিন শর্ত বেঁধে দেয় তবে তুমি কী সম্মতি থাকবে।
রোমান ক্যাথলিক মতবাদ বিশ্বাসী বলেন যদি আপনার ধর্মসাধন আমার অন্তরকে প্রভাবিত করে তবে সে আমার আপত্তি কিসের?
আবু হানিফা (রাহঃ) তাকে নামাজরত হওয়ার নির্দেশ দিলেন :
লোকটি বল্ল এর নিয়মাবলী কিভাবে আমাকে একবার দেখিয়ে দিতে হবে। কালক্ষেপ না করে "ইমাম আজম আবুহানিফা" তাকে অজু করিয়ে নামাজের বিছানায় উঠিয়ে নামাজ ভঙ্গিগুলো শিখিয়ে বল্লেন প্রত্যহ উঠা-বসা ও সেজদার সময় তোমাকে সময় ব্যয় করতে হবে।
লোকটি নামাজে মশগুল হয়ে প্রতিটি কাজ যথাযথ পালনে উদ্ভোদ্ধ হলো..... মাত্র এক রাকাত পড়ে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদায় যাওয়ার সাথে সাথেই এক দৌড়ে সোজা বাড়ীর দ্বারে....
"আবু হানিফা রাহঃ ভাবলেন বোধহয় বেচারা ধর্মান্তর হওয়া পছন্দ করেনি! তার প্রতিক্ষায় সময় বিলম্ব না করে ঘরে চল্লেন।
খানিক পরেই পুরো পরিবারের লোক নিয়ে "আবু হানিফা (রাহঃ) -এর বাড়িতে উপস্থিথ
ইমাম আবু হানিফা রাহঃ বল্লেন তুমি আবার উষ্ণ দুপুরে কেন স্বপরিবারে ফিরলে?
লোকটি বলে হুজুর "আমার সংসারে একমাত্র সম্বল রত্নটি পেয়ে গেছি "
নামাজে দাড়ানোর পর আমার মনে কে যেন পুরানো পুরানো কথাগুলো মনে করিয়ে দিতে ছিল। একটু পরই আমার বেখিয়ালি অবস্থায় রাখা রত্নের কথা মনে পরলো, অত্যন্ত মূল্যবান রত্নের লোভ সামলাতে না পেরে আপনাকে কিছু না বলেই দৌড়ে চলি বাড়ীতে।
তবে কে আমাকে এমন মনে করালো বলবেন কী হুজুর?
"আবু হানিফা রাহঃ বলেন নামাজরত মুসলেমিনদের নামাজ বরবাদ করতে শয়তান মনে এসব আজেবাজে কথা 'প্রয়োজনিয় অপ্রয়োজনীয় আলাপন মনে করিয়ে দেয়। যাতে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভে বাধাঁগ্রস্থ হয়।
লোকটি বলে এখন আমার হৃদয় নির্দ্বিধায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাচ্ছে, আপনি আমাদেরকে মুসলিম বানিয়ে দিন
লোকদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে দিলেন ইমামে আজম আবু হানিফা (রাহঃ)