রাত ৩টা ৩০।কাল ফিজিক্স পরীক্ষা।রাত জেগে নোট করছে নিকিন।বাসায় সে ছাড়া কেউ নেই......ওর মা,বাবা আর ছোট ভাই ওর এক খালাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে।পরীক্ষার জন্য সে যেতে পারে নি;বাসায় সে একদম একা।পুরোপুরি একা বললে ভুল হবে।ওর পোষা বিড়ালটা ওর সাথে আছে।ওর নাম বিলি।মিশমিশে কালো শরীর,জ্বলজ্বলে চোখ।দেশি বিড়াল।বিড়ালটাকে অবশ্য এই মুহূর্তে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না।আছে হয়তো কোথাও।
বিশাল বড় বাসা।একদম কোণের রুমে সে একা............একমনে ফিজিক্সের কঠিন অঙ্ক কষে যাচ্ছে।এক একটি অঙ্ক শেষ করে চলেছে আর পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনা তত বেড়ে চলে...
ওর রুমের একটা বর্ণনা দেয়া উচিত।ওর রুমে একটাই জানালা।জানালার ওপাশে একটা বড় কড়ই গাছ।আর..............একটা বাড়ি।এখনও কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে।ওর পাশের দুই বাসা পরেই একটা বাসায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।মনে হয় কালকে কারো বিয়ে।
নিস্তব্ধ রাত।শুধুমাত্র ওর কলমের খসখস শব্দ ছাড়া রার কোনো শব্দ নেই।রুমের মধ্যে ভ্যাপসা গরম।জানালাটা বন্ধ।কি জানি?ও একমনে অঙ্ক করে চলেছে।বৈশাখের এই গরমকে পরোয়া না করেই...পরীক্ষায় ওকে ভালো করতেই হবে।হঠাৎ..................
হঠাৎ কী???
একটা শব্দ।সত্যিই কি তাই?হ্যাঁ,একটা শব্দ।মৃদু শব্দ।ও চমকে উঠল।শব্দটা আসছে ওর পেছন থেকে।পেছনে জানালা।জানালায় ঠোকর দেয়ার শব্দ।ও আস্তে আস্তে পেছনে তাকাল...
এইটা কী?????????????
এইটা...???একটা ছায়া......একটা ছায়া ওর জানালার ওপাশে দাঁড়িয়ে...............ছায়াটার চোখ আছে!!!ছায়ার কি কখনও চোখ থাকে?তাও আবার চোখটা জ্বলছে।ছায়াটা কি মানুষের নাকি অন্যকিছু???
নাহ...আর পারা যায় না...নিকিন আতঙ্কের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে।
এমন সময় লোডশেডিংয়ের ফলে সমগ্র বাসা অন্ধকার হয়ে গেল............