চারিদিক শুনশান, স্তব্ধ নীরবতা
সময়টা তখন মাঝরাত
রাস্তায় নেই কোনো গাড়ি ঘোড়া
চারদিক আঁধারের চাদরে মোড়া
নিশাচরেরা বেড়িয়েছে নৈশ ভ্রমণে
বাদুড়েরা ডানা ঝাপটায় বাতাসের তালে তালে
এমন সময় কবির দরজায় করাঘাত
লেখক এসেছেন কবির সাক্ষাতে
২৪ এপ্রিল রজনীর গল্প বলতে।
কবি বললেন হেসে, কী গল্প বলবে হে
লেখক বললেন, এক কল্পপরীর গল্প
তবে এটি শুধু গল্প নয়
তার অস্তিত্ব সম্পূর্ণ সত্য।
লেখকের কণ্ঠে স্বপ্নীল সুর
শুরু হলো তার গল্প।
২৪ এপ্রিল সন্ধ্যারাতে
ছিলেন অলিন্দে একা
লিখছিলেন তার জীবনের
এক শ্রেষ্ঠ গল্পগাঁথা।
এমন সময় প্রবেশ করলো এক রমনী
মাথায় তার বনফুল,পরনে নীল শাড়ি।
এসে বললো লেখককে
এক যে আছে কল্পপরী
আমি তার কন্যা
নিয়ে এসেছি আপনার জন্য
পবিত্র ভালোবাসার বন্যা।
লেখক ভাবলেন অবাক হয়ে
এ আবার কেমনতর বুলি
কৌতুহলী হলেন লেখক
কল্পপরী ছোটালো গল্পের ঝুড়ি।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়
তার গল্প হয় না শেষ
একটি শেষে আরেকটি শুরু হয়
লেখকের ভাবে বেশ।
গল্পের মাঝে হঠাত করে
দাঁড়িয়ে পড়লো কল্পপরী
বললো চলুন বেড়িয়ে পড়ি
দেখি জোছনা রাতের কারিকুরি।
তখন কিন্তু মধ্যরাত
তবে ছিলো না কোনো আঁধার।
উঠোনভরা জোছনার খেলা
আকাশে তারার মেলা
সেই আলোতে ছুটে বেড়ায়
জোনাকি আর কল্পপরীর কন্যা।
এতো ২৪ এপ্রিলের সেই মধ্যরাতের কথা
লেখকের কাছে যেন রূপকথার গল্পগাঁথা।
রাতটা যেন হঠাৎ করে
হয়ে গেল শেষ
কল্পপরী কোথায় হারিয়ে গেল
রয়ে গেল তার রেশ।
লেখক তখন পাগলপ্রায়
খুঁজলো দিগ্বিদিক
কোথায় গেলো কল্পপরী?
শুনশান চারদিক।
তারপর থেকে লেখক ছুটে চলে
খুঁজলো কত দেশ বিদেশ
পেলো না কল্পপরীর কন্যাকে
মনে পেলো দুঃখ বেশ।
আজও তার স্বপ্নে আসে
সেই কল্পপরী
ঘুমোতে পারে না লেখক
কাটে নির্ঘুম রজনী।
প্রতিজ্ঞা করে লেখক
তার কথা সে যাবে ভুলে
কিন্তু মনে পড়ে যায় নিজের অজান্তে
কোনো এক অজানা বিকেলে।
ছুটে যায় সে কবির কাছে
শুধায়,স্বপ্ন কি সত্যি হবার নয়?
কবি হাসে , হয়তোবা
যদি তুমি থাকো সৎ
শুদ্ধ অন্তরে যদি বিশ্বাস করো তাকে
একদিন সে আসবে ফিরে আবার তোমার কাছে।
তোমার কঠিন বিশ্বাস তার অন্তরে কাঁপন ধরাবে যেদিন
দেখবে তোমার স্বপ্ন সত্যি হবে সেদিন।
সেদিন থেকে কবি মনে লালন করে
কল্পপরীর প্রতি গভীর বিশ্বাস
স্বপ্ন তার সত্যি হবে
কবি দিয়েছে আশ্বাস।
স্বপ্ন যে স্রষ্টার দান
স্বপ্ন হয় না মিথ্যে
স্বপ্নকে যারা ভালোবাসবে
ঠকতে হবে না তাদের।
যদি গভীর বিশ্বাস রাখতে পারো ভাবে
তবে একদিন স্বপ্নও সত্যি হবে।