তখন ঢাকা যাবার একমাত্র উপায় ছিলো আরিচা-নগরবাড়ি রুট।পাবনা পার হয়ে কিছুদুর যেতেই প্রথম পরিচয় জ্যাম নামের দানবের সাথে।রাত সাড়ে আট টার সময় আমি পাবনা ক্যডেট কলেজের সামনে, সেই আমি সাড়ে বারোটার সময় ফেরিতে উঠলাম।
অন্ধকার রাত আমার সব কৌতুহল ভালো ভাবে মিটতে দিলনা।
ফেরি তে উঠে দেখি , ও মা, এতো দেখি ৫তলা বাড়ি।এতোদিন আমি দেখেছি পাকশি ঘাটের একতলা হলুদ ফেরি গুলো, আমার কাছে এ এক সীমাহীন বিস্ময়। কোনায় কোনায় সিড়ি, ঘুপচি ঘুপচি ঘর। লাফাতে লাফাতে উঠলাম ৩য় তলায়। সেখানে রীতিমতো একটা রেস্টুরেন্ট।চিপ্স, বিস্কুট, চানাচুর থেকে শুরু করে ভাত মাছ ডাল, সবই আছে। রাতে বাসা থেকে খেয়ে এসেছি, তাই চানাচুর মাখানো, আর কোক এর বোতোল কিনে রওনা হলাম আরো উপরে।
কোনার একটা চিকন সিড়ি বেয়ে উঠতে থাকলাম, ৪র্থ তলা পার হয়ে একেবারে ছাদে...। আহ!
ছিট ছিট ব্রিষ্টি,,,,।
ঘন্টা খানেক পর আরিচা ঘাটে ভিড়ল ফেরি। তারপর কোনো রকম ঝন্ঝাট ছাড়া ভোর ৫টায় পৌছলাম গাবতলি।বাসের লোকদের আব্বা বলে দিয়েছিলেন, তাই ওরা আমাকে তখন নামতে দিলনা। অগত্যা ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে, সাড়ে ৬টায় আমার পদধুলি পড়ল ঢাকার মাটিতে।
চলবে..............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




