. (২) পুত্রের আয়ে পিতার অধিকারঃ
তাদের দ্বিতীয় যুক্তিটি হচ্ছে, “পিতা যেভাবে পুত্রের পেছনে কয়েক বছর টাকা বিনিয়োগ ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে পুত্রের আয়ে স্থায়ী অংশীদার হতে পারে ঠিক সেভাবেই মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ে আপলাইন ‘তত্ত্বাবধানের’ দায়িত্ব নিয়ে ডাউনলাইনের আয়ে বৈধ ভাবেই স্থায়ী অংশীদার হতে পারে।”
এ যুক্তিটিও কয়েকটি কারণে সঠিক নয়।
প্রথমতঃ পুত্রের আয়ে পিতার আধিকারটি মূলত কোন রকম তত্ত্বাবধান ও অর্থ বিনিয়োগের সাথে শর্তযুক্ত নয়। পিতা অর্থ বিনিয়োগ না করেও পুত্রের আয়ে অংশীদার। এমনটি হয়েছে মুলত শরীয়ত প্রণেতার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ আইনের কারণে (যেখানে পুত্রের আয়ে পিতার অধিকারের কথা বলা হয়েছে)। নতুবা বিষয়টি যদি তত্ত্বাবধান ও বিনিয়োগের সাথে সম্পৃক্ত হতো তাহলে মেয়ের আয়েও পিতার অধিকার স্বীকার করা হতো (কারণ, মেয়ের পেছনেও পিতার তত্ত্বাবধান ও অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে)। অথচ এটা অত্যন্ত সুবিদিত যে, মেয়ে শত কোটি টাকা আয় করলেও মেয়ের জীবদ্দশায় সে সম্পদে পিতার কোন বৈধ অধিকার নেই।
দ্বিতীয়তঃ পুত্রের আয়ে পিতার আয়ের কোন মাল্টিলেভেল ইফেক্ট নেই। অর্থ্যাৎ, পিতা কেবল তার পুত্রের আয়ে অংশীদার; পুত্র কোনো লোককে কাজে নিয়োগ করলে সেখান থেকে কোনো সুবিধা দাবি করার অধিকার পিতার নেই। তাছাড়া পিতা একই সময়ে একাধিক লেভেল (যেমন পুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্র --- ) থেকে আর্থিক সুবিধা দাবী করতে পারেনা (যেমনটা দাবী করা হয় মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে) ।
অতএব এটা সুস্পষ্ট যে, পুত্রের আয়ে পিতার বৈধ অধিকারের মধ্যে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এর শ্রমের বহুস্তর সুবিধার (multi level benefit of labour) বৈধতার প্রমাণ তো দূরের কথা; কোন ইংগিতও নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১০ সকাল ৮:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




