আম্মা-আব্বা বাড়ীতে গিয়েছেন কিছু কাজ করতে। আব্বার বিশ দিনের ছুটি। তো রান্না-বান্না আমাকেই করতে হয়। শুক্রবার দুপুরে স্পেশাল কিছু না দেখলে মেজাজ বিলা হয়ে যায়।



উপকরন:
পোলার চাল= ২ পট(ড্যানিশ দুধের পট)
মুরগীর মাংস= আধা কেজী হবে মনে হয়(জানিনা)
পেঁয়াজ=নানু কাটছে(আমি জানিনা)
আদা+রসুন বাটা= ৩.৫০/৪.৫০ চামচ হবে হয়ত(আমি খুন্তী দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছি)

জিরা গুঁড়া= এক চা চামচ(ট্যাংয়ের সাথে যে চামচ ফ্রী দিতো সেই চামচ কিন্তু)
মরিচ= ৪/৫টা হয়ত
গুড়ো দুধ=৪/৫ চামচ
তেতুল= এক চামচ পরিমান তেতুল নিয়ে গোলানো
এলাচি= ৬ টুকরা মনে হয়
দারচিনি=৪/৫ টুকরা(ছোট ছোট করে কিন্তু)
তেল= আন্দাজ মত অনেক বেশী দিছি
লবন যে পরিমান মত দিতে হবে সে আর বলার দরকার নেই

প্রণালী:
মাংস ধুয়ে একটু লবন, আদা রসুন বাটা দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি। পরে বেশী করে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, আদা রসুন বাটা, জিরা দিয়ে নেড়েচেড়ে গুঁড়ো দুধ গুলে দিলাম। আম্মা সাধারনত টক দই এর বদলে লেবু দেন, এরকম গল্প করার সময় এক আন্টিকে বলতে শুনি উনি নাকি লেবু না থাকলে তেতুল গুলে দেন। লেবু ছিল না বাসায় তেতুল খুজে না পেয়ে ভাবলাম সয়াসস দিয়ে দেখি কেমন হয়




কিছক্ষন পরে চিন্তা করতে লাগলাম আর কিছু বাকী আছে কি। এর মাঝে চোখে পড়ল ঘি র বৈয়ামটা। ভাবলাম এটাইবা বাদ থাকবে কেন। দিলাম এক চামচ(চা চামচের চেয়ে বড় চামচ গুলো)। এবার ঢেকে দিয়ে গোসল করতে গেলাম। গোসল করে বের হয়ে দেখি এত্ত সুন্দর ঘ্রান বের হয়েছে যে আমিই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না সত্যিই কি এটা আমি রান্না করেছি!!

এর পরে কাহিনীটা না বললেও নিশ্চই সবাই আন্দাজ করেতে পারছেন

এইতো, এভাবেই শেষ হল নীলু'স বিরিয়ানীর অধ্যায়।

খেতে সত্যিই খুব ভাল না হলেও খারাপ হয়নি। কে বলেছে নিলু রান্না পারেনা

পোষ্ট টা দিতে চেয়েছিলাম না, সুরন্জ্ঞনা আপুকে বলাতে আপু বললেন দিতে তাই সাহস করলাম। এজন্যই শুক্রবারের রেসিপি মঙ্গলবার মানে দেরী হয়ে গেল।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৯