গত শুক্রবার রান্না করেছিলাম বিরিয়ানী। সেই ইতিহাস তো বলেছিই আজকে আরেক ইতিহাস হওয়ার পথে সেটাই বলছি । কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি দেখে ভাবলাম ফ্রীজে তো ইলিশ মাছ আছে খিচুড়ী হলে খারাপ হয়না। যেই ভাবা সেই কাজ। সকালেই নামালাম একটা ইলিশ। দুপরে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি কে যেনো মাছের আঁশ ছাড়িয়ে রেখেছে। মনে মনে খুশিই হলাম । তো আর বক বক না করে বলেই ফেলি কি ইতিহাসটা
উপকরণ:
চাল: ২পট
মুসুর ডাল: এক মুঠো(ডাল ছিল না তাই কম হয়ে গেছে)
মুগডাল: ২/৩ মুঠো
হলুদ: এক চা চামচ
আদা রসুন বাটা: এক চামচ।
পেঁয়াজ: ৪টি(বেশী হয়ে গিয়েছে, ৩টি হলেই চলত)
রসুন: আস্ত ৪/৫ টি আর কুঁচি ৪/৫টি
কাঁচামরিচ: ৭টি
সব্জি: আলু, কাঁচাকলা, বেগুন ১টি করে
আমের আচার: দুই পিস
ইলিশ মাছ: ৮ পিস(৪ পিস খিচুড়িতে দিয়েছি ৪ পিস আলাদা ভেজেছি)
তেল: আন্দাজ মত
লবন: পরিমান মত
প্রণালী:
পাতিলে তেল দিয়ে পেঁয়াজ রসুন মরিচ লবন দিয়ে নেড়ে আদা রসুন বাটা ও হলুদ দিয়ে একটু কষিয়ে সব্জি দিয়ে আবার কষিয়ে নিলাম। এবার ডাল ডাল দিয়ে একটু কষিয়ে নিলাম। এর মাঝে চিন্তা করলাম একটু আচার দিয়ে দেখি কেমন হয়। সব একসাথে মাখিয়ে দিলে তার সাথে আচার দেওয়া যেতো এখন চিন্তায় পড়ে গেলাম কিভাবে দিবো। পেয়েও গেলাম বুদ্ধি। দেখলাম চাল দেওয়া হয়নি। চালের সাথে আচার চটকে দিয়ে দিলাম। ব্যাস ঝামেলা শেষ । এবার চাল দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করতে করতে চিন্তা করলাম কি দেওয়া যায় আর। এর মাঝে মনে পড়ল আম্মাতো তেজপাতা দেন। দিয়ে দিলাম দুটো তেজপাতা চাল লেগে লেগে গেলে তিন কর পরিমান পানি দিয়ে চুলা বাড়িয়ে বসে গেলাম ব্লগে । এর মাঝে পানি ফুটে প্রায় সমান চালের সমান হয়ে গেলে ঢেকে চুলা কমিয়ে দিলাম। কিছক্ষন পরে ঢাকনা তুলে দেখি প্রায় হয়ে এসেছে এবার চাল একটু সরিয়ে চার টুকরো মাছ দিয়ে আবার ঢেকে দিলাম।
পানি একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল মনে হয়। কোন টেনশন না করে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলাম।
নানুকে শশা কাটতে দিয়েছি। এবার খালি মাছ ভেজে খাওয়াটা বাকী
খেয়েটেয়ে বলবোনে কেমন হয়েছে। ততক্ষন আপনারা ধৈর্য্য ধরে একটু ওয়েট করেন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৯