ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মতন পোষ্ট.....
যাইহোক আজকে এমন এক কাজ করেছি যা শেয়ার না করে আর পারছিনা। তাই এই পোষ্ট।
আমি বাসায় একা-সুযোগ পেলেই যে যত এক্সপেরিমেন্ট চালাই তা আগেই বলেছিলাম। আজকে আবার সুযোগ পেয়ে সেই সুযোগ হাত ছাড়া করিনি।
দুপুরে খাওয়ার পরে আম্মা ঘুমিয়ে গেছেন, আব্বা পেপার পড়ছেন। আর আম্মার এসিস্টেন্ট ও ঘুমিয়ে গেছে। আমি শুয়ে শুয়ে একটা বই পড়ে শেষ করে চিন্তা করছি কি করা যায়...এর মাঝেই মাথায় এলো কাজটার কথা। ভাবলাম এইতো সুযোগ।
এর আগেও একবার ব্যার্থ হয়ে গেলেও আশা ছাড়িনি। তাই আজকে আবার নামলাম।
ব্লেন্ডার টা এনে আমার বিছানায় রাখালম। সব সময় কিমা করার ডিব্বাটা দিয়ে কাজ করি বলে আজকেও সেটাই আনলাম। এটা নেয়া যে চরম ভুল হয়েছে সেটার মাশুল দিয়ে বুঝলাম।
নাহ, জুসের জগ ছাড়া হবে না। কিন্তু কি মুশকিল জুসের জগ খুজে পাচ্ছিনা। যাক খুজে-টুজে এনে ঢেলে আবার সুইচ দিলাম। এবার আগেই ট্রাই করে নিলাম বাইরে ছিটবে কিনা। দুই এক ফোটা ছিটলেও পরিবেশ নষ্ট হয়না। সব ঠিক ঠাক আছে দেখে এবার সুইচ অন রেখেই তেল ঢেলে দিলাম আস্তে আস্তে। প্রথমে কিছু না হলেও একটু পরে দেখি ঘন হয়ে এসেছে। তার মানে মেয়নেজ বানানো হয়ে গেছে.............
কাঁচা টেলের গন্ধ দূর করার জন্যে একটু সাদা গোলমরিচ গুড়া করে দিলাম।
নিউমার্কেটের ২নং গেটের সাথের দোকানের মেয়নেজটা আমার খুব ভাল লাগে। আমের আচারের ঘ্রান আসে ওটাতে। ব্যাটাদের একদিন জিজ্ঞেস করলে কি মশলা দেয় ব্যাটারা বলল না
যাগগে এইবার আচারের বয়ামটা আনলাম একটু তেল দেয়ার জন্যে। কত্ত টেনশনে দৌড়ে দৌড়ে যে কাজগুলো করেছি। আম্ম/আব্বা না এসে পড়ে আবার....আম্মার এসিস্টেন্ট উঠলে কত্ত কোশ্চেন করবে। কিন্তু নাহ, ব্লেন্ডারের বিটকেলে শব্দের মাঝেও দেখি ঘুমোচ্ছে।
যাইহোক শেষ বারের মতন একটু তেল দিয়ে ব্লেন্ড করে টেস্ট করে একটা বাটিতে ঢেলে নিলাম কাংখিত মেয়নেজ(যদিও খেতে কেমন যেনো লাগছিল কাঁচা ডিম আছে বলে)
কাজশেষে এইবার দৌড়ে দৌড়ে সব ঘটি বাটি রান্না ঘরে নিয়ে ধুয়ে-টুয়ে র্যাকে রেখে বসলাম এই এক্সপেরিমেন্ট আপনাদের জানাতে।
ওমা চলে যাচ্ছেন দেখি
এক ফাঁকে ছবিও তুলে রেখেছিলাম
এই দেখেন
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



