ছোট বোন গুলোকে নিয়েই একটু স্মৃতিচারণ করি। মেঝো মামার বড় মেয়ে হল হানিয়া, যে আমাদের সবার আদরের হানু। সিক্সে পড়ে। একটু বড় হয়ে গেছে তাই ওকে আপাতত বাদ দেই। ছোট্ট দুজনের গল্পই বলি।
ছোট্ট সাদিয়া, প্রথম আমাদের কাউকে একেবারেই পছন্দ করেনি কিন্তু হুট করেই সবার সাথে মেশা শুরু করে দিয়েছে। হানিয়ার মতই ফুপ্পি (আমার আম্মা) তো তার জানের জান। ফুপ্পিরও জানের জান তার তিন ভাতিজি। আমিতো মাঝে মাঝে হিংসাই করি আমাদের ফুপুর কাছ থেকে এর এক কানাকড়ি আদরও পাইনি বলে।
শবেবরাতের আগে আম্মা সাদিয়া আর তাবাসসুমের (ছোট মামার মেয়ে, আমাদের নতুন অতিথি) জন্যে জামা কিনে পাঠিয়েছে। দুজন-ই জামা পরেছে সাদিয়া নাকি পিচ্চিটাকে কোলে নিয়ে দুলে দুলে বলে, "হুমায়রা (তাবাসসুম বলতে পারেনা) জানো ফুপ্পি আমাদের কিসের জামা দিসে, ফুপ্পি আমাদের শবেবরাতের জামা দিসে" হুমায়রাও নাকি হেসে কুটিকুটি। আম্মার তো মাথায় হাত, দিলো ঈদের জামা পিচ্চি বলছে শবেবরাতের। আর সে তার ফুপ্পিকে ফোন দিয়ে অভিযোগ করে, "হুমায়রার জামা সুন্দর, আমার জামা পসা, আমারে পসা জামা দিসো এই জামা পড়বোনা" । হলোতো এইবার, আগে কেনার ফল! কি আর করা আবার রোজার মাঝে দুজনের জন্যেই জামা কিনে পাঠিয়েছে আম্মা। এবারের জামা গুলো খুব পছন্দ হয়েছে। এমনিতে হুমায়রা হল সাদুর জানের জান কিন্তু আবার হিংসাও করে। সেদিন নাকি হুমায়রার জন্যে কে জামা পাঠিয়েছে সেই জামা দেখে কান্নাকাটি ওর জন্যে কেন দিল না। শেষে অনেক কষ্ট করে নাকি পিচ্চির জামা নিজের গায়ে ঢুকিয়ে ফেলেছে!
আম্মাকে এর মাঝে ফোন দিয়ে বলে, "তুমি আছোনা কেনো?তোমার গাছে ছব পেয়ারা আমি নিয়ে গেছি" । পিচ্চিগুলার কথার জন্যে এত মায়া লাগে। তবে ছেলে পিচ্চিগুলা হল পাজি।
যাই হোক অনেক গল্প হল এবার আসুন সাদু আর হুমায়রার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই
হুমায়রা বুড়ি, এখনো কথা বলা শেখেনি তবে ফুপ্পির দেয়া নতুন জামা পড়লে নাকি খুব খুশি হয়
আর সাদু বুড়ি আজ আপনাদের শেখাবে কিভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হয়। সবাই মনযোগ দিয়ে শিখবেন এবং এভাবেই ব্রাশ করবেন কিন্তু
প্রথমেই ই ই ই করুন (দেখতে হবে না আপনার দাঁত আছে কিনা )
তার পরে লক্ষী বাবুর মতন এভাবে
শুধু সামনে ব্রাশ করলেই চলবে? আশে-পাশে করতে হবে না?
এবার একটু ভেতরের দিকেও ত ভাল করে করতে হবে, নাকি?
এভাবে সুন্দর করে করতে হবে
দাঁত ব্রাশ শেষ সোনার বাংলাদেশ। এবার একটু বাংলালিংক এর অ্যাড এর পোজ
।
সাদুবুড়ি আর হুমায়রা বুড়ির গল্প শেষ। ঈদের রান্না অনেক দেরী তবে আসুন রোজায় কি কি এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম তাই একটু
সেমাই এর রং-চংয়ে জর্দা
আম্মা খেয়ে বলেছেন ঈদের দিন এটা করতে ।
বেশ কিছুদিন যাবত মিষ্টি বানানোর প্রতি একটা ঝোঁক হয়েছে। ছোটখাটো একটা কোর্সও করার ইচ্ছে আছে । বই আর নেট ঘেটে ঘেটে যা বানালাম
বুন্দিয়া (প্রথম বানিয়েছিলাম)
প্রথম বানিয়েছিলাম চমচম, (শক্ত হয়ে গিয়েছিলো) মিষ্টি বানানোটা সহজ কাজ নয়
বালুশাই মিষ্টি (আমার খুব পছন্দের)
আরো বানিয়েছিলাম মজাদার নানরুটি
এটা প্রথম বানাইনি। নানরুটি আম্মার অনেক পছন্দ আর আম্মার পছন্দের খাবার বানিয়ে খাওয়াতে অনেক ভাল লাগে। অন্যরকম আনন্দ।
শরাব রেডী। চলবে নাকি?
সবার ঈদ হোক অনেক অনেক সুন্দর। অনেক আনন্দে কাটুক প্রিয়জনের সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৯